হাই, আমি আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভবিষ্যতের খবর যেগুলো আমরা জানতে পেরেছি আমাদের বিজ্ঞানীদের থেকে। আর বেশী কথা না বলে শুরু করছি আজকের ব্লক “২০৫০ সালের মধ্যে ঘটতে পারে এমন কিছু ঘটনা”
১ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু
অনুমান করা হচ্ছে ২০২৯ সালে “এপপহিস” নামে একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুবই পাশ দিয়ে যাবে। আর এর ২.৭ শতাংশ সম্ভবনা আছে যে এটি পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খাবে এবং সেই সাথে পুরো মানব জাতিকে ধ্বংস করে দেবে। হ্যাঁ তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কারণ ৯৭.৩% আমাদের সাথে আছে আর আমাদের সেটার উপর নজর দেওয়া উচিৎ। নাসা ২০০৪ সালে আইফেল টাওয়ারের সমান একটি গ্রহাণু দেখতে পাই যেটি সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর খুব পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। নাসার একটি গবেষণায় জানা গেছে এই গ্রহাণুটি ১৩ এপ্রিল ২০২৯ সালে পৃথিবীর মাত্র ৩২০০০ কিলোমিটার পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে। মানে আপনি খালি চোখে সেটিকে দেখতে পারবেন কোন রকম দূরবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া। যদিও বিজ্ঞানীদের মতে এই গ্রহাণুটি থেকে কোন বিপদ হবে না। তবে অনেকেই বলেন এটি পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খাবে।
২ভেনিস শহর এর ধ্বংসযজ্ঞ
এর পর যা আমি আপনাদের জানাতে চাই সেটি হচ্ছে ইতালির পানির উপরে থাকা শহর ভেনিস এই দশকের পর আর মানুষের বসবাসযোগ্য থাকবে না।
নাসার মতে উত্তর অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়ার ফলে সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এর ফলে বেশ কয়েকটি দেশের প্রচুর ক্ষতি হবে যেমন ইতালি শহর ভেনিস পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে যাবে যার ফলে এই শহরটি আর মানুষের বসবাসযোগ্য থাকবে না।
৩ মহাকাশের খবর
২০২৪ সালে স্পেস এক্স তাদের প্রথম কার্গো স্টার্শিপ সাটাল স্পেসে পাঠাবে। আর এর দুই বছর পর ২০২৬ সালে স্পেস এক্স মহাকাশে মানুষ পাঠাবে। আর এটা স্পেস এক্স এজন্য করতে চাই যে স্পেস এক্স এর সিইও ইলন মাস্ক ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষকে অন্য একটি গ্রহে দেখতে চান। তিনি মনে করেন এটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হবে। আমরা সবাই জানি স্পেস এক্স একটি সফল স্পেস এজেন্সি সুতরাং তারা হয়তো এই মিশনটি সম্পন্ন করতে পারবে আর যদি এই মিশন সফল না হয় তাও আমেরিকার কাছে আরেকটি বেকাপ প্ল্যান আছে। যেখানে না নাসা থেকে একটি মহাকাশে মানুষ পাঠানোর মিশন করা হবে ২০৩০ সালে। যাই হোক মঙ্গল গ্রহের যেই আগে পৌঁছায় না কেন, মঙ্গল গ্রহে মানববসতি করা অত সহজ হবে না। কারণ পৃথিবী হতে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব প্রায় ছয় মাসের বেশি। আর এই মিশন সম্পন্ন করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। মঙ্গল গ্রহে পৌঁছানো সম্ভব হলে সেখানে আমরা ফিজিক্যাল কারেন্সি ব্যবহার করতে পারব না। অর্থাৎ সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহৃত হবে। স্পেস সম্পর্কে তৃতীয় খবরটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনকে নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের মধ্যে অধিক খরচের কারণে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন কে অব্যাহতি করে দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার দন্ডের কারণে বর্তমানে রাশিয়ার আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন চালানোর জন্য বেশির ভাগ খরচ একাই যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হয়। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এর খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর এ খরচ এতই বেশি যে গত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র একাই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন এর পেছনে ১০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ফলে এর একটি বড় সম্ভাবনা আছে যে ২০২৪ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে তবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন এর ম্যানেজার একটি ইন্টারভিউতে বলেন হয় তো আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বন্ধ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেরি হতে পারে। কিন্তু এটি শতভাগ নিশ্চিত নয়।
প্রযুক্তির খবর
বেশ কিছু গবেষণা এবং ভবিষ্যৎ বাণী হতে জানা গিয়েছে যে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রযুক্তি এত বেশি উন্নত হয়ে যাবে যে মানুষ রোবট এর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। তখন পৃথিবীতে মানুষ এবং রোবট থেকে একমাত্র রোবট বেশি বুদ্ধিমান হবে এবং মানব জাতির জন্য অনেক ভয়ঙ্কর হতে পারে। আর যদি সত্যি সত্যি রোবট মানুষের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান হয়ে মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন পৃথিবীতে একমাত্র রোবট রাজ করবে।
আজ এই পর্যন্তই, সবাই ভাল থাকবেন. ধন্যবাদ