বন্ধুরা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেট বর্তমান সময়ের একটি বিস্ময়কর অবদান। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক খবর আদান প্রদান, বিমানের টিকেট ক্রয়, সুপারমার্কেটে পণ্যের অনুসন্ধান ও অর্ডার প্রদান, দেশ-বিদেশের লাইব্রেরী থেকে বইয়ের অনুসন্ধান প্রভৃতি কাজগুলা ঘরে বসে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়।
আজ আমি আলোচনা করব তোমাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ইন্টারনেটে প্রবেশ করার জন্য কিছু প্রাথমিক উপকরণ প্রয়োজন। এই উপকরণগুলোর মাধ্যমে ঘরে বা অফিসে বসে ইন্টারনেট সেবা লাভ করা যায়। যেমন—ইন্টারনেটে প্রবেশ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ .👇👇👇
কম্পিউটার :-প্রাপকের কাছে তথ্যাদি প্রেরণের জন্য কম্পিউটার আবশ্যক। এটি তথ্যাদি টাইপ করতে সাহায্য করে এবং নিজস্ব মেমোরিতে ধরে রাখে।
মডেম:-সাধারণ টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে তথ্যাদি প্রেরণের ক্ষেত্রে মডেম ডিজিটাল থেকে অ্যানালগ এবং এনালগ থেকে ডিজিটাল এ রূপান্তরিত করার একটি ডিভাইস।
টেলিফোন লাইন:-তথ্যাদি স্থানান্তরের জন্য টেলিফোন বা সেলুলার লাইন প্রয়োজন। লাইনের স্পিড এর উপর উপর তথ্যাদি স্থানান্তরের দ্রুত তা নির্ভর করে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপি:-ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এর কার্যপ্রণালী অনেকটা পোস্ট অফিসের মত। আইএসপি এর সদস্য হলে তাদের শক্তিশালী কম্পিউটার বাস্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে অন্যান্য ইন্টারনেট সদস্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করা যায়। বর্তমানে ১২ টি সংস্থা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রমাণ হিসেবে কাজ করছে।
ইন্টারনেট প্রক্রিয়া ব্যবহৃত পদ্ধতি সমূহ:-👇👇👇
ইমেইল:-ইমেইল এর কার্যকরিতা অনেকটা ফ্যাক্স এর মত। ফেক্সে কাগজের ব্যবহার হয় কিন্তু ইমেইলে প্রেরকের কম্পিউটারের তার বক্তব্য টাইপ করে সঙ্গে সঙ্গে তা এক বা একাধিক প্রাপক টার্মিনালের কাছে নেটওয়ার্কিং প্রক্রিয়ায় পাঠিয়ে দিতে পারে।
ওয়েব:-ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত কম্পিউটারগুলোতে রক্ষিত তথ্যসমূহ ব্যবহার করার ব্যবস্থা কে ওয়েব বলে। বড় বড় কোম্পানি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে নেটওয়ার্কে রেখে দেয় সাধারণের ব্যবহারের জন্য।
চ্যাট:-চ্যাট প্রক্রিয়ার দাঁড়া যে কেউ এক বা একাধিক ব্যক্তির সাথে একই সময়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে আলাপ জুড়ে দিতে পারেন।
নেট নিউজ:-নেট নিউজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইন্টারনেট তথ্য ভান্ডারে সংবাদ সংলাপ করে রাখা হয়।
ইউজনেট:-ইউজনেট সকল ব্যবহারকারীর জন্য নিজস্ব সংবাদ নিয়ে গঠিত একটি তথ্যভান্ডার।
গোফার:-গোফার গুরুত্বানুসারে তত্ত্বের সমন্বয় করে এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে তথ্য খুঁজে বের করে দেয়।
ই -ক্যাশ:-ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ক্যাশ নামে পরিচিত। সাধারণভাবে ই-ক্যাশ হল অনেকগুলো আধুনিক অর্থনৈতিক লেনদেন এর সমষ্টি।
বন্ধুরা তোমাদের অনেকগুলো তথ্য দিলাম ইন্টারনেট সম্পর্কে। তোমাদের ভালো লাগলে অবশ্যই পাশে থাকব। ধন্যবাদ।