হেই বন্ধুরা,আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজ আপনাদের সাথে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করব।
- জিনিয়াস শব্দটি শুনলে একজনের কথা মনে পড়ে যায়,তিনি হলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। যাকে পৃথিবীর সবথেকে বুদ্ধিমান মানুষ মনে করা হয়। এমনকি ১৪’ই মার্চ, তার জন্মদিন, জিনিয়াস ডে হিসেবে পালন করা হয়। এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। আজ আলবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে এমন কিছু জানতে চলেছেন যা আপনাকে সত্যিই অবাক করে দিবে।
যেবছর বিখ্যাত বিজ্ঞানী জেমস ম্যাক্সওয়েল এর মৃত্যু হয়,সেবছর স্যার আলবার্ট আইনস্টাইন এর জন্ম হয়।
আপনারা আলবার্ট আইনস্টাইন এর যে ছবিটি দেখলেন তা কিছু বছর আগে নিলাম করা হয়। যা আশি লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। এই ছবির মধ্যে এই বিখ্যাত বিজ্ঞানীর সিগনেচার আছে।এই ছবিটি প্রিন্সটেট ইউনিভার্সিটিতে, ১৪’ই মার্চ ১৯৫১ তে তোলা হয়।মজার ব্যাপার হলো, যখন ফটোগ্রাফার তাকে স্মাইল দিতে বলেন তখন তিনি এইধরনের এক্সপ্রেশন দেন,কারণ ওই দিন অনেক এক্সপ্রেশন দিতে দিতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
আইনস্টাইন শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় এমন কিছু শব বলেন যা জার্মান ভাষায় ছিল,কিন্তু যে ব্যক্তি তার কাছে ছিল তিনি জার্মান ভাষা বুঝতেন না,তাই আইনস্টাইন এর শেষ কথাগুলো রহস্য হয়ে রয়ে যায়।
আইনস্টাইন এর কাছে অনেকেই আসত তার সফলতার কারণ জানতে।একবার এক মেয়ে তাকে বলে,স্যার আপনি তো এই পৃথিবীর বিখ্যাত বিজ্ঞানী,সমস্ত পৃথিবী আপনার প্রশংসা করে।আমি জানতে চাই, আপনার সফলতার কারণ কি? জানেন আপনারা উত্তরে তিনি কি বলেছিলেন,শুধু একটাই শব্দ = “চেষ্টা “।
আপনারা সবাই জানেন আইনস্টাইন দ্যা থিওরি অফ রিলেটিভিটি’র জন্য পুরো বিশ্বে জনপ্রিয় । কিন্তু আপনারা হয়তো এটা জানেন না ১৯২১ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার ফটো ইলেকট্রিক ইফেক্ট এর খোঁজের জন্য দেওয়া হয়েছিল।
আইনস্টাইন চুল কাটতে পছন্দ করতেন না। আর সবসময় তিনি হাত দিয়ে মাথার চুল ঠিক করতেন। তার এই স্টাইলকে এখন জিনিয়াস স্টাইল বলা হয়।
এতবড় বিজ্ঞানী হওয়া স্বত্তেও তিনি মাইক্রো চালাতে পারতেন না। তিনি সমুদ্র খুবই পছন্দ করতে, কিন্তু সাঁতার কাটতে জানতেন না। তার পায়ের আঙুল বড় হওয়ার কারনে তিনি মোজা পরতেন না।
সিগারেট খেতে তিনি অধিক পছন্দ করতেন।হয়তো আপনি তার অনেক ছবিতে দেখে থাকবেন।
তিনি কখনওই দামী পোশাক পরিধান করতেননা।তিনি নতুন জামার থেকে পুরাতন জামা বেশি পড়তেন।
যখন আইনস্টাইন এর জন্ম হয় তখন তার মাথা অনেক মোটা ছিল।চিকিৎসকেরা তাকে বিকলাঙ্গ বলেন।সাত বছর বয়সে স্কুলে যান।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক আসে যখন তার বাবা তাকে কম্পাস কিনে দেন।
সাল ১৯৫২ তে ইসরাইল এর রাষ্ট্রপতি হওয়ার আমন্ত্রণ আসে। কিন্তু তিনি এটা বলেন যে,যেটা আমি বুঝিনা সেই কাজ আমি করিনা।
পশুপাখির প্রতি তার বিশেষ ভালোবাসা ছিল।তার একটি বিড়াল ছিল।
আপনি জানলে চমকে জাবেন,আইনস্টাইন পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেননি।কিন্তু সেটা আবিষ্কার করতে তার দেওয়া সূত্র কাজ করেছে।
আইনস্টাইন যুদ্ধকে খুবই ভয় পেতেন । একবার একজন তাকে জিজ্ঞেস করেন যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তবে কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারেন।
উত্তরে তিনি বলেন চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ আমরা পাথর দিয়ে করব। তার উত্তরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা প্রকাশ পায়।
আজ এখানেই শেষ করছি যদি আপনারা আইনস্টাইন সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান তবে কমেন্ট করুন।
কষ্টকরে পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।