আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে থাকি। কিন্তূ এই চিন্তা যখন দুশচিন্তায় পরিণত হয় তখনই কাজে বেঘাত ঘটে। কোনো সমস্যা নিয়ে বারবার চিন্তা করলে আর ভয় পেলে টা দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়। আর একবার দুশ্চিন্তা করা শুরু করলে টা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বেশি চিন্তা আমাদের শরীর ও মন দুটোকেই অসুস্থ করে তুলে।
অতিরিক্ত চিন্তার কারণে আমরা অনেকেই মানুষিক সমস্যায় ভুগি। এমনকি অতিরিক্ত চিন্তা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ায় দুশ্চিন্তাকে আমাদের জীবন থেকে একেবারে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই দুশ্চিন্তা কমাতে হবে যাতে আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব না পরে।
আসুন জেনে নেয় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ত্যেকে কিভাবে বাঁচবেন আর অহেতুক দুশ্চিন্তার কারণে কি কি হয়।
অহেতুক দুশ্চিন্তার কারণে করলে কি হয়?
দুশ্চিন্তার সূত্রপাত যেকোনো জায়গা থেকেই হতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন জীবন, কর্মক্ষেত্র, পারিবারিক জীবনে এমন অনেক কিচি ঘটে থাকে যা আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ। আর এর প্রভাব পরে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর।
কাজের পরিমান কমে যাওয়া
সাধারণত ঝখন আমরা খালি সময় কাটাই তখনই দুশ্চিন্তরা হানা দেয়। কিন্তূ অতিরিক্ত টেনশন করলে কাজের সময় ও এই দুশ্চিন্তাগুলো আমাদের জেজে বসে। ফলে আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
আমরা ঠিকমত কাজ করতে পারিনা। এমনকি কাজে অনেক ভুল ত্রুটিও করে ফেলি।
ঘুম কমে যাওয়া
দিনের ব্যস্ততা শেষে যখন আমরা রাতে ঘুমাতে যাই তখন আমাদের সমস্যা গুলো মাথায় আসতে থাকে। এবং আমরা সেগুলো নিয়ে টেনশন করতে থাকি ফলে আমরা ঠিকমতো ঘুমাতেও পারিনা।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সামলাবেন কিভাবে?
১। নিঃশ্বাস নিন
জোরে একটি নিঃশ্বাস নিন, কিছুক্ষন ধরে রাখুন এরপর ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এটি অনুশীলনের মাধ্যমে ধকল কমবে। বিশেষ করে ভোর বেলা বা খুব সক্ষলে এই ব্যায়াম করলে ভালো হয়।
এছাড়া কাজের খুব স্ট্রেস থাকলেও এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।
২। চা পান করুন
ধকল কমাতে চায়ের কোনো বিকল্প নেয়। কিন্তূ মালাই দেওয়া চা বা বেশি দুধ চিনি দেওয়া চা খেলে বরণ স্বাস্থ্যের ক্ষতিই হবে। এজন্য পান করুন গ্রীন টি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
এর সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু। এটি পান করলে ক্লান্তি কমে যায় অনেক খানি। যা আপনাকে অনেকটা স্ট্রেস ফ্রীও রাখবে।
গরম চা পান না করতে চাইলে আপনারা আইস টি ও পান করতে পারেন।
৩। সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালান
আরোমাথেরাপির কথা হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন। এটি ক্লান্তি দূর করে দেয় অনেকখানি। ফলে আপনার মাইন্ড স্ট্রেস ফ্রি থাকে। বিশ্রামের সময় সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালাতে পারেন।
এতে আপনি ভালোবসবে ঘুমাতে পারবেন। এছাড়া কাজের সময় অতিরিক্ত ক্লান্ত অনুভূত হলেও সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে নিতে পারেন।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে ভালো ও পর্যাপ্ত ঘুমের খুবই প্রয়োজন। ঘুমানোর আগে মোবাইল চালানো থেকে বিরত থাকুন।
দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণের উপায়
- নিয়মিতভাবে মেডিটেশন বা ঢেয়ান করুন। মেডিটেশন চাপ কমায় এবং ফ্রেশ ফীল করে।
- নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন। কাজের মধ্যে থাকলে দুশ্চিন্তা কম আসে।
- নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। পৃথিবীর কেউই পারফেক্ট হয় না। তাই নিজেকে পারফেক্ট করার জিদে নিজেকে অসুস্থ করে তুলবেন না।
- প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটালে আপনি দুশ্চিন্তা করার সময়ে পাবেন না। মা-বাবা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে গল্পগুজব বা বিনোদনের অংশ নিন। হাসি ঠাট্টার মধ্যে থাকলে দুশ্চিন্তা আসবে কিভাবে। এছাড়া পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মাঝে মধ্যে বাইরে বেড়াতে যান। এতে আপনার মন ভালো থাকবে।
- ব্যায়াম করুন। কারণ শারীরিক পরিশ্রম হ্যাপি হরমোন তৈরী করে যার ফলে বিষন্নতা উবে যায়।
- নতুন নতুন মানুষদের সাথে মিশুন। তাঁদের অভিজ্ঞতা জানুন, তাঁদের জীবন বা কাজ সম্পর্কে জানুন। দুশ্চিন্তা দূর করতে সামাজিকরণ বা অন্যদের সাথে মিলে মিশে থাকা খুব জরুরি।
- সমস্যা নিয়ে কথা বলুন। নিজের খুব কাছের কাউকে নিজের সমস্যা গুলো খুলে বলুন। কথায় আছে না দুঃখ ভাগাভাগি করলে দুঃখ কমে। এছাড়া তারা আপনার সমস্যার সমাধান ও খুঁজে দিতে পারে। কিন্তূ নিজের মধ্যে সমস্যাটা রাখলে সেটা আরো বৃদ্ধি পায়।
ধন্যবাদ
ভালো। সুন্দর।
খুবই উপকারী
ধন্যবাদ
অসাধারণ
সচেতনতা মূলক পোষ্ট 🤍
উপকারী পোস্ট
ধন্যবাদ….