বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিউয়ার্স, আজ আপনাদের সামনে আরেকটি চমকপ্রদ বিজনেস আইডিয়া নিয়ে হাজির হলাম।
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের বর্তমান আনুমানিক জরীপ হিসেবে এদেশে এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষ বাস করে। বিশাল জনসংখ্যার এই দেশে যে কোনো ব্যবসাই লাভজনক। তাই, সঠিক পরিকল্পনা মাফিক ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে এদেশে ব্যবসায়ে সফল হওয়া সম্ভব।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে একটি দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব। আমাদের দেশে বিগত কয়েক বছরে প্রাথমিক শিক্ষার হার দ্রূত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনুসারে মানুষ এখন উচ্চ শিক্ষার জন্য বাচ্চাদের পেছনে অর্থ ব্যয় করতে পারে।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মতে এখানে ৪৫ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ১০৩ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩ টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় তালিকাভুক্ত রয়েছে। বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন শিল্প মালিক থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী ব্যক্তির মালিকানাধীন।
এছাড়াও কয়েকটি ব্র্যান্ডেড দেশীয় সংস্থা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। অর্থাৎ, ড্যাফোডিল গ্রুপটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পিছনে, হামদার্ড হ্যামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়, হামদর্দ বাংলাদেশের ইত্যাদি। পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়েও রয়েছে তাদের বিচরন।
সুতরাং বাংলাদেশের মানুষের জন্য উপার্জন স্তর এবং পিতামাতার আয় অনুযায়ী তাদের যে কোনও ব্যয়ই হোক না কেন তারা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানের উচ্চতর পড়াশুনা করতে পারবেন। যে কোনও ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের একটি খুব ভাল সেবামূলক ব্যবসা।
যদিও প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের পর উচ্চ শিক্ষা পর্যায়টি ইউজিসি দ্বারা অনুমোদিত হওয়া এখন খুবই কঠিন। তবে আপনি রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণে এটি সগজভাবেই সম্পন্ন করতে পারবেন। বাংলাদেশে লাভজনক যে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকারগুলি হলঃ
১। কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
২। স্নাতকোত্তর জন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
৩। নামী বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শাখা।
৪। নামীদামী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শাখা।
আপনাকে দিয়েই শুরু হউক নতুন কিছু…