প্রিয়,
তুমি কি জানো?
মানুষের মনে মান ও অভিমান জমতে জমতে একসময় তা ঘৃণায় পরিণত হয়? চরম নিঃসঙ্গতা অচেনা অজানা একজনকেও মনে হয় চিরন্তন আস্থাশীল? কারণ, নিঃসঙ্গতা এমন একটি অবস্থা যা কখনো কোন রাজকন্যার সাথে নিজে বিশ্বাস ঘাতকতা করেনি। আমি বুঝাতে পারিনি তোমাকে, ওটা তুমি ই ছিলে প্রতিবারই ছিলে, প্রতিক্ষনেই ছিলে।
প্রেমিকার প্রথম সেই কাজল মাখা টানা টানা হরিনী চোখ, প্রথম কন্ঠরোধী আটকা আটকা কথা বলা, প্রথম কোমল নরম হাতের আলতো স্পর্শ, তার সুললিত কন্ঠে প্রেমময় গান শুনে আচমকাই তাকে হাজারটা তারা এনে দেবার আচমকা প্রতিশ্রুতি! কিংবা তার তোমার প্রতি মধুর ভালবাসার মুগ্ধতায় হঠাৎই বলে ফেলা- ‘তুমি এখন যেমন আছ, তেমনটাই সব সময় থেকো, তেমনটাই তো আমার ভাল লাগে’!
ঠিক এমনিভাবে কোন একদিন তার চুলের উন্মাদ হওয়া গন্ধ, আলতো নরম গায়ের গন্ধ শুকবার দিন শেষ হয়ে গেলেই অন্য কারো কপালের লাল টিপ, ছিপছিপে দেহের গড়ন গালের ভাঙা টোল দেখে মুগ্ধতায় চেহারায় চিন্তারেখার ভাজ ফেলে কপালের ভাঁজে নিয়ত প্রশ্ন টেনে, তাকে অতীব প্রশংসায় তার বুক ভাসানো। ললনা’ এ যে এক ভয়ানক আসক্তি সে কি! কি বিস্ময়! কি যে অন্য রকম এক আস্থা ও ভালোলাগা!!
এরপরও বিচ্ছেদি প্রেমিকার শক্ত বুকের
রক্ত জমাট বাধা হাহাকারই ভাল লাগে। মিথ্যে আশ্বাস, মিথ্যে স্বপ্ন দেখাতে তখন ভাল লাগে।
এই রমনীই তখন ভুলে যায়, তাকে নিয়ে কত না কবির কাব্যিক ভাষা কাব্য রচিত হয় তাকে নিয়ে! এতেই প্রমাণিত হতে থাকে সমাজের প্রতিটি ছেলের পুরুষত্ব?
আর তখন কখনো কোনো সদা হাস্যোজ্জ্বল প্রেমিকার নাক আর চোখের পানির আকুতি মিনতি ফেরাতে পারেনা। সময়ের সাথে খরস্রোতা নদীর স্রোতের মতই আনমনে বিলীন হতে থাকে ভালবাসার তট। আর তখন সেই প্রেমিকাকে ধরনীর আলো আঁধারিতে, জল দিঘীর পাড়ে, রূপ কথার এক রাজ কন্যার মতো প্রায়ই একা দেখা যায় দুঃখ নিশি পোহাতে!
আমি এখনো প্রতিদিনই তোমার তরে, তোমার নাগাল পাবার জন্য একটা করে চিঠি পাঠাই। ঘুরে চলে আমার ঠিকানায়। কিন্তু ঠিকানাতো আর বদলায় না, বদলে যায় শুধুই মানুষ।
তুমি ভাল থাকো অভিমানী রাজকন্যা।