আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।
এসাইনমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসছি সপ্তম শ্রেনীর ষষ্ঠ সপ্তাহের কৃষিশিক্ষা এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
#ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষিশিক্ষা এসাইনমেন্টঃ
ক)ফসলের মৌসুম বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃবাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণত সমভাবাসম্পন্ন।পরিমিত বৃষ্টিপাত,মধ্যম শীতকাল,আদ্র গ্রীষ্মকাল বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ ধরনের জলবায়ু কৃষি উৎপাদনের জন্য খুব সহায়ক।
একটি ফসল বীজ বপন করা থেকে শুরু করে তার শারীরিক বৃদ্ধি এবং ফুল ফল উৎপাদন এর জন্য যে সময় যে সময় নেয় তাকে ঐ ফসলের মৌসুম বলে। অর্থাৎ কোন ফসলের বীজ বপন করে ফসল সংগ্রহ করা অবধি সময়কে সে ফসলের মৌসম বলে।বাংলাদেশের জলবায়ুর উপর নির্ভর করে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের ফসল জন্মে।বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনের জন্য সারা বছরকে দুটি মৌসমে ভাগ করা হয়। যথাঃ
১.রবি মৌসুম
২.খরি মৌসুম।
(খ)রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃকোন ফসলের বীজ বপন থেকে শুরু করে সংগ্রহ করার আগে অবধি সময়কে সেই ফসলের মৌসুম বলে।বাংলাদেশে ফসল উৎপাদন এর মৌসুমকে দুইভাগে ভাগ করা হয়ে হয়েছে। যথাঃ
১.রবি মৌসুম
২.খরা মৌসুম
নিচে রবি ও খরা মৌসুমের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলঃ
১.রবি মৌসুমঃ
আশ্বিন থেকে ফাল্গুন অবধি সময়কে রবি মৌসুম বলে।রবি মৌসুমের প্রথম দিকে কিছুটা বৃষ্টিপাত হয়।তবে তা খুব কম হয়ে থাকে।
২.খরিপ মৌসুৃমঃ
চৌএ মাস থেকে ভাদ্র মাস অবধি সময়কে খরিপ মৌসুম বলে। খরিপ মৌসুমকে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ঃ
১.খরিপ ১ গ্রীষ্মকাল
২.খরিপ ২ বর্ষাকাল
সাধারণত চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্যমাস এর মধ্য সময়কে খরিপ ১ মৌসুম বলে।এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে।মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টি হয়ে থাকে।
খরিপ ২ঃআসাড় থেকে ভাদ্র মাস অবধি সময়কে খরিপ ২ মৌসুম বা বর্ষাকাল বলে।এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে এবং তাপনাত্রা মাঝারি মানের হয়।
(গ)মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানগুলো কি কি?
উত্তরঃমুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান গুলো হলো শর্করা, আমিষ,স্নেহ,খনিজ,পানি, ভুটামজট সুষম মুরগির জন্য অত্যাবশ্যকীয় খাবার।মুরগির পুষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
১.শর্করাঃগম,ভুট্টা, চালের খুদ,চালের গুড়া,গমের ভূষি ইত্যাদি।
২.আমিষঃশুটকি মাছের গুড়া,সয়াবিন তেল,তিলের খৈল,সরিষার খৈল ইত্যাদি।
৩.স্নেহঃসয়াবিন তেল,সরিষার তেল,তিলের তেল ইত্যাদি।
৪.খনিজঃখাদ্য লবন,হাড়ের গুড়া,ঝিনুক ও শামুকের গুড়া,ভিটামিন, খনিজ মিশ্রণ।
৫.ভিটামিনঃশাক সবজি, ভিটামিন মিশ্রণ ইত্যাদি।
৬.পানিঃটিউবয়েল ও কূপের বিশুদ্ধ পানি।
(ঘ)মুরগিত খামারে খাদ্য ও পানি কেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর
উত্তরঃমুরগির খামারে খাদ্য ও পানি গুরুত্বপূর্ণ ।কারণ খামারে মুরগি পালনের মোট ব্যায়ের ৭০% খাদ্য বাবদ খরচ হয় এবং মুরগির জন্য প্রচুর পানি খরচ হয়।
মুরগির খাদ্য ব্যবস্থায় হলো অন্যতম প্রধান বিষয়। বাসা বাড়িতে মুক্ত ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগির খাবারে বর্য, ঝড়া শস্য,পোকামাকড়,শাক সবজি ইত্যাদি খেয়ে বেচে থাকে।তাই এরা পরিমিত ও সুষম খাদ্য পায় না।বসত বাড়িতে উন্নত জাতের মুরগী পালন করলে উন্নত জাতের খাবার দেওয়া না হলে পরিমিত মাংশ ও ডিম পাওয়া যাবে না।আবার খামারে মুরগিকে প্রতিদিন ২০০০ মিলিমিটার জীবাণু মুক্ত বিশুদ্ধ পানি দিতে হবে।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন