আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা! আজকে grathor.com এর আমার এই পোষ্টে স্বাগতম! আজ ২০২১ সালের সপ্তম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন নমুনা উত্তর সহজ ও সাবলীল ভাষায় এই পোষ্টে দেওয়া হবে। তাই পোস্ট টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রশ্ন টি-
‘ সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশন’ ৩০০ শব্দের মধ্যে নিবন্ধন রচনা লিখ।
‘ সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশন’
ভূমিকা-পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে কঠোর পরিশ্রম করে বেঁচে থাকতে হয়। আমাদের জীবনে উন্নতি করতে হলে জীবন যাত্রার মান বাড়াতে হলে, জীবনকে সুখী করতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। মানুষের মেধা শ্রম ও কায়িক শ্রমের মাধ্যমেই আমরা আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মানবজাতির মেধা ও শ্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কেউ উন্নতি করতে পারে না। সাধারণত আমরা জানি শ্রম হলো দু প্রকার দৈহিক বা কায়িক শ্রম, মানসিক শ্রম। শরীর থেকে যে শ্রম করা হয় তাকে দৈহিক বা কায়িকশ্রম বলে। আর যে শ্রমে বুদ্ধিমত্তা তথা জ্ঞান খরচ করা হয় তাকে মানসিক শ্রমে বলে। মানব জীবনে উভয় শ্রমই মূল্যবান।
শ্রমের গুরুত্ব-
এই পৃথিবীতে যারা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে সবাই অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে করেছে। শ্রম হীন অলস জীবন পঙ্গু জীবনের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে হয়। আধুনিক বিশ্বের যত বিস্ময়কর আবিষ্কারঃ রয়েছে তার সবই নিরলস শ্রম এর ফসল। শ্রমবিমুখ মানুষ দেশ ও জাতির জন্য বোঝা। শ্রমহীন মানুষ জীবনে উন্নতি ও সাফল্য অর্জন করতে পারে না। সকল উন্নতির মূলে রয়েছে শ্রম। পৃথিবীর জ্ঞানী ব্যক্তিদের আচরণ এবং উপদেশ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা কোন কাজকেই ছোট করে দেখেননি। কোন শ্রমকে তারা মর্যাদাহানিকর বলে মনে করেনি। তাদের কাছে কাজের ছোট বড় বলে কিছুই নেই। সকল কাজের প্রতি তারা সম্যকভাবে শ্রদ্ধাশীল। সেকারণেই তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। এ কথা সত্য যে জাতি শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সে জাতি তত উন্নত ও সম্পদশালী। তাই মানব জীবনে শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম শ্রমবিমুখ তার কারণে আমরা আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে আমাদের জনসংখ্যাকে জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদের জন্য শ্রমের ক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে। কঠোর পরিশ্রম উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জনগণকে পরিশ্রম করে তুলতে পারলেই জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে সকল অভাব অনটনের অবদান করবে তাই বলা যায় মানব সভ্যতা বিকাশের কায়িক শ্রম এর অবদান অনস্বীকার্য।
মেধা শ্রমের গুরুত্ব-
চিন্তা,ভাবনা, গান ইত্যাদি ব্যবহার করে যখন কোন কাজ করা হয় তখন তাকে মেধাশ্রম বলে। মানুষ সভ্যতার বিকাশে কায়িক শ্রমের মতই মেধাশ্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যেমন- জ্ঞান, বিজ্ঞান ইতিহাস,লেখা, মানচিত্র আকা মানব সভ্যতার বিকাশে মেধাশ্রম এর অবদান অনেক বেশি। কেননা মেধাশ্রমের বলেই আজ আমরা একটি উন্নত মানব জাতি। পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলার মূলে রয়েছে মানুষের কায়িক শ্রম ও মেধা শ্রম। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপান, জার্মানি প্রভৃতি দেশতাদের কায়িক শ্রমের কার্যক্রমের পাশাপাশি মেধা শ্রমের যথাযথ ব্যবহার করতে পেরেছে বলেই তারা এত উন্নত। বিশ্বে তারা সভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় পেয়েছে। শুধু কায়িক শ্রম ও মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে সভ্যতার বিকাশ হয়েছে।
উপসংহার-
পৃথিবীতে স্মরণীয়-বরণীয় হতে হলে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে হলে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে শ্রম এর বিকল্প নেই ব্যক্তিগ শ্রম জাতীয় জীবনের সফলতা জগতের বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই আমাদের সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং এর পাশাপাশি মেধাশ্রম কেউ কাজে লাগে সকল কাজ সম্পাদন করতে হবে।
সকল শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান পেতে grathor.com এর সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।