অনালাইনে ব্যবসা করার নিয়ম কানুন নিয়ে অনেকে সন্দহের মধ্যে থাকে। বর্তমান প্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে কাজ কর্ম করার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনলাইনে অনেকেই নানান কাজ করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এখন সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক কিছু বদলে গেছে। এখনকার দিনে মানুষ অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে খুব ভালোভাবে বিজনেস করছে। অনলাইনে বিজনেস সিস্টেম বা অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করার নিয়ম কানুন অনেকে জানতে চায়। অনেকের মাথায় অবশ্যই অনলাইনে ব্যবসা করার আইডিয়া থাকলে সঠিক ধারণা থাকে না। যদি ইকর্মাস ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্স পলিসিটি পড়ে নিন, গুগলে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। আর অনলাইনে ছোট ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে বেশকিছু পদক্ষেপ রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার সফলতা অর্জন করা সহজ হয়ে যাবে। কারণ, অধিকাংশ মানুষ নিমোক্ত প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করেই অনলাইন ব্যবসায় সফল হয়েছে। নিচে অনলাইনে ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল:
অনলাইন ব্যবসা:
অনালাইন ব্যবসা হল যে সকল ব্যবসা ঘরে বসে ভার্চুয়াল ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেগুলো হচ্ছে অনলাইন ব্যবসা। অর্থাৎ যে সকল ব্যবসা একটি কম্পিউটার বা ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ এবং সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব সেটিই হচ্ছে অনলাইন ব্যবসা। মনে করুন, আপনার একটি ওয়েব সাইট রয়েছে যেখানে আপনি গ্যাস সিলিন্ডার রেখে কাস্টমারদের কাছে বিক্রির প্রস্তাব করছেন এবং কোন কাস্টমার আপনার ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাকে গ্যাস সিলিন্ডার অর্ডার করলেই আপনি সেই সিলিন্ডারটি তার বাসায় পৌঁছে দিবেন। এই পক্রিয়ায় যে ব্যবসা পরিচালনা হয় সেটি হচ্ছে অনলাইন ব্যবসা। আরও ভাবে বলতে গেলে আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করার প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অন্য যে কোন কম্পানির কাউকে হায়ার করলেন আপনার ওয়েবসাইটে ফিচার যুক্ত করার জন্য। আপনি যে কম্পানিকে আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য দিয়েছেন তাদের যে ব্যবসাটি রয়েছে সেটা হচ্ছে অনলাইন ব্যবসা।
সাধারনত অনলাইন ব্যবসা এবং অফলাইন ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আপনি যদি অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করতে চান না সেক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে একটি বিষয় ভালোকরে জানতে হবে। অনলাইন এবং অফলাইন ব্যবসার মূল পার্থক্যটি আলোচনা করা হল:
অনলাইন ব্যবসা হল, যে সকল ব্যবসা শুধুমাত্র ঘরে বসে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটেন মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব সেগুলোকে অনলাইন ব্যবসা বলা হয়।
আর কোন নির্দিষ্ট স্থানে থেকে নির্দিষ্টভাবে ব্যবসা করাটাই হল অফলাইন ব্যবসা।
অনলাইনে ব্যবসা করার বেশে কিছু নিয়ম নিচে তুলে ধরা হল:
অনলাইনের ব্যবসার নিয়ম:
এমন পণ্য বাছাই করবেন যেটির পর্যাপ্ত বাজারে চাহিদা রয়েছে:
বেশি ভাগ মানুষ পণ্য ও বাজার নিয়ে রিসার্চ করতে ভুল করে। আপনার সফলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করার জন্য বাজার যাচাই করা শুরু করে দিন। অনলাইনে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি সেটি নির্বাচন করা জরুরি। সম্ভাবনা যাচাই করার কৌশলটা অনেকটা এরকম যে, আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন মানুষ কি খুঁজছে, এবং তাদের চাহিদা। যদিও কাজটা বেশ জটিল, তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ধরনের বাজার গবেষণা খুব সহজ করে দিয়েছে।
* আপনি বিভিন্ন অনলাইন ফোরামে যান এবং দেখুন মানুষ কি ধরনের প্রশ্ন করে এবং কি ধরনের সমস্যা সমধানের চেষ্ঠা করছে অর্থাৎ তাদের চাহিদাটা কি।
* কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করুন। রিসার্চ করে জানুন, মানুষ কি ধরনের কি-ওয়ার্ড বেশি অনুসন্ধান করছে।
