সমুদ্রের নিচে বিস্ময়কর যত বাড়ি

আকাশ ছোঁয়া দালান দেখতেই অভ্যস্ত আমরা। আজকাল অবশ্য মানুষ ভূগর্ভেও দালান বানাচ্ছে। তবে সেই দালানের সৌন্দর্য দেখা যায় না। কিন্তু দালান যদি হয় পানির নিচে? সাগরের গভীরে? সমুদ্রের স্বচ্ছ নীলচে কিংবা সবুজাভ পানির নিচের দালান আসলে দেখতে কেমন হবে? সেই দালানের সৌন্দর্য কি শুধু মানুষই দেখবে নাকি অবাক হয়ে দেখবে সাগরের প্রাণীরাও। সাগরের নিচে বাড়ি বানানো কঠিন ব্যাপার। সেই কারণেই বোধ হয় এর সৌন্দর্যও অনেক বেশি। সমুদ্রের নিচের ছয়টি আশ্চর্য সুন্দর ভবনের কথা নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।

পৃথিবীর প্রথম পানির নিচের গ্রিনহাউস

পৃথিবীতে অনেক গ্রিনহাউস প্রকল্প রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই মাটির ওপরে। ইতালির এই গ্রিনহাউসটি পানির নিচে অবস্থিত। ওশান রিফ গ্রুপ এ ধরনের পাঁচটি ডুবন্ত গ্রিনহাউস বানিয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই গ্রিনহাউস ২০ ফুট নিচে অবস্থিত। যেসব এলাকার মাটিতে সারের পরিমাণ কম, সেসব এলাকায় কিভাবে ফসল উৎপাদন করা যায় তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ পানির নিচের এই গ্রিনহাউস।

দ্য ওয়াটার ডিসকাস হোটেল

মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে অবস্থিত এই হোটেলটির ডিজাইন অন্যরকমের। সমুদ্রের নিচে এই হোটেলে অবস্থান করে খুব কাছ থেকে দেখা যায় সমুদ্রের নিচের প্রাণীদের জীবন। তবে প্রাণীদের দেখতে আপনাকে পানিতে ভিজতে হবে না। ভবিষ্যতের বাড়ির ডিজাইনগুলোর মধ্যে এ বাড়িটি অন্যতম। ২০১২ সালে এই বাড়ি বানানোর ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১৬ সালে হোটেলটি সম্পন্ন হয়। হোটেলটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

পানির নিচে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেস্তোরাঁ

সমুদ্রের নিচে বসে দুপুর বা রাতের খাবার খাচ্ছেন। পাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে হরেক রকমের মাছ। এমনটা আর ভাবনাতে নেই। মালদ্বীপের হুরাওয়ালহি আইল্যান্ড রেস্তোরাঁয় বাস্তবে আপনি এ ধরনের আতিথেয়তার সুযোগ নিতে পারবেন। এই রেস্তোরাঁর দেয়ালগুলো বানানো হয়েছে স্বচ্ছ কাচ দিয়ে। এ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে ৩০ জন বসে খাবার গ্রহণ করতে পারে।

প্লানেট ওশান আন্ডারওয়াটার হোটেল

এ হোটেলটির অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে। প্রবাল দ্বীপ রক্ষা করার স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে বানানো এ হোটেলটি স্থান পরিবর্তন করতে পারে। হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন, স্থান পরিবর্তন করতে পারে এই হোটেল। এতে ১২টি গেস্টরুম ও একটি ডাইনিংরুম রয়েছে। হোটেলের লবিও রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮ ফুট নিচে হোটেলটি অবস্থিত। এলিভেটরের সাহায্যে গ্রাহকদের সমুদ্রের ওপর থেকে নিচে নিয়ে আসা হয়। এ হোটেলে থাকতে হলে প্রতিরাতে গুনতে হবে ৩ হাজার ডলার।

মান্টা রিসোর্টস আন্ডারওয়াটার রুম

তানজেনিয়ার পেম্বা আইল্যান্ডে অবস্থিত পানির নিচের এই কক্ষটি বেশ আকর্ষণীয়। আফ্রিকাতে এটিই প্রথম পানির নিচে থাকার ব্যবস্থা। সুইডেনের জেনবার্গ প্রতিষ্ঠান এ বাড়ির ডিজাইন করেছে। এ হোটেলে আপনি কোনো ডুবোজাহাজে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। প্রতিরাতে এ হোটেলে থাকতে খরচ হবে ১ হাজার ২০০ ডলার।

Related Posts

23 Comments

মন্তব্য করুন