মানব জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। এই জীবনকে আমাদের উপভোগ করতে হবে৷ তবে মানুষ আজ সামাজিক যোগাযোগ সাইটেই নিজেদের বাসস্থান গড়ে তুলছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শিক্ষার্থীরা আজ খেলাধূলার পরিবর্তে ফেসবুক ব্যবহার করছে৷ অন্ধকারেই জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে। ফলে তাদের মানসিক ঘাটতি হচ্ছে।
এমনকি মিডিয়ার অস্বস্তিকর চলচ্চিত্র তাদের মনকে নস্ট করে ফেলছে। সামাজিক মাধ্যমগুলো বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে৷ যাতে মানুষ আরো বেশি ফেসবুক উৎসাহিত হয়। আমাদের নিজেদের পাশাপাশি নিজেদের সন্তানদের ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। শিক্ষার্থীরা রাত জেগে ফেসবুক ব্যবহার করছে। বিভিন্নরকম পাপ কাজও লিপ্ত হচ্ছে৷ মানুষ যখনই হালকা সময় পাচ্ছে, সর্বপ্রথম মোবাইটিই হাতে নিচ্ছে। ফলে মানসিক প্রশান্তির পরিবর্তে মানসিক অশান্তি হচ্ছে।
ফেসবুক থেকে বিরত থাকা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যাচ্ছে।হ্যা, মানছি, বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ফেসবুক ব্যবহার করতে হয়৷ তবে প্রয়োজন ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার করা উচিত নয়, আমাদের নিজেদের ভালোর জন্য। আমরা সকলে এ ব্যাপারে সচেতন হয়। এটি মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলা যায় ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়। ঠিক তেমনই৷ এটি আমাদের শরীর এবং মন উভয়কেই প্রভাবিত করছে। আজ ছেলে মেয়েরা মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিকাশহীন হয় পড়ছে৷ আজ শিশুদের ১২-১৩ বছরেই চশমা ব্যবহার করতে হচ্ছে৷ এর প্রভাব সম্পূর্ণ ক্ষতিকর।
আমরা নিজেরা সচেতন হয় এবং অপরকে সচেতন করে তুলি। আমাদের ভবিষ্যতে প্রজন্ম যেনো স্বাভাবিক হয়, এটা নিয়েই ভাবি।আজ ফেসবুকে প্রেম, টাকা ছিনতাই, প্রতারণা অনেক কিছুই ঘটছে৷ যেগুলো অতি সহজেই হচ্ছে৷ আমাদের এগুলো থেকে বাঁচতে হবে। ফেসবুকে অশ্লীলতা ও নোংরামিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি ফেসবুকের নতুন করে রিলসের ব্যবস্তা করছে। তা মনে মানুষকে পাপ সাগরে ডুবাচ্ছে৷ আমাদের ভাবতে হবে আমরা যে সময়টাকে ব্যায় করছি, সেটা কিভাবে কাজে লাগানো যায়৷ বলা যায়, সৎকাজের আদেশের পাশাপাশি কিভাবে অসৎকাজের নিষেধ করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে৷ সন্তানদের শাসন করতে হবে। ফেসবুককে শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে তো জড়ালে চলবে না।
এগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য মনোবোল বৃদ্ধি করতে হবে৷ আজ ঘুমের অভাব, মাথা ব্যাথা, এগুলোর কারণও ফেসবুকের ব্যবহার হচ্ছে৷ গরীব বাংলাদেশে ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার হয়৷ তাহলে বোঝায় যায়, ফেসবুকে মানুষ কতটাই আসক্তি। আজ মানুষের সংসার চালানোর টাকা নাই। টাকা দিয়ে ইন্টারনেট কিনে ফেসবুক ব্যবহার করছে৷ এগুলোর ব্যবহার প্রকৃতপক্ষে আমাদের জীবনের সাথে মানান সই নয়৷ আর যা মানানসই নয় তা অবশ্যই পরিতেজ্য।মনে রাখতে হবে, আমাদের জীবন একটাই।এই জীবনকে সুন্দর ভাবে কাটাতে হবে।
উল্টো পাল্টা সাইটে ব্যায় করলে চলবে না। ফেসবুকের অপবয়বহার সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে হবে। অনেক মানুষকে খাওয়ার সময়ও ফেসবুক ব্যবহার করে। আবার অনেকে অচেনা বন্ধু বানায়৷ আইডি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বয়াক্তিগত তথয় হারানোর ভয় থাকে৷ পরবর্তীতে কান্নাকাটি করেও তা ফেরত পাওয়া যায় না। এগুলা এখন যদি, আমরা বন্ধ না করি, সিগারেটের মতো নেশা হয়ে যাবে। এটা সত্য কথা ওনেকে মানুসকে দেখেছি, আইডি ডিএকটিভেট করার পরও, আবার ফেসবুকে ডুকে। আবার কেও কেও আন্স্ট করেও থাকতে পারে না। যেনো রক্তের সাথে মিশে গেছে৷ এরকম যেনো আমাদের সাথে না হয়, তাই আমরা আগে থেকেই সচেতন হয় এবং অপরকে সচেতন করে তুলি।আমি নিজেই একসময় ফেসবুক আসক্ত ছিলাম। ফেসবুক আসক্ত হয়ে আমি নিচের লেখা কবিতাটি লিখেছিলাম।
ফেসবুক
মোঃ রাকিবুল ইসলাম
ফেসবুক আমায় কেন ডাকে
আমি কেনো যায় ফেসবুকে
এটা পুরাই হয়ে গেছে নেশা
যেনো বেধেছি সেখানে বাসা
মনে হয় ঘুরে আসে সামান্য প্রফাইল
সময়ও যেন চলে যায় মাইলর পর মাইল
ঢুকলেই নজরে আসে নোটিফিকেশন
ফেসবুক যেন বলে ‘আমার কথা তুই শুন’
মেসেন্জারের টুং টুং লাগে না আর ভালো
হঠাৎ করেই মেসেজে বলে দেয় কেও হেলো
শুরু হয় ঘন্টা খানিক হুদাই কথা বলা
এভাবে ধীরে ধীরে কেটে যায় পুরো বেলা
ফেসবুক নষ্ট করলো আমার জীবন
ফেসবুক দূর করতে চেষ্টা প্রাণপণ
জীবন আমাদের মোটেও সহজ নয়
কোনভাবে করা যাবে না সময় নয়ছয়