এস.এস.সি তে যেসকল একাডেমীক ভুল না করলে জীবন পাল্টে যাবে

তোমরা যারা এস.এস.সি পরীক্ষা দিবা অর্থাৎ যারা এখন ৯বম ১০ম শ্রেণিতে পড় তোমাদের ক্যারিয়ার কেমন হবে ভাল নাকি খারাপ তা নির্ভর করতেছে তোমার উপর।
তোমার জীবনটা এই সমইয়েই সেট হয়ে যাবে।জেএসসি পরীক্ষার পর থেকে এস.এস.সি এর শেষ পর্যন্ত ভাল একটা সময় পাওয়া যায় নিজেকে স্কিলড করার।
এই সময় টায় সবাই হেলায় ফেলায় কাটায় দেয়।আমিও এই সময় টার ব্যাবহার করি নাই।যার ফলাফল আমার আজেকের অবস্থান।আজকে আমি তুলে ধরবো
এই সময় টাকে কিভাবে কাজে লাগানো জায়।কি কি করলে আমি সবার থেকে এগিয়ে থাকব সব কিছুই তুলে ধরবো।

একটা বিখ্যাত প্রশ্ন,ভাইয়া কেন পড়া লেখা করবো ?

পড়া লেখা না করলে কোথায় ধরা খাবো?

এক এক করে দুটো প্রশ্নের উত্তর দেই।আমাদের পড়ালেখার যে সিস্টেমটা তা এমন ভাবেই সাজানো যে তুমি এখন যেই ক্লাস এ আছো এই ক্লাস টা ফাকি দিলে উপরের
ক্লাস এর অনেক কিছুই পারবা না। ধরো এখন তুমি ক্লাস ১০ এ আছো ।তুমি সাইন্স এ পড় আর কমার্স বা আর্টস যেখানেই পড় ক্লাস ১০ এর সব কিছু ভাল মত না পড়লে।
এইচ এস সি এর বেসিক ক্লিয়ার হবে না।প্রতিটা ক্লাস এর ক্ষেত্রেই এমন।নিচের ক্লাসে যা পড়তেছিতা উপরের ক্লাস এর জন্য বেসিক। আজকে তুমি ক্লাস এ স্যার এর একটা
অংকের লাইন বুঝো নাই।কিন্তু তোমার বন্ধুরা সবাই পারছে এর মানে কি জানো ?
এর মানে নিচের ক্লাস এ তুমি ভাল করে পড় নাই।আজকের সমস্যার কারণ এইটা। যদি নিচের ক্লাস এর সব সাবজেক্ট এর সব টপিক ভাল করে পড়তা তাহলে আজকে এই সমস্যা হত না।
ভাই আগে যা করা হইছে ওইটা বাদ ।এখন থেকে কিভাবে ভাল করবো তা ভাব।

এখন আর একটা ইনফরমেশন দেই।তুমি যদি এস এস সি তে খরাপ কর তাহলে প্রথম ধরা টা খাবা কলেজে
ভাল একটা কলেজে পড়ার জন্য অবশ্যই তোমাকে অবশ্যই জিপিএ ৫ পেতেই হবে।জিপিএ ৫ না থাকলে ভাল
কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য এপ্লাই করতে পারবা না। অনেকেই বলবে জিপিএ ৫ এর দরকার নাই।এই আবেগ
দিয়ে ভাই তোমার জীবন চলবে না।সত্যি ভাই। বিশ্বাস না হলে তোমার কোন বড় ভাই বা বোন থাকলে জিজ্ঞেস
করে দেখিও। একটা ভাল কলেজ মানে ঐ কলেজে ভাল শিক্ষক আছে।আর একজন ভাল শিক্ষক এর অধীনে থাকলেই
আর ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব।একটা ভাল কলেজে সুন্দর ক্যাম্পাস পাবা,ল্যাব করার সুযোগ পাবা,ভাল বন্ধু পাবা।তখন সব কিছুতেই শান্তি পাবা।
এস এস সি তে যদি শুধু পাশ করার মতো পড় তাহলে এইস এস সি তে স্যাররা ক্লাসে ঠিকি বুঝাবে কিন্তু সব তোমার মাথার উপর দিয়ে যাবে।

তাই তুমি যেই গ্রুপেরই হও না কেন প্রত্যেক সাবজেক্ট এর সব টপিক গুলো ভাল করে বুঝে বুঝে পড়ে ফেলবা।তুমি সব পড়েও পারতেছো
না এইটা দেখবা না।তুমি ফোকাস করবা বই এর এতো পাতায় যে এই টপিক টা ছিল এইটা যেন
তোমার মনে হয় তাহলে তুমি এমনেই পারবা।

যাদের এসএসসি এর রেজাল্ট খারাপ তারা আর এক জাগায় ধরা খায়।
এইস এস সি এর পরে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়।
প্রথমত পাবলিক ভার্সিটি তে আবেদন করতে হলে কিছু নূন্যতম পয়েন্ট থাকা লাগে।
যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেয়ার জন্য:
(এসএসসি + এইসএসসি )টোটাল জিপিএ (৪র্থ বিষয় সহ) ইউনিট:
বিজ্ঞান বিভাগ– (৩.৫০ + ৩.৫০ = ৮.০০)
ব্যাবসায় বিভাগ– (৩.৫০ + ৩.৫০ =৭.০০)
মানবিক বিভাগ– (৩.৫০ + ৩.৫০ =৭.৫০)
ঘ বিভাগ– (৩.০০ + ৩.০০ (স্ব স্ব বিভাগের জিপিএ)
ই বিভাগ – (৩.০০ + ৩.০০ =৬.৫০)
অর্থাৎ এসএসসি এবং এইস এস সি এর রেজাল্ট ২ টাই যোগ করা হয়।একেক ভার্সিটি তে পরীক্ষা দেয়ার জন্য একেক রকম যোগ্যতা লাগে।যাদের টার্গেট
ইঞ্জিনিয়ারিং অথবামেডিকেল তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা মেডিকেল পরীক্ষা দেয়ার জন্য যে জিপিএ ৫ থাকা কতটা জরুরী তা বলে বুঝানো সম্ভব না।

 

কেন আমি বিষয়গুলো শেয়ার করলাম।কারণ আমি যখন এই  বয়স পার করি আমাকে এইভাবে কেউ বুঝায় নি।তাই আমার কথাগুলো থেকে যদি তোমাদের কারও জীবনে এই ভুলগুলো না হয় সেখানেই আমাদের সারথকতা।সবাই ভাল থাকবা।সময় কে কাজে লাগাবা।তোমাদের জন্য ভাইয়ার অনেক অনেক শুভ কামনা।

Related Posts