নারী ও পুরুষ এর ভেদাভেদ শত শত বছর ধরে চলে আসছে। কথা শুধু ভেদাভেদ নিয়ে নয়।একটি নারী যখন পথ চলতে শুরু করে তখন তার পথ জুড়ে থাকে কোটি কোটি বাধা।তাকে গালি দিতে কারো গায়ে লাগে না।তাকে মারতে কারো গায়ে লাগে না।তার চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলার আগে মুখও কাঁপে না।
আমাদের সমাজে নারীর সম্মান নিয়ে সচেতনতা খুবই কম।আমরা যখন কোন নারীর ব্যাপারে খারাপ কিছু শুনি, চোখে দেখার আগে আমরা বিশ্বাস করে ফেলি।সত্য যাচাই করে দেখি না।
তারমধ্যে আবার এমন কিছু মানুষ আছে যারা বলে নারীর জীবন অনেক সহজ।সেই জন্যই আজ একটি কবিতা উপস্থাপন করব।
কবিতার নামঃ নারী
আমি দূর ঐ আকাশের তারা,
আমি ঐ ঝর্ণার ধারা।
সকলে চাহিয়া,সৌন্দর্য পান করিয়া
পাই অসীম সুুখ-
আমাা সুখের নেই কোন দাম,
আমি মানেই সৌর্যমন্ডিত শরীরও মুখ।
আমার কান্না কেউ শুনেও না শুনে,
আমার জায়গা শুধু রান্নাঘরের এক কোণে।
ভাবি আদৌ কি কখনো পাবো যা আমি চাই?
নাকি করুণ বিশ্বে আমার কোন দাম নাই?
কেমনে বলবো যে আমি নারীবাদি?
তারা যে আমায় বলবে আমি পুরুষ বিদ্ব্বেষী!
কত সাাধক দেখিয়াছি,দেখিয়াছি কত ঋষী,
কারো মনেই ঐ সমস্যার চিন্তা নাই,
তারাতো মানে, আমি যেন স্বাধীনতা না পাই বেশী।
এখানে বাধা,ওখানে বাধা,
আমি কি কখনোই হব না পিঞ্জরমুক্ত?
আজ করুণ এই পিতৃতন্ত্র সমাজ করিল আমার নয়ন অশ্রুশিক্ত।
আমার জন্য নয় খাতা কলম,আমার জন্য শুধুই চুড়ি
আমি কোন এক ভাঙা দোলনার ছেড়া দড়ি।
আমাকে আর থামাতে চেও না,
ধর্ষণের দোষ আর পোশাক কে দিওনা।
এদিকে পোশাক কে দাও দোষ, নারীকে দাও লাঞ্চনা,
ওদিকে আবার সুন্দর রমণী দেখে,সহ্য করতে পারো না।
তোমরা তো পাপী হয়েও করনি কোন পাপ-
কেন এই সমাজে পুত্রের পিতার চেয়ে কন্যার পিতা হওয়া চাপ?
বিঃদ্রঃ এই কবিতার শেষ লাইনগুলো ধর্ষণ নিয়ে বলা হয়েছে।