আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব হাঁপানি হলে যেসব খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন তা সম্পর্কে।
হাঁপানি একটি ক্রনিক সমস্যা।এই সমস্যাটি দেখা দিলে বুকে চাপা ভাব,হাঁচি,কাশি,শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেয়।এই রোগটি হলে হাঁপানি রোগীদের ইনহেলার ব্যবহার করতে হয় না হলে হাঁপানি সমস্যায় শ্বাসকষ্টে মারা যেতে পারে।অনেকের জন্মগতভাবে এই সমস্যাটি থাকে আবার অনেকের ফুসফুসের দূর্ঘটনাজনিত সমস্যার কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে।এই রোগের রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা সারাজীবন ভুগতে হয়।বিশেষ করে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার একজন সুস্হ মানুষ খেতে পারলেও হাঁপানি রোগীদের সমস্যা সৃষ্টি করে।চলুন জেনে নিই কি কি খাবার হাঁপানি রোগীদের সমস্যা সৃষ্টি করে-
১।ডিম:এটি স্বাস্হ্যকর খাবার হলেও এটির সাদা অংশে থাকা প্রোটিন হাঁপানি রোগীদের এলার্জি সৃষ্টি করে।তাই আপনার হাঁপানি থাকলে এটি থেকে বিরত থাকবেন।
২।দুধ:এটি খেলে এটিতে থাকা ক্যালসিয়াম মানুষের দৈহিক বৃদ্ধি করে,হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করে।কিন্তু এটিতে থাকা প্রোটিন হাঁপানি রোগীদের সমস্যা সৃষ্টি করে তাই হাঁপানি রোগীদের দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩।বাদাম:বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন বাদাম খেলে হাঁপানি রোগীর সমস্যা বেড়ে যায়।তাই এটি থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪।গম:গমে থাকা গ্লটেন নামক প্রোটিন হাঁপানি রোগীদের সমস্যা বাড়ায় ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।
৫।চিংড়ি:এই প্রাণীটিতে থাকা সালফাইট হাঁপানি রোগীদের অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।
তবে অনেক খাবার আছে যা হাঁপানি রোগীদের সমস্যা কমায়,যেমন-সবুজ শাকসবজি প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমায়।এছাড়া গাজরে বিটা ক্যারোটিন আছে যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমায়।ব্রকলিতে সালফোরাফেউন আছে যা শ্বাসনালির কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয়।সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ আছে যা শ্বাসনালি সুস্হ রাখে।সপ্তাহে দু-তিনটি আপেল শ্বাসনালির সুরক্ষা নিশ্চিত করে।আদা দিয়ে রং চা ও আদা মিশ্রিত পানি শ্বাসনালির সংকোচন ও প্রদাহ,শ্বাসকষ্ট কমায়।এছাড়া রসুন খেলে তা শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করে।রসুনের কোয়া সিদ্ধ করে গরম পানি দিয়ে খেলে শ্বাসনালির জন্য সুস্হতা নিশ্চিত করে।এছাড়া কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল দেবে।
বন্ধুরা,আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।