হ্যালো বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে যে পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা হল ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর। আপনারা যাদের এটি দরকার তারা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
আমিও যে বিজ্ঞানের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এসেছে সেটি হল ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের সপ্তম অধ্যায় এর প্রশ্ন এবং উত্তর। তাই মনোযোগ সহকারে পোস্ট পড়ুন।
প্রশ্নঃ-
১. বিদ্যুৎ পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের নাম লেখ?
= বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের নাম : অ্যালুমিনিয়াম, সোনা এবং তামা
বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থের নাম: হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, এবং অক্সিজেন
২. বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহারের কারণ কি?
= বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করা হয়। কারণ তামা একটি বিদ্যুৎ পরিবাহী ধাতু। ধাতু সমুহ বিদ্যুৎ পরিবহন করে । তবে সব ধাতুর বিদ্যুৎ পরিবহন ক্ষমতা এক নয়।
ধাতু সমূহের মধ্যে তামার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা অন্যান্য ধাতুর তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। এটি দামেও সস্তা।
এজন্য বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করা হয়।
৩. উদ্দীপকের প্রথম চিত্রে মোম গলে পড়ার পরবর্তী অবস্থা ব্যাখ্যা কর?
=উদ্দীপকের প্রথম চিত্রে মোম গলে পরার অবস্থাটি তরল অবস্থা। এর পরবর্তী অবস্থাটি হলো কঠিন। নিচে টি ব্যাখ্যা করা হলো-
মোমের জ্বলন পদার্থের তিন ধরনের অবস্থা দেখা যায়। ১. কঠিন অবস্থা ২. তরল অবস্থা ৩. গ্যাসীয় অবস্থা।
কঠিন অবস্থায় তাপে যখন মোম গলে তরলে পরিণত হয় তখন এর কিছু অংশ বাষ্পে পরিণত হয়। পরবর্তী ধাপের মোমের কিছু অংশ জমে কঠিন মোমে পরিণত হয়। অর্থাৎ এ ধাপটিতে পদার্থের কঠিন অবস্থা বিরাজ করে। কোন বস্তু যতটুকু জায়গা দখল করে সেটি বস্তুর আয়তন। সকল কঠিন বস্তুরই আকার ও আয়তন আছে।
কঠিন বস্তুর আকার আয়তন সহজে পরিবর্তন করা যায় না। এরা যথেষ্ট দৃঢ় অর্থাৎ এদের দৃঢ়তা আছে। তবে কিছু কিছু কঠিন পদার্থের দৃঢ়তা কম।
যেমন সরিষার দানা, ভাত, কলা ইত্যাদি।
৪. চিত্রের পদার্থের দুটির গলনাংক ও হিমাংক কি একই?
= চিত্রের পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক একই। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো।
যে তাপমাত্রায় কোন কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয় সেই তাপমাত্রাকে ঐ পদার্থের গলনাংক বলে।
আবার যে তাপমাত্রা কোন তরল পদার্থ তরল থেকে জমতে শুরু করে কঠিন অবস্থায় পরিণত হয় তাকে ওই তরলের হিমাংক বলে। সকল পদার্থের গলনাঙ্ক ও হিমাংক সমান।
চিত্রের প্রথম পদার্থ হল মোম। কঠিন মোম 57 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে তরলে পরিণত হয়।
মোমের গলনাংক ও ৫৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস । এই একই তাপমাত্রা মোম জমতে শুরু করে এবং কঠিন মোমে পরিণত হয়।
অতএব মোমের হিমাংক 57 ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবার চিত্রের দ্বিতীয় পদার্থ হল বরফ। বরফের গলনাঙ্ক ও জিরো ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং হিমাঙ্ক 0 ডিগ্রী সেলসিয়াস।
যেহেতু আলাদা আলাদা ভাবে পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক যথাক্রমে 57 ডিগ্রী সেলসিয়াস ও জিরো ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাই বলা যায় পরিমাণগত ভাবে দুটি পদার্থের গলনাংক ও হিমাংক একই।