ষষ্ঠ শ্রেণির দ্বিতীয় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর-

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,

আশা করি সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন।

আমিও ভালো আছি।

আপনাদের সামনে আমি আবারো হাজির হয়েছি অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে।
আজকে আমি আপনাদেরকে ষষ্ঠ শ্রেণির দ্বিতীয় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ও উত্তর দুটোই এই পোস্টে পাবেন।

 

আপনাদেরকে একটি কথা বলে রাখি আপনারা যারা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজছেন তারা গ্রাথর ডটকম-এর শিক্ষা ক্যাটাগরিতে সব প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবেন।

আমি এই সাইটের লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি-

http://grathor.com

আপনারা লিংকে ঢুকে সাইটটি থেকে শিক্ষা ক্যাটাগরিতে ঢুকলে সমস্ত অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নটি হচ্ছে-

১৯৫২ থেকে১৯৭১পর্যন্ত সময়কালে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর অবদান এর উপর একটি সচিত্র পোস্টার তৈরি করো-

নির্দেশনা –
আন্দোলনের সময়কাল ১/ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করবে ২/
বঙ্গবন্ধুর ছবি হাতে একে বা পেপার কাটিং থেকে ইন্টারনেট থেকে সংযোজন করবে।

৩/বিভিন্ন আন্দোলনের ছবি যে কোন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করে প্রতিটি আন্দোলনে পাশে সংযোজন করবে-

★# দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-

আপনারা অবশ্যই প্রতিটি তাল এর সঙ্গে সামঞ্জস্য কিছু ছবি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে একে দিবেন আমি ছবিগুলো দেইনি★#

এবার আমি এই প্রশ্নটির উত্তর নিচে দিয়ে দিচ্ছি

★১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন-

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলার মানুষ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে পাকিস্তান সরকার এই যৌক্তিক দাবি সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে।,১৯৪৮ সালে ঘোষণা করে উর্দুই হবে একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

এই সিদ্ধান্ত এর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান প্রতিবাদ চলতে থাকে। যা পরবর্তীতে আন্দোলনের রূপ নেয় যা় ভাষা আন্দোলন নামে পরিচিত।

এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এই ঘটনা আন্দোলনকে নতুন মাত্রা যোগ দেয় এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয় অবশেষে ১৯৫৬ সালের সংবিধান উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

★১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন ১৯৫৪ সালের ১০ ই মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট মুসলিম লীগকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। তবে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বাঙালির আধিপত্য মেনে নিতে পারেনি।আড়াই মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।

★১৯৬৬সালের ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬সালের পাঁচই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলীয় এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন, যা ছিল মূলত বাঙালির স্বাধীনতার দাবি।

★ ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা –

হাজার ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানের কয়েকজন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের স্বার্থ বিরোধী এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনে। পাকিস্তান সামরিক সরকার এটিকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নাম দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহ মোট 35 জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে। মামলায় পাকিস্তান সরকার উল্লেখ করে আসামিরা ভারতের যোগসাজশে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান রাষ্ট্র হতে বিচ্ছিন্ন করেছে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করছে মূলত ছয় দফাকে নস্যাৎ করাই এই মামলার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মামলা পাকিস্তান সরকার প্রত্যাহার করে সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

★৬৯ এর আন্দোলন-

পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে জাতীয়ত বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নেয় সংগঠন গুলো আন্দোলন গড়ে তুলে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আওয়ামী লীগের ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় আন্দোলনকে দমানোর জন্য পুলিশ বিভিন্ন সময় গুলি চালালে নিহত হন শামসুজ্জোহা, আসাদুজ্জামান, সার্জেন্ট জহুরুল হক আরো অনেকে এসব খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী আইয়ুব খান ভীত হয়ে সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান হাজার১৯৭০ সালের ২৫ শে মার্চ সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘোষণা দিলেন ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। নির্বাচন যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সরকারকে ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে রায় প্রদান করে। এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের ৩১০ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে লাভ করে ম্যান্ডেট।

১৯৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধ –

২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এই ঘোষণার তিনি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রামের জন্য বাংলার মানুষকে আহ্বান জানায়।

চট্টগ্রামের তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ট্রান্সমিটার এর মাধ্যমে প্রচার এর জন্য বঙ্গবন্ধু ঘোষণা কে অবলম্বন করে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ লীগ নেতা এমএ মান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। ২৬ শে মার্চ অপরাহ্ণে চট্টগ্রামে বেতার কেন্দ্র থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এর পক্ষে স্বাধীনতার আরেকটি ঘোষণা পাঠ করেন
এই ঘোষণাটি তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে।

grathor.com এর সাথেই থাকুন।

সবাইকে ধন্যবাদ।

 

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন