শিশুরা যেভাবে শিখবে ও শিশুদের শিক্ষন ব্যবস্থা

শিশুদের শিক্ষণ ব্যবস্থা
আমরা কি জানি একটি শিশু কি চায়?কেমন পরিবেশ চায়?কেমন সঙ্গী চায়?কেমন আদর ভালোবাসা চায়?যদি সঠিক জানতাম তাহলে কি আমরা তাদেরকে সুন্দর কিছু মুহুর্ত কেড়ে নিতে পারতাম, তাদের সুন্দর কিছু শৈশব নষ্ট করতে পারতাম?

একটি শিশুর সাথে ভালো আচরন ও ইতিবাচক মতামত ই পারে শিশুর গঠনমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। যেমন ধরুন একটি শিশু খুবই হতাশায় আছে,সে খুবই আত্মকেন্দ্রিক। সে কেন আজ হতাশায় আছে আমরা সে বিষয়টিই দেখি কিন্তু আজকের এই পর্যায়ে কেন এসেছে সেটি দেখি না এবং বুঝতে চাই না।

সে একদিনে এই অবস্থানে আসেনি এটি আমাদের মেনে নিতে হবে।ছোট বেলা থেকেই সে অনিশ্চয়তায় এ থেকে থেকে আজ সে এই হতাশার পর্যায়টিতে ঢুকেছে।একটি মানুষ প্রাপ্ত বয়সে এসে কেমন মন মানসিকতার হবে সেটি তার জন্মগ্রহনের পর থেকেই তৈরী হতে থাকে।তার পারিপার্শ্বিক অবস্থাই তার মস্তিষ্ক গঠনের মূল উৎস।

আমি যখন একটি শিশুরর সম্পূর্ণ কাজ নিজে করে দিবো তখন সে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়বে, আবার তাকে দিয়ে সম্পূর্ণ কাজটি করালেও সে খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাবে।তখন আমার উচিত শিশুটিকে দিয়ে সম্পূর্ণ কাজটি না করিয়ে তাকে কাজটি করতে সাহায্য করা, সেটি যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেএেও, তাকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা।

ঠিক তেমনি একটি শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের সময়টিতে তাকে তার প্রাপ্য পারিপার্শ্বিক অবস্থাটি তৈরী করে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।শিশুকে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতাটি দেওয়া উচিত কারন তার ভবিষ্যৎ জীবনের সিদ্ধান্তগুলো নিজে ব্যক্তিত্ব গঠনের উপায়গুলো এই পর্যায়টি থেকেই শিখতে পারবে। এমন কর্যকারী মনোভাব আমাদের সকল বাবা মায়ের থাকা উচিত।

প্রতিটি বাবা মায়ের উচিত তার সন্তানকে সময় দেওয়া।বর্তমানে বাবা মা চাকুরীজীবী হওয়ায় সন্তানের কম সময় দেন।ফলে শিশুরা সঠিক দিকনির্দেশনা পায় না।অনেকে বিপথে চলে যায়।একটি শিশুর উঠতিযবয়সের প্রথম চাহিদা থাকে মাতাপিতার সান্নিধ্য থাকা।নেতিবাচক পরিবেশে অথবা শিশুকে একা বড় হতে হতে দেওয়া কখনোই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।

তবে বর্তমানে অনেকেই এইসব নিয়ম মানতে চান না।তারা প্যারেন্টিং টাইপ নিয়ে জানে না।একটি শিসুর সাথে খেলাধুলা করার মাধ্যমেও শিশুকে অনেক কিছু শেখানো যায়।শুধু শাসনে সীমাবদ্ধ থাকলে শওশুর নেতিবাশক মনোভাব তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

শিশুদেরকে সময় দিন।তাদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করুন।তাদের প্রত্যাশার গুরুত্ব দিতে শিখুন।যে শিশুর শৈশব যতো সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা হয় সেই শিশুর ভবিষ্যৎ ততো ইতিবাচক ও সম্ভাবনামূলক হয়।এখন দেখা যায় ডে কেয়ার সেন্টারগুলোতে শিশুদের ভীড় কিন্তু সেখান শিক্ষার পরিমান খুবই কম বলা চলে।
কারন একটি শিশুর শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকেই।

Related Posts