* প্রতিটি বিষয়কে নোট করুন। আপনি রিসার্চ করে যা যা পেলেন তা দিয়ে একটি পণ্যের লিস্ট তৈরি করুন।
পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন:
কিছু প্রমাণিত কৌশল রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি পণ্য দেখতে আসা গ্রাহকদের ক্রেতাতে পরিণত করতে পারবেন। যেমন:
* একটি আকর্ষনীয় ও শক্তিশালী শিরোনাম দিন।
* আপনার পণ্য বা সেবা টি গ্রাহকদের যে সকল চাহিদা পূরণ করবে তার বর্ণনা দিন।
* লোকের কাছে আপনার পণ্যটির বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করুন।
* আপনার পণ্য যারা যারা ব্যবহার করেছেন তাদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র যুক্ত করুন। অর্থাৎ পণ্যের রিভিউ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
* পণ্য বা সেবা টি ব্যবহার করে ভোক্তাগণ কিভাবে উপকৃত হবে সে বিষয়ে বর্ণনা দিন।
* প্রয়োজনে বিশেষ অফারের কথা উল্ল্যেখ করুন।
* পণ্যের সাথে গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি যুক্ত করুন।
* পণ্যটির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করুন।
আকর্ষনীয় একটি ওয়েবসাইট তৈরী করুন:
পণ্যের বাজারজাত এবং পণ্য নির্বাচন করার পর আপনার এই ধাপটি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু আপনার আসল কাজগুলো এখনো বাকি থাকল। অর্থাৎ আপনার কাছে ৫ সেকেন্ডের ও কম সময় থাকবে আপনার ওয়েবসাইটে একটি গ্রাহকে আকর্ষণ করার জন্য। আর যদি উক্ত সময়ের মধ্যে আপনি ব্যর্থ হন তাহলে আপনি একটি সম্ভাব্য ক্রেতা হারাবেন। আর ঠিক এই জন্য একটি ওয়েবসাইটের ভালো ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস মাথায় রাখবেন ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে:
* যতটা সম্ভব তথ্যবহুল করার চেষ্ঠা করুন এবং পণ্য সংক্রান্ত তথ্য ব্যতীত অতিরিক্ত তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকুন।
* ন্যাভিগেশন যতটা সম্ভব সহজ সরল ও স্পষ্ট রাখুন। এবং ওয়েবসাইটের প্রতিটা পৃষ্ঠা এরকম রাখার চেষ্ঠা করুন।
* কেবল গ্রাফিক্স, অডিও বা ভিডিও ব্যবহার করুন এতে আপনার ওয়েবসাইটের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।
গ্রাহকদের আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসার জন্য সার্চ ইন্জিন এর সহায়তা নিন:
Pay-Par-Click Advertising একটি নতুন ওয়েবসাইটের ট্রফিক পাওয়ার জন্য একটি অত্যন্ত সহজ সরল কার্যকারী উপায় অর্গানিক ভাবে ট্রফিক পাওয়ার তুলনায় এটি বেশি সুবিধাজনক এবং কার্যকরী।
PPC ads আপনার সার্চ পেইজকে তাৎক্ষণিক-ভাবে সবার উপরে নিয়ে আসবে। আর এতে করে গ্রাহকগণ আরও বেশি বেশি আপনার পণ্যগুলোকে দেখতে পারবে। এবং বিক্রয় বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা বাড়বে।
ওয়েবসাইটে বিশেষ খ্যাতি স্থাপন করুন:
মানুষ তথ্য খুঁজতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আপনার সাইটে বিনামূল্যে সেই তথ্য সরবাহ করুন এতে করে আপনি বেশি ট্রফিক এবং সার্চ ইন্জিনও আপনার ওয়েবসাইটাকে র্যাঙ্কিং এ দেখতে পারবেন। মূল কথা হল সর্বদা সার্চ হয় এমন কিছু তথ্য বহুল আর্টিকেল আপনান ওয়েবসাইটের সাথে অন্তভুক্ত করুন। যেন মানুষজন যেগুলো লিখে সার্চ দিলে আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে।
ইমেইল মার্কেটিং করুন:
ওয়েবসাইটের ভিজিটরকে ক্রেতায় পরিণত করুন ইমেইল মার্কেটিং এর সহায়তা নিন। একটি অনলাইন ব্যবসা এর সবচাইতে মূল্যবান হল গ্রাহকদের ইমেইল। এর মাধ্যমে আপনি গ্রহকদের কানেক্টটেড থাকতে পারবেন। কেননা এর মাধ্যমেই আপনি প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের আপনার ব্যবসায়ের নতুন পণ্য সম্পর্কে অবগত করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিশেষ গুরুত্ব দিন:
অনলাইন ব্যবসা করতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া সফলতা সম্ভব নয়। আপনি যদি পণ্যের সেল বৃদ্ধি করতে চান এবং ব্যবসায় দ্রুত প্রসার করতে চান তাহলে, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিকল্প কিছু নেই।
* সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
* সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন।
* অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
* ভিডিও মার্কেটিং।
* কনটেন্ট মার্কেটিং।
* ইমেইল মার্কেটিং।