আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিআসসালামুকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়।
বর্তমানে করোনা মহামারীতে দেশের শিক্ষাঙ্গন পুরোপুরি থমকে আছে। বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ম্যান উন্নয়নে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের পুনরায় পড়াশোনার ফেরাতে বদ্ধ পরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় তারা শিক্ষার্থীদের এসাইন্টমেন্ট চালু করেছে। যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার ট্রাকে থাকে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের এসাইন্টমেন্ট এর উত্তর প্রদানের ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসেছি একাদশ শ্রেণীর সামাজিকবিজ্ঞান এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলেই যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনা ব্যক্ত করি সবসময়।
ক.”সমাজ বিজ্ঞান হলো অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান “-সংজ্ঞাটি কার ?
উত্তর:এমিল ডুর্খেইম বলেছেন “সমাজ বিজ্ঞান হলো অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ”
খ.সমাজ বিজ্ঞান বলতে কি বুঝায় ?
উত্তর:সমাজ বিজ্ঞান হলো সমাজবদ্ধ জীবনের সাথে আমাদের সামাজিক,সাংস্কৃতিক ,ধর্মীয়,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত।
সুতরাং সমাজবিজ্ঞানের মুখ্য আলোচ্য বিষয় হলো মানব সমাজ ও সমাজবদ্ধ মানুষের বহুবিধ ও বিচিত্র প্রকৃতির সামাজিক সম্পর্ক অনুসন্ধান করা। তাই সমাজ বিজ্ঞান হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা সামাজিক গুষ্ঠি,প্রতিষ্ঠান ,কর্মকান্ড,সম্পর্ক এবং ক্রিয়া প্রক্রিয়ার বিজ্ঞানভিত্তিক অনুসন্ধান করে।
ঘ.উদ্দীপকে মুমিত উল্লেখিত ব্যক্তিটির কোন বিশেষ দিকের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন -ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :উদ্দীপকে মুমিত উল্লেখিত ব্যক্তিটির যে বিশেষ দিকের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো –
সমাজবিজ্ঞানকে কিভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ পর্যবেক্ষন এবং শ্রেণীভিত্তিক কারণ পদ্ধতির উপর স্থাপন করা যায় এটাই ছিল দার্শনিক অগাস্ট কোঁতের প্রধান বিচার্য বিষয়। সমাজ বিজ্ঞানের আলোচ্ছ বিষয়ের পরিধি এবং আলোচনা পদ্ধতি ধরণের ক্ষেত্রে তাকেই পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনিই সর্বপ্রথম সমাজের একটি বিজ্ঞান সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেন।
তাই তিনি প্রথমে এই বিজ্ঞানটির নামকরণ করেন সামাজিক পদার্থবিদ্যা বা সামাজিক শরীরবৃত্ত। অবশ্য পরবর্তী সময়ে তিনি এই বিষয়টিকে সমাজবিজ্ঞান নাম অবিহিত করেন। তিনি মানব জ্ঞানের অনন্য শাখার সাথে সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
তিনি মানুষের সংঘবদ্ধ একটি জীবনকে একটি বিশেষ অবস্থা হিসেবে পরীক্ষা করে আলোচনা করার কথা বলেছেন। তার মনে সমাজবিজ্ঞান একটি বৈজ্ঞানিক,যুক্তি,ধারণা ও সিদ্ধান্তের কোনো জায়গা নেই।
ঘ.সমাজ বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আরো অনেক বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে বিশ্লেষণ কর।
উত্তর ;সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশে আরো অনেক বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে -বিশ্লেষণ কর –
ইংলেন্ডের দার্শনিক হাবার্ড সেপনসোর ১৮৭৭ সালে প্রকাশ করেন এই বিখ্যাত গ্রন্থ
principal of sociology
এ গ্রন্থে তিনি সমাজের ক্ষেত্রে বিবর্তন তত্ত্বটি প্রয়োগ করে সমাজবিজ্ঞানের বিবর্তনের একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা উপস্থাপন করেন।
ফরাসি বিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম তার rules of sociology methode ও অন্যান্য রচনা উল্লেখ করেন। কোনো কোনো উপাদান সমাজকে সংগঠিত করে রাখতে এবং কোনো কোনো উপাদান সমাজ ও-সংগঠিত করার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এগুলো অনুধাবন করাই হলো তার জীবনের অন্নেষণ।
সমাজ বিজ্ঞান সম্পর্কে ম্যাক্সওয়েলের মুখ্য ধারণা নিহত রয়েছে সামাজিক কার্জকলাপ কথাটির মধ্যে। সামাজিক কার্জকলাপ বলতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ব্যক্তির যেকোনো প্রকৃতির মানবিক আচরণ ,যার একটি বিষয়গত তাৎপর্য রয়েছে।
অর্থাৎ ব্যক্তির কার্যকলাপ মধ্যে নিহিত রয়েছে সামাজিক,অর্থনৈতিক,মানবিক ,রাজনৈতিক প্রভৃতি দিকনির্দেশনা।
ধন্যবাদ সবাইকে।সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন