যদি হাজবেন্ডকে অনেক খুশি দেখতে চান তবে কিছু ব্যাপার লক্ষ রাখার পাশাপাশি কিছু করতেও হবে।চলুন আপনার সাথে কিছু বিষয় শেয়ার করি তবে পড়ুন মনোযোগ দিয়ে।সবার প্রথম এটা খুজে বের করুন যে আপনার হাজবেন্ডের সাথে আপনার সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে,যদি কারন-ই খুজে বের করতে না পারেন তাহলে কিভাবে কি?যাই হোক ধরে নিচ্ছি একটা এমন কারন যে আপনার স্বামী যদি কোনও সুন্দর মেয়ের দিকে তাকাচ্ছেন তবে আপনি রেগে গেলেন এবং তাহলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হবে।
তারপরে আপনি তার সাথে কিছুদিন কথা বলছেন না।আচ্ছা এর মধ্যেও একটা ব্যাপার আছে।আপনি কেবল কেন ভাবেন না যে এটি আপনার ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে। তিনি সম্ভবত সেই সুন্দর মেয়ের পোশাক দেখেছে এবং ভাবছেন যে তিনি আপনার জন্য একই ধরণের পোশাক কিনবেন বা তিনি সেই সুন্দর মেয়েটির কানের দুলটি দেখছেন এবং আপনার জন্য একই কানের দুল কেনার কথা ভাবছেন।কি হতে পারে না? ভাবুন তো???তাহলে অযথা ঝগড়ায় জড়িয়ে সংসারে আগুনের দরকার নাই তো,বরং আসল ব্যাপারটা বের করে নিন আর নিজের খাচায় বেধে রাখুন তাকে,বুঝলেন না তো???
আচ্ছা তবে আমি বলছি,আপনি একটি কাজ করেন, তার কাঁধে হাত রাখুন, আপনার স্বামী যে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছেন তার দিকে তাকান এবং “এটি কত সুন্দর” তা বলুন।একবার বলেই দেখুন তার প্রতিক্রিয়া কী হয়??পোষাক বা দুল সম্পর্কে আমি বলছি,আপনি যে কোন ব্যাপারে এই টেকনিক টি কাজে লাগান,এরকম ৪/৫ বার করুন দেখবেন তার পরের বার আপনার হাজবেন্ড আপনাকে দেখবে বুঝতে দেবেন না যে আপনার রাগ বা খারাপ লাগছে বরং তাকে এমন এক্সপ্রেশন দিবেন যেন মনে হয় আপনি ওই মেয়ের গলার নেকলেস বা দুল বা পোষাক ইত্যাদির দিকে দেখছেন এবং আপনার হাজবেন্ডকে সেটাই বোঝাতে চাচ্ছেন।
তবে কি হবে জানেন ??? আপনার উনি ভাববে যে আপনি তার তাকিয়ে থাকাকেও পজিটিভ হিসেবে নিয়েছেন,এতে ওনার বিশ্বাস সাহস বাড়বে,আর এরপর যদি সে সত্যিই কোন মেয়েকে দেখে তবে সেটাও আপনার কাছে শেয়ার করবে,কেননা উনি জানেন আপনি তাকে এসব নিয়ে কিছুই বলেন না।আর এতে কার লাভ হলো ভাবুন,খোলা আকাশটি তার সামনে দৃশ্যমান ছিল .. সুতরাং তার মনে হচ্ছে সে মুক্ত এবং একই সাথে আপনি খুশি হবেন যে তিনি আপনার খাঁচায় রয়েছেন।একি সাথে দুই পাখি মারা হলো।ঝগড়াও হলো না আবার আপনিও উনার ওপর কন্ট্রোল রাখলেন।আর সে আপনাকে নিয়ে সুখি অনুভব করবে তখন।
এবার আসি আরেকটা ব্যাপারে,ধরুন আপনার স্বামী যখন রাতে কাজ থেকে ক্লান্ত হয়ে ঘরে আসে, রাতে তাকে ঘুমানোর সময় বলুন, “আরে! আপনি কি খুব ক্লান্ত?আমি কি আপনার মাথা টিপবো?”কোন ব্যাপার না,অবশ্যই তিনি না বলবেন, তাকে নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই!
আর যদি উনি হ্যাঁ বলে,তবে না ভেবেই যা বলেছেন তা করুন! তবে আপনার মুখে উত্তেজনা যেন বিবর্ণ না হয়।মাথা টিপতে শুরু করুন। ৫-১০ মিনিট পরে বলতে শুরু করুন, “সারাদিন প্রচুর কাজ ছিল! আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম আজ। আমার কোমরটি সবেমাত্র ব্যথা করা শুরু করেছিল।দেখবেন অবশ্যই তিনি বলবেন আচ্ছা শোন থাক আর মাথা টিপতে হবেনা, আমি তোমার কোমরে হাত দিয়ে দেই।এবং সে যেমন বলেছিল তেমন ই করবে।এতে সে বিরক্তবোধও করবেনা আবার আপনার ভালোবাসাও হাসিল হয়ে গেলো।এতে নিজেও আপনাকে নিয়ে অনেক হ্যাপি থাকবে।
আচ্ছা ধরুন যে আপনার স্বামী কোন কারণে আপনার উপর রাগ করেছেন, তাহলে নিজেও রেগে গিয়ে ঝগড়া করতে যাবেন না তাহলে হিতে বিপরীত হবে বরং তাকে সম্পূর্ন করতে ভুলবেন না। এখন আমাকে আবার বইলেন না কীভাবে এটি প্রয়োগ করবেন।আচ্ছা আপনি আপনার স্বামীর বুকের উপরে মাথা রাখুন এবং একটি দৃষ্টিনন্দন হাসি এবং আকর্ষণীয় চেহারার সাথে তাকে বলুন “!!! আপনি কি আমার উপর রাগ করছেন?তারপরের যাদু নিজেই বুঝে যাবেন।যাকে আমরা বলি রাগ ভাঙ্গানো।যাই হোক।
মনে রাখবেন জীবন খুব সামান্য সময়ের। বিয়ে করার অর্থ হলো আপনার বয়স ২৫/৩০ থেকে ৪০/৫০ বছরের মধ্যে আপনার জীবনের মুহুর্তগুলি আপনি যখন ঐ দিনগুলি মনে করবেন,তখন আপনি ভাববেন যে আপনি জীবনভর কতটুকু ভালোবাসা পেয়েছেন বা ভালোবেসেন।আর সেই সময় এই সুন্দর মুহুর্তগুলোকে কি মনে করতে চাইবেন? সিদ্ধান্ত নিন আজই!!