ইউটিউব এ কপিরাইট ক্লেইম থেকে বাঁচার উপায়।

আসসালামু আলাইকুম । আজকে এই আর্টিকেলেটির কারণ কপিরাইট ক্লেইম নিয়ে অনেকের যথেষ্ট কনফিউশন আছে ।  অনেকেই কিন্তু গুলিয়ে ফেলছে এই  কপিরাইট ক্লেইম জিনিসটা কি ?  আমি ভাবলাম যে এই কনফিউজ অনেকের আছে ।অনেকে বিনা কারনে চিন্তা করছে কপিরাইট ক্লেইম নিয়ে । যেটা একদমই উচিত না । আমি ভাবলাম যে এই কনফিউশন ক্লিয়ার করা দরকার আছে । এজন্য আমি আর্টিকেল টি  বানাচ্ছি । আমি খুব ভালোভাবে একদম ক্লিয়ার করে দেবো যে কপিরাইট ক্লাইম  জিনিসটা কি ।  কি করলে আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ক্লাইম আসতে । এটা থেকে  বাঁচার উপায় কি ? ছে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়ে দেব তো চলুন শুরু করা যাক । 

কপিরাইট ক্লেইম জিনিসটা কি?  

কপিরাইট ক্লেইম হলো সহজ ভাষাতে যে আপনি যখন একটা ভিডিও আপলোড করেন এবং সেই ভিডিওর মধ্যে অন্যের কঁপিরাইট প্রটেক্টেড  মেটিরিয়াল থাকে তখন ইউটিউব অ্যালগরিদম সেটাকে ডিটেক্ট করে নেয় এবং আপনার ভিডিওর উপরে  কপিরাইট ক্লাইম বসিয়ে দেয়। 

কি কি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করলে আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম আসতে পারে। 

 প্রথম হল অন্যের কঁপিরাইট প্রটেক্টেড  ভিডিও অডিও এবং মিউজিক কপি করলে আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম আসতে পারে এবংসেটা আপনি ২ সেকেন্ড   কপি করুন বা ২ ঘণ্টা ।  তাতে কোনো যায় আসে না এবং সেটা আপনি  নিজের অজান্তে করুন বা জেনে , দুটো ক্ষেত্রেই আপনার ভিডিও তে  কপিরাইট ক্লেইম আসবে এবং একটা কথা মনে রাখুন যদি আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম আসে তাহলে সেই ভিডিও কে আপনি আর মনিটাইজ করতে পারবেন না । ওই ভিডিওকে মনিটাইজ করার একমাত্র অধিকার থাকবে ওই কনটেন্ট এর আসল মালিক এর বা  অরিজিনাল কপিরাইট হোল্ডার এর উপরে। আপনার  কোন অধিকার থাকবে না কপিরাইট ক্লেইম ভিডিও মনিটাইজ  করার ।  কপিরাইট ক্লাইম  ইউটিউব নিজে থেকে দেয় । মানে কপিরাইট হোল্ডার কিন্তু প্রথমে কপিরাইট ক্লেইম দেয় না ইউটিউব থেকে কিন্তু একটা কপিরাইট ক্লেইম আপনার ভিডিওতে বসিয়ে দেয় ।  

ধরুন , আপনি জানতে পারলেন যে ইউটিউব নিজে  থেকে কপিরাইট ক্লেইম বসাচ্ছে।  তখন আপনার মনে আসতেই পারে যে এই ব্যাপারটা ঘটে কিভাবে । আপনি যদি আপনার ভিদিও এর মধ্যে কারও অন্যের কঁপিরাইট প্রটেক্টেদ কনটেন্টকে এডিট করে দিয়ে দেন,  মানে বসিয়ে দেন তখন সেই ভিডিওটা ইউটিউব ডেটাবেসে অরিজিনাল কনটেন্ট এর সঙ্গে ম্যাচ হয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউব অ্যালগরিদম অরিজিনাল কনটেন্টের যে মালিক এর কাছে একটা  নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেয় যে অমুক ব্যক্তি আপনার ভিডিওটি বা আপনার অডিও  কপি করেছে।  এবার সেই ভিডিওর মালিক ডিসাইড করবে সে কি অ্যাকশন নেবে।

