হাজারো অ্যাপ থাকার কারনেই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের এত বাজার সয়লাব। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের বিপ্লব চলছে। এই বিপ্লবে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশি তরুণরাও। আপনি যদি অ্যাপ বানাতে চান তাহলে প্রথমেই আপনার একটি চমৎকার ধারনা থাকা দরকার। এমন কিছু ধারনা যা সমসাময়িক যেকোনো কিছুর তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে পারে। এ কাজে প্রোগ্রামার ও গ্রাফিক ডিজাইনারের চাহিদা বেশ। অ্যাপ বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই অ্যাপের পটভূমি, অ্যাপের উন্নয়ন, প্রকাশ, রক্ষণাবেক্ষণ ও অ্যাপ হালনাগাদকরন এই চারটি ধাপের বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
ধারণা: ধারণা অ্যাপ বানানোর প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যে বিষয়ের উপর আপনি অ্যাপ বানাতে চান সে বিষয়টি আগে ঠিক করে নিতে হবে।
বৈশিষ্ট্যকরণ: আপনার তৈরি করা অ্যাপে কোন কোন অপশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা আগেই ঠিক করে নিতে হবে।
ব্যবহারকারী কারা সেদিকে নজর: অ্যাপটি মূলত কারা ব্যবহার করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। আপনি কি স্থানীয় পর্যায়ের কোনো একটি অ্যাপস বানাতে চাচ্ছেন নাকি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ বানাতে চাচ্ছেন তা ও আগে থেকে ঠিক করে রাখতে হবে।
পরিচালন পদ্ধতি: এই পদ্ধতির প্রথম কাজ হলো আপনি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস নাকি উইন্ডোজ এর মধ্যে কোন সিস্টেমের জন্য অ্যাপ বানাবেন তা ঠিক করে নিবেন। একইসাথে সব অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করা যায় এমন অ্যাপ তৈরি করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে আইওনিক, টাইটানিয়াম, ফোনগ্যাপ ইত্যাদি। সব স্মার্টফোনে চলে এমন কিছু হলো এইচটিএমএল ৫, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্টে লেখা অ্যাপ।
কীভাবে আয় হবে: আপনার বানানো অ্যাপ থেকে আপনি কোন পদ্ধতিতে আয় করবেন তা ঠিক করে নিবেন। উল্লেখ্য যে, যদি আপনি বিনা মূল্যের অ্যাপ বানিয়ে থাকেন তবে আপনাকে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে হবে। প্রিমিয়াম অ্যাপ হলে এটি ডাউনলোড করার সময় টাকা খরচ করতে হবে। এটাই এর আয়ের উৎস। আরেক ধরনের অ্যাপ যেগুলো ফ্রি প্রিমিয়াম নামে পাওয়া যায়। এগুলো কোনো মূল্য পরিশোধ না করেও ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপ থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে হলে টাকা খরচ হবে।
ভাষা নির্বাচন: আপনি কোন ভাষায় বা কোন কোন ভাষায় অ্যাপ তৈরি করবেন তা ঠিক করে নিন। কারন, অ্যাপে ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: অ্যাপ তৈরি করতে তথ্যসূত্র উল্লখ থাকা দরকার। তাই আপনার অ্যাপ তৈরিতে আপনার ব্যবহার করা তথ্যের উৎস বা তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে হবে।
অ্যাপের উন্নয়ন পর্বঃ
আপনি যে অ্যাপেটি তৈরি করবেন তার মধ্যে কী কী সুবিধা দিবেন, তার ভিউ কেমন হবে এই পর্যায়ে এসে এগুলো নির্ধারন করবেন। অ্যাপের যে তথ্যগুলো দিবেন সেগুলো যেন গুছানো থাকে। এরপর তথ্য ও নকশার স্কেচ তৈরি করবেন। স্কেচগুলো গ্রাফিক ডিজাইনারের কাছে পাঠাবেন। গ্রাফিকস শেষে প্রোগ্রামিং কোড লেখার কাজ করবেন। পুনরায় অ্যাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাপের প্রকাশ পর্বঃ
পরিকল্পনা, উন্নয়ন সবই হলো। এবার ব্যবহারকারীদের হাতে অ্যাপ তুলে দেওয়ার পালা। যে অপারেটিং সিস্টেমের প্ল্যাটফর্ম প্রকাশ করার পালা এবার। উইন্ডোজ স্টোর, গুগল প্লেস্টোরে অ্যাপ উন্মুক্ত করার খরচ দিন। প্রতিবছর কিছু পরিমাম ফি দিয়ে অ্যাপটি সচল রাখতে হবে।
অ্যাপ রক্ষণাবেক্ষণ ও হালনাগাদঃ
অ্যাপের সমস্যা নিয়মিত সমাধান করতে হবে। ব্যবহারকারীর পর্যালোচনা, মন্তব্য দেখতে হবে। অ্যাপে কোনো ত্রুটি বা বাগ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে ও হালনাগাদ প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি আপনার অ্যাপের প্রসারের জন্য প্রচারণাও চালাতে হবে।