আমেরিকার নাগরিক হওয়াটা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছেই একটা লোভনীয় ব্যাপার। প্রতি বছর বিশে^র বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন আমেরিকায়। তারপর এখানে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিয়ে হয়ে যাচ্ছেন আমেরিকার নাগরিক! বিশেষ করে বাংলাদেশ ও এশিয়ার দেশগুলোর জনগণের আগ্রহটা এক্ষেত্রে একটু বেশি। অনেকেই দেশের ভিটে মাটি বিক্রি করে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে চলে যাচ্ছেন সেখানে। আবার কেউ কেউ দেশে বিয়ে করে সন্তান জন্ম নেওয়ার কিছুদিন আগে পাড়ি জমান স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। আর বনে যান সন্তানসহ আমেরিকার নাগরিক। তবে এসব স্বপ্নপিয়াসু মানুষের জন্য কিছুটা দুঃসংবাদই বলতে হবে এই খবরটি। এখন থেকে, জন্ম দিলেও আমেরিকার প্রশাসন আর সেইসব বিদেশিদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে না। এমনই আভাস মিলেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে। তিনি ভবিষ্যতে এই নিয়মটি আর রাখতে চাইছেন না। এ ব্যাপারে তিনি একটি অধ্যাদেশ জারি করার চিন্তা ভাবনা করছেন। আর এই অধ্যাদেশে থাকবে যারা বৈধভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন না তারা এখানে সন্তান জন্ম দিলেও জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবেন না। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের সামনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান-যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন কিংবা যিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন, তারা এখানে সন্তান জন্ম দিলে তাদের সন্তান আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করছে। তিনি এই বিধান বন্ধ করতে চান। তিনি বলেন, আমরা জন্মস্থান বিবেচনায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা ও বিবেচনা করছি। একজন মানুষ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখন্ডে প্রবেশ করলেন এবং এখানে আসার পর সন্তান জন্ম দিলেন। তাকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে যা হাস্যকর। এটা কখনো হওয়া উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন। তবে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তাদের সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো স্টেটে কিংবা এর বাইরে যে কোনো দেশে সন্তান জন্ম নিলেও জন্মসূত্রে তার বাবা মাসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বা মনোভাব কবে নাগাদ আইন আকারে পাশ হবে কিংবা কার্যকর হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে শিঘ্রই তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারেন। কেননা ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্বাহি আদেশ মার্কিনীদের পক্ষে গেছে। তিনি অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশের ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন এবং এটি বন্ধ করতে তিনি নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। শুধু তাই নয় বৈধ উপায়ে ইমিগ্রেন্ট হিসেবে যারা এদেশে আসছেন তাদের ব্যাপারেও সতর্ক অবস্থানে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব ইমিগ্রেন্টদের জন্য বিভিন্ন কড়াকড়ি নিয়ম আরোপ করছেন তিনি। এক্ষেত্রে পাবলিক চার্জের নতুন রুল বড় উদাহরণ। এটি কার্যকর হবে ১৫ অক্টোবর। এছাড়াও ইমিগ্রেন্টসহ অবৈধ ও বৈধভাবে বসবাস করা আমেরিকারনদের ব্যাপারে আরো কিছু নিয়ম আরোপ করতে পারেন বলে জানা যায়। বিদেশিদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের এই বিষয়টি আগামি নির্বাচনে অর্থাৎ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় একটা ইস্যু হতে পারে। । সেক্ষেত্রে ট্রাম্প, বিষয়টি মাথায় রেখে ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুদ্ধই কি একমাত্র সমাধান?????
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ছিল ঝামেলা। তার মধ্যে কাশ্মীর...