আজ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি Health রিলেটেড টপিক লিখব।টপিকটি কিভাবে হাড়ের ব্যাথাজনিত সমস্যা থেকে নিজেকে সেফ্ রাখবেন এই বিষয় নিয়ে। টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই মনযোগ দিয়ে পড়লেই অনেক কিছু জানতে পারবেন ও সতর্ক হতে পারবেন।তো চলুন শুরু করা যাক আজকের গুরুত্বপূর্ণ টপিকটি।
হাড়ের ব্যথা হল এক বা একাধিক হাড়ের তীব্র ব্যথা, অস্বস্তি। এটি পেশী এবং জয়েন্টের ব্যথার থেকে পৃথক হয়। এই ব্যথা সাধারণত হাড়ের স্বাভাবিক ক্রিয়া বা কাঠামোকে প্রভাবিত করে এমন রোগগুলির সাথে সম্পর্কিত।
অনেক কারণে হাড়ের ব্যথা হতে পারে।যেমন ইনজুরি হলে বা আঘাত পেলে। আঘাত হাড়ের ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। সাধারণত, এই ব্যাথা দেখা দেয় যখন কোনও ব্যক্তি কোনও ধরণের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়, যেমন একটি গাড়ী দুর্ঘটনা বা উচঁ কোন স্থান থেকে পড়ে যাওয়া। এর প্রভাবে হাড় ভেঙে পাড়ে। যে কোন হাড়ের ক্ষতিও কিন্তু হাড়ের ব্যথার কারণ হতে পারে।অনেক সময় দেখা যায় মিনারেল, ভিটামিন,ক্যালসিয়াম ইত্যাদির অভাবে সব বয়সীদেরই তীব্র হাড়ের ব্যাথা অনুভব হয়।শক্তিশালী থাকতে আপনার হাড়ের ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সহ বিভিন্ন ধরণের খনিজ এবং বিভিন্ন ভিটামিন ধরণের প্রয়োজন, কারণ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে অস্টিওপরোসিস হয় যা হাড়ের রোগের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ধরণের হয়ে থাকে। অস্টিওপরোসিসের শেষ পর্যায়ে কিছু লোক তীব্র হাড়ের ব্যাথায় ভোগেন।আবার কিছু রোগ যেমন “সিকেলের সেল অ্যানিমিয়া” হাড়ের রক্ত প্রবাহে হস্তক্ষেপ করে। এক্ষেত্রে হাড়ের টিস্যু মারা যেতে শুরু করে। এটি হাড়ের দুর্দান্ত ব্যথার সৃষ্টি করে এবং হাড়কে দুর্বল করে। এই রোগে আক্রান্ত লোকেরা প্রায়শই হাড়ের ব্যথায় ভোগেন।আবার,যদি কোন সংক্রমণ দেখা দেয় বা তা হাড়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, যা অস্টিওমেলাইটিস নামে পরিচিত, একটি গুরুতর অবস্থার কারণ হতে পারে। এই হাড়ের সংক্রমণ, হাড়ের কোষগুলি মেরে ফেলতে পারে এবং যার ফলে হাড়ের ব্যথা হতে পারে।তাই তীব্র ব্যাথা অনুভুত হয়।
লিউকেমিয়া হলো হাড়ের মজ্জার ক্যান্সার। অস্থি মজ্জা বেশিরভাগ হাড়ের মধ্যে পাওয়া যায় এবং এটি হাড়ের কোষ তৈরির জন্য দায়ী। লিউকেমিয়াযুক্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই হাড়ের ব্যথা অনুভব করেন, বিশেষত পায়ে।এছাড়াও হাড়ের ব্যাথার অনেক কারণই রয়েছে,তবে এই কারণগুলো মোটামুটি কমন ই বলা যায়।অর্থাৎ অনেকেরেই এই কারণ গুলোর জন্যই হাড়ের ব্যাথা হয়ে থাকে।
এখন কিভাবে হাড় ব্যাথা হওয়া থেকে নিজেকে ঠিক রাখবেন?
-ভালো মানের Pain reliver ব্যবহার করুন।আবার সাময়িক ব্যাথা বন্ধ করার জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেনম
-আপনার যদি হাড়ের সংক্রমণ হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ সাজেশন নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে পারেন।
-অস্টিওপোরোসিসযুক্ত লোকদের ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর মাত্রা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।তাই ভিটামিন ডি জাতীয় ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়,সেটি খেতে পারেন,ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেট ও খেতে পারেন
-নিয়মিত ৭-৮ গ্লাস পানি খান
-একটু হলেও দৈনিক ব্যায়াম করুন।আর ঘুম থেকে উঠে প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে কোনো ভারী বস্তু
উঠাবেন না, এতে আপনার হাড়ের ক্ষতি হতে পারে।। তাই ঘুম থেকে উঠলে কোন ভারী বস্তু উঠাতে হলেও অন্তত 30 মিনিট অপেক্ষা করুন।
-প্রতিদিন পারলে দুধ খান,আর কমলা ,বাদাম,শাকসবজি, ফলমূল এগুলো খেলে হাড়ের ব্যাথা হওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।মনযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।কোথাও ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।