আসক্তি, এই কথাটি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করার জন্য কিন্তু , এই আধুনিক যুগে ইন্টারনেটের উপর এই কথাটি একদমই প্রায় বেঈমান ।
কারণ বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির এই বিষয়ে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কে কখনও আসক্ত বলাটা ঠিক হবে না।
কারণ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাই এই কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিভিন্ন তথ্য সেবা কেনাকাটা ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া অনলাইনের অনেক বা সবধরনের যাবতীয় কাজ এই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে।
তাছাড়া আমাদের বিনোদনের একটি উত্তম মাধ্যম হল এই ইন্টারনেট দুনিয়া।
যদি কোন ব্যক্তি এই ইন্টারনেটের উপরে অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ তার সাধারণ জীবন যাপনের যদি বিঘ্ন ঘটে এবং এই ইন্টারনেটের ওপর মাদকের মত আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলেই হলো সমস্যা।
কোন ব্যক্তি যদি এই ইন্টারনেটের উপরে আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তার থেকে ছাড়ানো খুবই শক্তপোক্ত কঠিন কাজ।
কারণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সে অনেক কিছু জানতে পারে অনেক কিছু বুঝতে পারে সুতরাং এ থেকে সে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেজন্য এই নেশা থেকে তাকে তাড়ানো একটু অসম্ভব।
বলতে গেলে ইন্টারনেটে নেশাটা একটা অন্য কোন মাদকের মতোই নেশা কারণ এই নেশা একবার যার ভিতরে ধরে যায় সে সহজে আর ছাড়তে পারে না।
তাই এই নেশা থেকে আমাদের বের হতে হলে এই ইন্টারনেটের ব্যবহার টা আমাদের আস্তে আস্তে কমিয়ে দিতে হবে প্রতিদিন আগে যদি আপনি 5 ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন তাহলে এখন থেকে আপনাকে মিনিমাম দুই ঘন্টা ব্যবহার করতে হবে এভাবে আস্তে আস্তে একঘন্টা, আধাঘন্টা, ব্যবহার করতে হবে এবং নিজেকে ওই বিষয় থেকে সংযত রাখতে হবে আর বাচ্চাদের এই ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে একটু দূরে রাখতে হবে।
কারণ তাদের লেখাপড়ার সময় যদি আপনি এই ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষা দেন তাহলে সে লেখাপড়া বাদ দিয়ে এই ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঢুকে থাকবে সুতরাং বাচ্চাদের এই ইন্টারনেট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাটি দিতে হবে এবং বুঝিয়ে দিতে হবে।
এটা থেকে বিরত রাখতে হবে যেন তারা এটা ব্যবহার না করে আর অত্যধিক ইন্টারনেট ব্যবহার কারণে আমাদের চোখের সমস্যা হতে পারে তাছাড়া আমাদের অধিক খন ধরে কোনো কম্পিউটার অথবা ফোনের আলো সামনে তাকিয়ে থাকলে আমাদের শরীরের জন্য এটা অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।