আসসালামু আলাইকুম দর্শকমণ্ডলী। আজকে আমি একটি খুবই সাধারণ ও মারাত্মক সমস্যা নিয়ে কথা বলব।।এই সমস্যাটা আমাদের দেশের খুবই মারাত্মক একটা সমস্যা।।যখন কারো হৃদপিন্ডের যেকোনো অংশে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় কিংবা বাধাগ্রস্ত হয় তখন হৃদপিন্ডের কোষ বা হৃদপেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।।এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন, করোনারি থ্রম্বোসিস ইত্যাদি,যেসব সমস্যাকে একনামে হার্ট অ্যাটাক নামে ডাকা হয়।।আমাদের দেশে হ্রদরোগ বিশেষ করে করোনারি (coronari)হৃদরোগির সংখ্যা আস্তে আস্তে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে।।আমাদের দেহে হৃদপিণ্ড রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ও খাবারের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রক্তনালীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়।।নিজের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য অর্থাৎ তার হৃদপেশীর অক্সিজেন ও পুষ্টি অর্জনের জন্য হৃদপিন্ডের তিনটি প্রধান রক্তনালী আছে।।এসব রক্তনালীর মধ্যে অনেক সময় চর্বি জমে থাকে এবং স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে ফলে প্রাণঘাতী রোগ হার্ট অ্যাটাক হয়।।এখন এই হার্টঅ্যাটাকে শুধু বয়স্ক লোকেরা এ আক্রান্ত হচ্ছে না অনেক সময় তরুণরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।।।এই হার্টঅ্যাটাকের সাথে আমাদের দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।।।আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার(বার্গার,তেহারি,বিরিয়ানি, চিকেন প্যাটিস) খেলে, অলস জীবন যাপন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।।।তাছাড়া অনেক সময় হতাশা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকায় যেকোনো বয়সে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটা পরিমাণ বেড়ে যায়।।
এখন আসি এই রোগের লক্ষণ নিয়ে।।হার্ট অ্যাটাক হলে আমাদের শরীরে অসহ্য ব্যথা অনুভব হয় বিশেষ করে বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয় প্রাথমিকভাবে এসিডিটি মনে করে এন্টাসিড ওষুধ খেলে কমবে না।।এই ব্যথা আমাদের শরীরের বাম দিকে অথবা সারা বুকে ছড়িয়ে যেতে পারে আবার অনেক সময় ব্যথা গলা এবং বাম হাতে ছড়িয়ে যায়।।ফলে রোগী প্রচণ্ড ভাবে ঘামতে থাকে এবং বুকের উপর প্রচন্ড চাপ অনুভব করতে থাকে।।রোগীর যদি আগে থেকেই রক্তে গ্লুকোজের সমস্যা থাকে তাহলে অনেক সময় বুকে চাপ অনুভব করা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।।ফলে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সর্বনাশ হয়ে যায়।। এজন্য যাদের রক্তে গ্লুকোজের সমস্যা আছে তাদের কোনো অসুবিধা বোধ না করলে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করানো উচিত।।
এখন আসি প্রতিকার নিয়ে।।এমন অবস্থা দেখলে অবহেলা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইসিজি করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।। করোনারি হৃদরোগে এক মারাত্মক রোগ।। এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই দরকার যাতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।।।।যেমনঃধূমপান না করা, প্রতিদিন ব্যায়াম করা বা হাটা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা, শাকসবজি বেশি বেশি করে খাওয়া এবং চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়া ইত্যাদি।।।