হযরত ইউসুফ (আ) ও জুলেখার কাহিনী ঃ বিস্তারিত জানুন।
হযরত ইউসুফ (আ) ও জুলেখার কাহিনী ঃ-
সর্বোপ্রথম আমার সালাম নিবেন । আজকে আমার আলোচনা নতুন একটি টপিক , সম্পূর্ন আলাদা । ইসলামিক একটি কাহিনী, যা কোরআনে বর্নিত হয়েছে।
এখানে একটা কথা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ —
আমরা অনেকেই বলে থাকি ইউসুফ (আ) ও জুলেখার প্রেম কাহিনী । এটি কিন্তু আমাদের চরম পাপ হবে । কারণ ইউসুফ (আ) একজন নবী ছিলেন আর নবী সবসময়ই পবিত্র হয়ে থাকে ।
তাই তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে ভালো ভাবে বলাই উচিৎ ।
এখন আমাদের ইসলামী আলোচনা শুরু করি। হযরত ইউসুফ (আ) আর জুলেখার কাহিনী টা আমার সবচেয়ে প্রিয় একটা কাহিনি । তাই ভাবলাম আপনার সাথেই শেয়ার করি ।
হযরত ইউসুফ (আ) জুলেখার ছোট ছিলেন আর জুলেখা বড়ছিলেন । হযরত ইউসুফ (আঃ) এতো পরিমানে সুন্দর ছিলেন যে বলার মতো নয় । তাকে পৃথিবীর অর্ধেক সুন্দর দিয়ে তৈরী করা বলে তার সুন্দর্য এতোবেশী ছিল যে, বলার মতো নয় ।
হযরত ইয়াকুব (আ) এর ১১তম পুত্র ছিলেন হযরত ইউসুফ (আ) ।
ছোট বেলায় হারিয়ে গেছিল । আসোলে তার ১০ ভাই তাকে হিংসা করে কুয়ো তে ফেলে দিয়েছিল। আর কুয়োর পানি তুলতে এসে সওদাগরেরা তাকে তুলে তাদের সাথে তুলে সাথে নিয়ে যায় ,পরে তারা তাকে বিক্রি করে দেয় , এভাবে বিক্রি হতে হতে একসময় তিনি জুলেখার বাড়িতে গিয়ে পড়েন । জুলেখার বর ছিল রাজার উজির বৃদ্ধ মানুষ , তাদের দাস দাসির কোনোই অভাব ছিলো না । আর হযরত ইউসুফ (আ) সেখানে দাস হিসেবে কাজ করতেন । জুলেখার বাড়িতে তিনি বড় হন । বড় হওয়ার পর জুলেখা নিজেই হযরত ইউসুফ (আ) কে যিনা করার প্রস্তাব দেন , এর পর হযরত ইউসুফ (আ) তা প্রত্যাখ্যান করেন, এতে জুলেখা রাগান্বিত হন । তারপর জুলেখা হযরত ইউসুফ (আ) কে অপবাদ দেন , ইউসুফ (আ) কে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেন। এর ফলে তাঁর জেল হয়ে যায়। তখন তিনি জেলখানায় মানুষের স্বপ্ন ব্যাখ্যার করতেন, এটা তার একটা অলৌকিক শক্তি ছিল । তিনি জেলখানাতে অনেক দিন কাটান,তারপর বাদশাহ এর স্বপ্নের বাস্তব ব্যাখ্যা করে দিয়ে জেলখানা হতে মুক্তি পান । মুক্তি পাওয়ার পর তিনি রাজকর্ম চারী হিসেবে কাজ করেন । তারপর তিনি এভাবে উজির পদে অধিষ্ঠিত হন । হযরত ইউসুফ (আ) এর সময় একেবারে সাত বছর খরা হয়, কিন্তু তিনি শস্য সঞ্চয় করে রাখেন । এতে আসে পাশের লোকজনেরা সবাই তার রাজ্যে শস্য নিতে আসছিল, আর তার দশ ভাই ও এসেছিল, তিনি তাদের সামনে তার পরিচয় দিলেন না , কৌশলে তাদেরকে শস্য দিলেন এবং পরবর্তী তে তাদেরকে নিজের রাজ্যে রেখে দেন পিতা হযরত ইয়াকুব (আ) সহ ।
এবার জুলেখাও জেলখানা থেকে ছাড়া পেলো , কারন সে হযরত ইউসুফ (আ) বিনা অপরাধে ফাসিয়েছিল , তাই তার ও জেল হয়েছিল । জেল থেকে ছাড়া পাবার পর হযরত ইউসুফ (আ)এর সাথে দেখা হয় , তখন জুলেখা বৃদ্ধ হয়ে যায় , সে কারনে ইউসুফ (আ) তাকে চিনতে পারেনি , কিন্তু জুলেখা তাকে চিনতে পারেন, আর বলেন আমি তোমাকে ছাড়া আর কোনো পুরুষ কে চাইনি, তখন হযরত ইউসুফ (আ) তার কপালে হাত রাখলেন আর তিনি আগের মতো যৌবনকালে ফিরে পেলেন, তারপর জুলেখা কে হযরত ইউসুফ (আ) বিবাহ করলেন । এভাবেই হযরত ইউসুফ (আ) ও জুলেখার পরিণয় ঘটে ।
তো পাঠক বন্ধুরা এটা ছিল সংক্ষিপ্ত কাহিনী, যদি আপনাদের পুরো কাহিনী জানতে চান । তাহলে আমি এবার বিস্তারিত আলোচনা করবো কয়েকটি ভাগে আলোচনা করতে হবে তাহলে এই কাহিনী পুরোটা জানা সম্ভব হবে।