যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল, বিপর্যয়ে দল। তবে চাপে ভেঙে পড়লেন না বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়। ঠান্ডা মাথায় খেললেন দায়িত্বশীল এবং প্রশংশনীয় ইনিংস। অপরাজিত থেকে দলকে এনে দিলেন প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। ম্যাচ শেষে আকবর জানালেন এমন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশের যুবাদের ব্যাটিং বিভাগ। ব্যাটিংয়ে সফল ছিলেন ওপেনিং ও ওয়ান ডাউনে নামা প্লেয়াররা। তাই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আকবরের খুব একটা সুযোগ হয়নি ব্যাটিং করার। ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ এলো ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। আর কাজে ও লাগালেন ভাল ভাবেই এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। খেললেন এক ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ইনিংস।
১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ছন্নছাড়া বাংলাদেশকে পারভেজ হোসেনের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে পথ দেখান আকবর। এরপর রকিবুলকে নিয়ে তরী ভেড়ান জয়ের বন্দরে। খেলেন ৭৭ বলে ৪ টি চার ও এক ছক্কার ৪৩ রানের অপরাজিত ও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
আকবরের ম্যাচ সেরা ইনিংসে ভারতকে ৩ উইকেট হারিয়ে উৎসবে মাথে বাংলাদেশ।
“আমি এমন একজন মানুষ যে সবকিছু সহজ ভাবে নেই। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে খুব একটা সুযোগ পাইনি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলা।
” ব্যাটিংয়ে যখন নামি তখন একটা জুটির প্রয়োজন ছিল। আমার সঙ্গীকে বলেছিলাম,আমাদের একটা জুটি গড়তে হবে উইকেট হারানো যাবে না। সহজ পরিকল্পনাছিন।
১৭৮ রানের ছোট লক্ষ হলেও চারবারের চ্যাম্পিয়নরা যে ছাড় দেবে না, জানতেন আকবর। মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন তিনি ও তার দল।
“আমরা জানতাম ভারত এত সহজে ছাড়ে দেবে না। তাড়া খুবই চ্যালেঞ্জিং দল। রান কম হলে ও আমার জানতাম তাড়া করা কঠিন হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর,
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলঃ ৪৭.২ ওভারে ১৭৭
(জয়সাওয়াল ৮৮,সাক্রেনা ২, ভার্মা ৩৮, গার্গ ৭, জুরেল ২২, বীর ০,আনকোলেকার ৩, বিষ্ঞুই ২, সুশান্ত ৩, তিয়াগি ০, আকাশ ১*, শরিফুল ১০-১-৩১-২, তানজিম ৮.২-২-২৮-২, অভিষেক ৯-০-৪০-৩, শামীম ৬-০-৩৬-০, রকিবুল ১০-১-২৯-১, হৃদয় ৪-০-১২-০,
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলঃ (লক্ষ্য ৪৬ ওভারে ১৭০)
৪২.১ ওভারে ১৭০/৭ (পারবেজ ৪৭, তানজিন ১৭, মাহমুদুল ৮, হৃদয় ০, শাহদাত ১, আকবর ৪৩*, শামীম ৭, অভিষেক ৫, রকিবুল ৯*, কার্তিক ১০-২-৩৩-০, সুশান্ত ৭-০-২৫-২, আকাশ ৮-১-৩৩-০, বিষ্ণুই ১০-৩-৩০-৪, আনকোলেকার ৪.১-০-২২-০, জয়সাওয়াল ৩-০-১৫-১)
ফলঃ ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতি বাংলাদেশের ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচঃ আকবর আলী।