আজ আপনাদের সাথে আমার একটি ভ্রমণ সম্পর্কে বলবো । আমি রাফি বারগুনা থাকি। আমরা সকলেই কুয়াকাটা সম্পর্কে জানি। সাগর কন্যা বলা হয়ে থাকে এটিকে।
আপনারা ঢাকা থেকে সরাসরি কুয়াকাটা আসতে পারবেন। কুয়াকাটা হচ্ছে একটি সি বিচ। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১-৩ হাজার পর্যন্ত লোক ঘুরতে আসে। কুয়াকাটা একমাত্র জায়গা যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।
আরো আসে কুয়াকাটা সি বিচ । শুঁটকি পল্লী, রাখাইন বাজার, বৌদ্ধ মন্দির, নয়নাভিরাম জায়গা ও বিজয় দীপ। এছাড়া আরো আছে ঝাবন, কাকড়ার চর, লেবুর চর ইত্যাদি। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত মোট ১৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ……
কুয়াকাটা যেতে মোট বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে দশ হাজার টাকার ভিতরে আপনি খুব সুন্দর ভাবে সেখানে ঘুরে আসতে পারবেন।
কেন যাবেন সেখানে?
আপনার যদি সূর্য ভালো লাগে আপনার যদি সিবিচ ভালো লাগে তাহলে আপনি অবশ্যই কুয়াকাটা ঘুরে আসতে পারেন। কুয়াকাটা নৈসর্গিক আবহাওয়া অবশ্যই আপনাকে মুগ্ধ করবে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কুয়াকাটা। কক্সবাজার এরপরই হচ্ছে এর অবস্থান।
কুয়াকাটাকে আপনারা দেখতে পারবেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দের। তাদের ভিতর রাখাইনরা অন্যতম। তাদের রয়েছে নিজস্ব বাচনভঙ্গি ও সংস্কৃতি। কুয়াকাটা তে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস হচ্ছে সবচেয়ে ভালো সময়।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর গ্রামের অন্তর্ভুক্ত।
একটি সার্ভেতে দেখা গেছে কুয়াকাটাতে প্রতি বছর বিদেশ থেকে হাজার হাজার লোক মুহূর্তে আসে, চাইলে আপনিও এখানে আসতে পারেন।
আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি কুয়াকাটা আসতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি বরিশাল অথবা খুলনার হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই পটুয়াখালী পর্যন্ত এসে এখান থেকে মাইক্রোবাস অথবা বাস থেকে আপনি যেতে পারেন একদম কুয়াকাটা পর্যন্ত।
আপনাকে একদম তিরিশের সামনে নামিয়ে দিবে। এর সামনের দিকে সম্পূর্ণ সমুদ্র এবং ডান দিকে ঝাউবন এবং এবং বাম দিকি রয়েছে জেলেদের নৌকা।
কুয়াকাটার মানুষের সাধারণ পেশা জেলে
আপনি যদি বছরের প্রথমদিকে এখানে আসেন জেলেদের মাছ ধরা দেখতে পারবেন। সময় সেখানে উড়ে আসে অনেক রকমের বিদেশি অতিথি পাখি।
কোথায় থাকবেন কুয়াকাটা এসে?
এখানে রয়েছে থ্রি স্টার ফোর স্টার এবং ভাইরাস তাদের মত হোটেল গুলো।
হোটেল গ্র্যান্ড প্যালেস,রেইন ড্রপ, সিকদার প্যালেস এর মতো হোটেল।
এখানের বৌদ্ধমন্দিরে আছে 27 ফুট লম্বা স্বর্ণের তৈরি বুদ্ধ মূর্তি।কুয়াকাটা হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান। অগণিত ভক্তরা এখানে ‘রাশ পূর্ণিমা’ এবং ‘মাগি পূর্ণিমা’ উত্সবে উপস্থিত হন।
এই উপলক্ষ্যে হজযাত্রীরা উপসাগরে পবিত্র স্নান করেন এবং traditional ঐতিহ্যবাহী মেলায় অংশ নেন [ কেউ ১০০ বছরের পুরানো বৌদ্ধ মন্দিরে যেতে পারেন যেখানে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি এবং দু’শ বছরের পুরানো কূপ রয়েছে।
সৈকতের পূর্ব প্রান্তে রয়েছে গঙ্গামতি রিজার্ভড ফরেস্ট, একটি চিরসবুজ ম্যানগ্রোভ বন এবং আসল কুয়াকাটার স্নিপেট।১৮২ সালে রাখাইনরা যখন এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তখন কুয়াকাটা বৃহত্তর সুন্দরবন বনের অংশ ছিল।
তবে, সুন্দরবন দ্রুত গতির নৌকায় এক ঘন্টা দূরে ছিল। ম্যানগ্রোভ বন হিসাবে, গঙ্গামতি, সুন্দরবনের মতো, জোয়ারের বিরুদ্ধে কিছুটা সুরক্ষার প্রস্তাব দেয় (surges) তবে এটিও লগিং এবং বন উজানের হয়েও থেকে গেসে। সুন্দর বন থেকে আপনি চাইলেই দেখতে পারবেন এই সুন্দর সূর্যএর সায়াময় দৃশ্য