 এবার চলুন দেখে নিই যে সে কি কি অ্যাকশন নিতে পারে ।প্রথমে   নিতে পারে যে সে নির্দ্বিধায় ভিডিওটাকে চলতে দিতে পারে।  মানে কোন রকম কোন ডিস্টার্ব করবে না,  কোনরকম প্রবলেম করবেনা সেই ভিডিওটা যেমন আছে তেমন ভাবে  সেটাকে চলতে দেবে। 

 সেকেন্ড  হলো যে সেই ভিডিওটাকে নিজে মনিটাইজ করতে পারে এবং সেখান থেকে পাওয়া পুরো রেভিনিউ নিজের কাছে রেখে দিতে পারে । আমি আগেই বললাম যে যখন আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম আসলে  আপনি তখন সেটা মনিটাইয করতে  পারবে না । ভিডিও আসল মালিক সেটা করতে পারে এবং সেখান থেকে নিজের কাছে পুরো টাকা রেখে দিতে পারে 

 তৃতীয়  হলো সে রেভিনিউ  আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে পারে ।  মানে ওই ভিডিওটা থেকে যেই টাকা হবে  সেটা  সে তার কিছুটা অংশ সে  আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে পারে   ঠিক আছে ।  কিন্তু  কতটা অংশ শেয়ার করবে সেটা ডিপেন্ড করছে তার ওপর ।  আপনার উপর কোনো কন্ট্রোল নাই ঠিক আছে । 

 যদি  ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম আসে  তাহলে এতে থেকে বাঁচার উপায় কি এটা  থেকে বাচার মোটামুটি চার টা উপায় আছে।  

প্রতমত আপনি কারো কন্টেন্ট  ব্যবহার করবেন না । যদি এরকম ব্যবহার না করেন তাহলে আপনার ভিডিওতে ক্লাইম আসবে না ।  খুব সিম্পল ব্যাপার এবং তার   পরিবর্তে আপনি কি করতে পারেন , আপনি তার পরিবর্তে ইউটিউব ফ্রি  মিউজিক, ফ্রি   ওয়েবসাইট ভিডিও ফুটেজ ভিডিও ব্যবহার করতে পারেন ।  ফুটেজ ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে সেগুলোর নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করলে  আপনার ভিডিও তে ক্লাইম আসবেন না ।

দ্বিতীয়ত  আপনার কিছু করার দরকার নাই । যেমন চলছে সেরকমই চলতে দিন ।  ধরুন আপনার  ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম আসলো  তাহলে আপনার ভিডিও তো ডিলিট হয়ে যাচ্ছে না বা আপনার চ্যানেলের কোন ক্ষতি হচ্ছে না ।  তাহলে কোন অসুবিধা নেই ।

তৃতীয় , আপনি যে ভিডিওটা বানিয়েছেন এবং আপনার উপরে যে ক্লাইম টা এসেছে  সেই ক্লাইম টা ঠিক নয় , তো তাহলে আপনি সেটাকে একটা কাউন্টার নোটিফিকেশন বা  ডিসপিউট ফাইল করতে পারেন। 

 তবে মনে রাখবেন যে , আপনি যদি এই কাউন্টার নোটিফিকেশন বা  ডিসপিউট ফাইল করেন  তো তাহলে আপনার কাছে কোন সঠিক  ডকুমেন্টস থাকতে হবে যে ওই ভিডিওটার  আর অরিজিনাল মালিক আপনি,  যেটুকু আপনি ব্যবহার করেছেন।  কিন্তু আপনার নিজস্ব তার একটা সঠিক প্রমান  থাকতে হবে।  যদি না থাকে এবং ইউটিউব যদি আপনার এই এপ্লিকেশন রিজেক্ট করে দেয় তাহলে কিন্তু অরিজিনাল কপিরাইট  মালিক আপনার  চ্যানেল একটা স্ট্রাইক দিতে পারে।   সেটা কিন্তু আরো  খারাপ হয়ে যাবে। তাই  রিপোর্ট  করার আগে অবশ্যই ভালো করে প্রমান যাচাই করবেন।  

চতুর্থ ,  আপনি যদি ভিডিওর কোনো অংশ কপি করে থাকেন তাহলে , তাহলে সেই টুকু কেটে বাদ দিয়ে দিতে পারেন।  তাহলে ক্লেম উঠে যাবে।  এর জন্য আপনি ইউটউব ভিডিও এডিটর ব্যবহার করতে পারেন।

তো এই ছিল আজকের আয়োজন।  আসা করি ভালো লেগেছে।  আসসালামু আলাইকুম।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন