আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ।ঋতুচক্রের পালাবদলে প্রকৃতিতে আগমণ ঘটে শীতের। শীতকালে প্রকৃতি অনেকটা রুক্ষ হয়ে উঠে।সবকিছু প্রাণহীন হয়ে উঠে।চারদিকে হীমশীতল বাতাস বইতে থাকে।গাছের পাতা ঝড়ে যায় শীতকালে।প্রকৃতির পালাবদলের সাথে সাথে মানুষের ত্বকের পরিবর্তন ঘটে থাকে এই শীতকালে।তাই শীতকালে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের ত্বকও রুক্ষ হয়ে উঠে। তাই এই সময়ে বিশেষ করে শীতকালে ত্বককে বিশেষ যত্ন নিতে হয়। তা না হলে ত্বক ফেলে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। সেই সাথে ত্বক প্রাণহীন হয়ে উঠবে।
যেহেতু শীতকালে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পড়ে তাই অনেকে শীতকালে গোসল করার পরিমাণটা গ্রীষ্মকালের তুলনায় কমিয়ে দেয়।অনেকে আবার শীতকালে সাধারণত গোসল করতে চায় না আবার অনেকে শীতকালে গোসল করার ক্ষেত্রে গরম পানিকে প্রাধান্য দেয়।
শীতকালে দৈনিক গোসল করা কয়টা যুক্তিসংগত সেই কথা না হয় পড়ে হবে।চলুন তাহলে জেনে আসি শীতকালে দৈনিক গোসল করলে ত্বকের কি ধরণের অপকারীতা হতে পারেঃ
১.শীতকালে মানুষ গোসল করার ক্ষেত্রে গরম পানিকে বেছে নেয়।কিন্তু গরম পানি ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ফলিকল সেল নষ্ট হয় তা ত্বকের জন্য উপকারী নয়।
২.গরম পানিতে গোসল করার ফলে শরীরের লোমকূপ খুলে যায় যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ধুলাবালি ত্বকে প্রবেশ করে একনে, ব্রণ, মেসতার মত সমস্যা ঘটায়।
৩.শীতকালে সাবান বেশি ব্যবহার করলে ত্বক অনেকটা রুক্ষ হয়ে উঠবে।
৪.ভেজা মাঝুনি ব্যবহার করার ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া খুব দ্রুত প্রবেশ করে।
৫.শীতকালে বেশি সময় ধরে গোসল করলে পানিশুণ্যতা থেকে শুরু করে ত্বক রুক্ষ হয় যাবার মত ঘটনা ঘটতে পারে।
৬.হার্টের রোগীদের শীতকালে প্রতিদিন গোসল করলে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন