আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি ।তো আজকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হল ,হ্যাকিং ।
হ্যাকিং আসলে কি ?
এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের প্রত্যেকের কম বেশি আগ্রহ রয়েছে ।
অনেকে তো শখের বসে হ্যাকিং শিখতে চাই,
আবার কেউ কেউ প্রফেশনাল হ্যাকিং শিখতে চাই ,
আজকে আমরা জানবো হ্যাকিং কি।
তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, চলুন ঘুরে আসি হ্যাকিংয়ের দুনিয়া থেকে👇👇👇👇
প্রশ্ন: হ্যাকিং আসলে কি?
উঃ হ্যাকিং হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটির বেড়া জাল ভেদ করে ভেতরে থাকা সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া কে কি বলে ।
অর্থাৎ একজন মানুষ তার প্রাইভেসির ভিতর কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখার আপনি সেগুলো তাকে না জানিয়েই নিয়ে নিলেন ।
তো এক্ষেত্রে সেই জিনিসটাকে হ্যাকিং বলে।
অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে হ্যাকিং অর্থ চুরি করা।
হ্যাকিং কত প্রকার?
আসলে হ্যাকিং অনেক প্রকারের রয়েছে, এর মধ্যে কিছু হ্যাকিং হচ্ছে খুব সাধারণ যেমন: ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং ,ফেসবুক হ্যাকিং,
জিমেইল হ্যাকিং, Instagram হ্যাকিং, linked হ্যাকিং, টুইটার হ্যাকিং ইত্যাদি।
আবার কিছু কিছু আছে বড়মাপের হ্যাকিং যেগুলো প্রফেশনাল হ্যাকাররা ছাড়া কেউ পারেনা। এরকম কিছু হ্যাকিং এর নাম হচ্ছে:
ওয়েবসাইট হ্যাকিং,
সিক্যুয়েল ইনজেকশন,
ডেটাবেজ হ্যাকিং,
ইত্যাদি ।
হ্যাকারেরা প্রধানত টারমাক্স, কালি লিনাক্স হ্যাকিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে হাকিং করে থাকে ।
এছাড়াও তারা ওয়েবসাইটের কোনো খুঁত খুঁজে পেলে তার মাধ্যমে হ্যাকিং করতে ছাড়ে না।
অনেক সময় দেখা যায় একটি ওয়েবসাইট নিখুঁত তৈরি করার পরেও তা হ্যাক হয়ে যায় ।
এর আসল কারণটি হচ্ছে, হ্যাকাররা একটু ফাকা জায়গা পেলেই সে পাশ দিয়ে হ্যাকিং শুরু করে দেয় ।
প্রশ্ন: হ্যাকার কারা?
উত্তর: যারা সাইবার সিকিউরিটির খুঁত বের করে সেখানে ঢুকে বিভিন্ন মূল্যবান তথ্য হাতিয়ে নেয় তাদেরকে হ্যাকার বলে।
অনেক কথা বলা হল । এর পরে তুলনা করা যাক একজন প্রোগ্রামার এবং একজন হ্যাকার এর মধ্যে👁️👁️👁️
তুলনা: একজন প্রোগ্রামার যিনি প্রোগ্রামিংয়ের বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা রাখেন ।
তার পরেও তিনি সাধারণ এর কারণ হচ্ছে তিনি প্রোগ্রামিংয়ের গভীর পর্যন্ত বিশ্লেষণ করেন না । কিন্তু একজন হ্যাকার হ্যাকিং শেখার আগে প্রোগ্রামিং এর সম্পূর্ণ খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে দেখেন তিনি প্রোগ্রামিংয়ের গভীর পর্যন্ত বিশ্লেষণ করেন, এরপর তিনি সেই অনুযায়ী কমান্ড বানান এবং এরপর তিনি হ্যাকিং কার্যকলাপ চালান ।
এতে করে তাকে অনেক সময় ইনভেস্ট করতে হয় হ্যাকিং এর পেছনে ।
আর বর্তমানে অনলাইনে
হ্যাকার এবং হ্যাকিংয়ের অভাব নেই।
তো বন্ধুরা এবার জানা যাক আর কয় প্রকার?
হ্যাকার প্রধানত তিন প্রকার: হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার , ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এবং গ্রে হ্যাট হ্যাকার । তো চলুন হ্যাকারদের শ্রেণীবিভাগ এর সম্পূর্ণ আলোচনা দেখে আসতে থাকে👍👍👍👍
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার: হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা সাধারণতঃ ভালো হয়ে থাকে । এরা মানুষের ক্ষতি করতে চাইনা এরা মানুষের উপকার করে এরা মানুষের । জিনিসপত্র ফিরিয়ে আনে যেমন কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে গেলে বাকার ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইট ব্যাক করে এরা সাধারনত হ্যাকিং করে থাকে । কোন ওয়েবসাইটের কোনো খুঁত রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য এবং যদি খুঁত খুঁজে পাই তাহলে সেটা সমাধান করে আবার সিস্টেমকে আগের মতো করে বের হয়ে আসে।
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার: ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা সাধারণতঃ খারাপ উদ্দেশ্যে হ্যাকিং করে থাকে
এরা মানুষের জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয় যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে মানুষের টাকা চুরি করে নেয় কখনো বা ওয়েবসাইট হ্যাক করে ওয়েবসাইট এর ভিতরে থাকা মূল্যবান জিনিস গুলো নিয়ে যায় যেমন বাস্তব ভাবে উদাহরণ দিতে গেলে দেখা যায় অনেকে ইউডেমি এর প্রিমিয়াম কোর্সগুলো বিনামূল্যে লিক করে থাকে যার ফলে ইউডেমি এর অনেক লস হয় এবং যার কোর্সটি লিক করা হয় সে মানুষটা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ দেখা গেছে এক একটি কোর্স এর দাম প্রায় 200 ডলার 400 ডলার এমন এই কোর্সগুলোকে লিক করার ফলে সেই কোর্স দাতার অনেক লস হয়।
গ্রে হ্যাট হ্যাকার: গ্রে হ্যাট হ্যাকাররা সাধারণতঃ খারাপ না ভালো না এরা অনেকটা নিরপেক্ষ গ্যাসের মত কাজ করে । এরা কখনো হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এর মত মানুষের উপকার করে । আবার কখনো ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এর মত মানুষের ক্ষতি করে থাকে । এরা সাধারণত প্রফেশনাল হ্যাকার হয় না তারা শুধুমাত্র নিজেদের মনের পিপাসাকে মিটানোর জন্য হ্যাকিং করে থাকে কথায় বলা যেতে পারে তারা হ্যাকিং নিয়ে বেশ অনেকটাই এক্সাইটেড যার কারণে তারা কোন সময় না বুঝেই ভুল দিকে পা বাড়াই।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ছিল এ পর্যন্ত আমার জ্ঞানে থাকা হ্যাকার শ্রেণীবিভাগের সম্পর্কে কিছু তথ্য পরবর্তী পোষ্টের আগ পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি