গুড গভর্নেন্স বা সুপ্রশাসনের জন্য দরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মূলক ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রচলনের ফলে সরকারি ব্যবস্থা গুলোকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব এর ফলে নাগরিকের হয়রানি ও বিলম্বনা অবসান ঘটে এবং সুশাসনের পথ নিকটবর্তী হয়।
শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ হচ্ছে ই-গভর্ন্যান্স।
একটা সময় ছিলযখন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা ছিল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য একটা সমস্যার ব্যাপার বিশেষ করে প্রধান প্রধান শহর থেকে দূরবর্তী অবস্থানরতদের পক্ষে এটি ছিল অনেক কষ্টে মাত্র দুই দশক আগে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সাত দিন পরেও অনেকেই এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারত না কিন্তু বর্তমানে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল খুব দ্রুত জানা যায় ফলে ফলাফল জানার দুশ্চিন্তা এখন অবসর নিয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ই-গভর্নেন্সের আরো একটি উদাহরণ হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মোবাইল ফোনে আবেদন করার সুবিধা উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পূর্বে যশোর জেলার একটি শিক্ষার্থী সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হতে ইচ্ছুক হলে তাকে অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন করতে হতো একজন নিজে অথবা প্রতিনিধিকে সিলেটে গিয়ে একবার ভর্তির আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং এরপরে আবার আবেদন জমা দিতে হতো বর্তমানে মোবাইল ফোনের আশীর্বাদে এটি করা অনেক সহজ এখন ঘরে বসেই আবেদন করা সম্ভব ফলে ভর্তি ইচ্ছুকদের আর শহর শহর ঘুরে বেড়াতে হয় না।
গভর্নেন্স এর মাধ্যমে কোন কোন কার্যক্রম 365 দিনের 24 ঘন্টা করা সম্ভব যেমন এটিএম সেবা মোবাইল ব্যাংকিং তথ্য সেবা ইত্যাদি। ফলে নাগরিকরা নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে সেবা সংগ্রহ করতে পারে
অন্যদিকে ই-গভর্ন্যান্স চালুর ফলে সরকারি দপ্তর সমূহের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মচারীদের দক্ষতা বেড়েছে ফলে দ্রুত সেবা কার্যক্রম প্রদান সম্ভব হয়েছে
****
বাংলাদেশ ই-গভর্ন্যান্স চালু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে এখনো কিছু ক্ষেত্রে ই-গভর্ন্যান্স চালু হওয়া বাকি রয়েছে। সকল ক্ষেত্রে ই-গভর্ন্যান্স চালু হয়ে সুশাসনের পথে দেশ এগিয়ে যাবে এবং যাচ্ছে।
****
**সমাপ্ত**