এলিমোন- পার্ট 1

বিজ্ঞান “এনট্রপি বলে একটি টার্ম আছে। বিশৃঙ্খলার পরিমাপই এনট্রটি। জেনেছি, মহাবিশ্বের সবকিছুই শৃঙ্খলা থেকে বিশৃঙ্খলার দিকে যাচ্ছে। এটি জেনে মোটেও অবাক হইনি। কারণ, এর সত্যতা চতুর্পাশেই দৃশ্যমান। ভাবলাম, সব জায়গায় যেহেতু আছে সায়েন্স ফিকশনেও েএকটু বিশৃয্খলা নিয়ে এলে ক্ষতি কী। সেই চিন্তা থেকে এল মানে এলিমোন এর আইডিয়া।

লেখার কাজটি ঠিকভাবে করতে পেরেছি কিনা, এখনো জানি না। সায়েন্স-এর সংজ্ঞানুযায়ী, বল যতই প্রয়োগ করা হোক, সরণ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। তেমনি লেখকের ভাবের বল যতই হোক না কেন, তা যদি পাঠকের মনকে নাড়াতে না পারে, তাহলে লেখার কাজটি ঠিকভাবে হয়েছে বলা যাবে না। তাই আপনাদের ফিডব্যাকের প্রত্যাশায় দিন গুনে যাব। আশা করি কেমন আগল জানাবেন।

এটি পৃখিবীর এমন একটি অরণ্য, যে অরণ্যের গহিনতা এবং বন্যতার তুলনা নেই। এখানে রয়েছে এমন কিছু হিংস্র প্রজাতি যেগুলো অন্য কোনো বনাঞ্চলে দেথা যায় না। আছে পদে পদে চোরাবালির ভয়, ভূমিধসের আশঙ্কা, অগ্ল্যুৎপাতের আতঙ্ক। আছে সবচেয়ে বিষধর সাপ ‘হিরোইন কোবরা’ মানুষখেকো গাছ ‘সুপার হেল ট্রি’ আর দ্রুততম শ্বাপদ ‘মিসাইল লিওপার্ড।

এই অরণ্যের খবর কখনো কোনো গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়নি, কোনোদিন কোনো গবেষণাপত্রে দেখা যায়নি। মূলত এটার খবর জানেন না কোনো সংবাদকর্মী, জানেন না কোনো গবেষক। তবে এই বনের যে কেবল ভয়াল রূপই আছে তা নয়। এই অরণ্যেই আছে নয়নাভিরাম জলপ্রপাত, স্বচ্ছ পানির প্রবাহ, ছোট ছোট মনোরম টিলা। অরণ্যের নামটিও বেশ সুন্দর, ‘ক্রিস্টাল ফরেস্ট’

বর্তমান পৃখিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী চারটি দেশ তাদের দুর্ধর্ষ কামান্ডোদলের প্রশিক্ষণের জন্য এই বিচিত্র ভূমিকে রেখেছে সবার অলক্ষ্যে। ‘ক্রিস্টাল ফরেস্ট’ আয়তনের খুব বড় নয় বলেই হয়তো তাকে এভাবে আড়ালে রাখা সম্ভব হয়েছে। এখানে কামান্ডোদলের যেসব সদস্য প্রশিক্ষণ নেয়, তারা ব্যবহার করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র। আজকেও এখানে যৌথ বাহিনীর মহড়া হবে। চারটি  দেশের কমান্ডোরা দুটি দলে ভাগ হয়ে মহড়ায় অংশ নেবে।

এখানে প্রতিপক্ষ শুধু অন্য দলের সৈন্য নয়। পায়ের নিচের মাটির থেকে শুরু করে মাথার উপরে যে গাছ ছায়া দিচ্ছে, সেগুলো সবই যেকোনো সময়ে হয়ে উঠতে পারে কুৎসিত শত্রু। তাই সতর্ক থাকতে হয় প্রতি পদক্ষেপে। প্রত্যেকটি মহড়ায় প্রাণ হারানো খুবই নিয়মিত ব্যাপার।

<

মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে কমান্ডো সদস্যরা এতে অংশ নেয়। কিন্তু কারও ভাগ্যে জোটে সহজ মৃত্যু, কারওবা জোটে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু।

গভীর রাত। আকাশ তারায় ঠাসা। বনের গহিনতা যেন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ‘ক্রিস্টাল ফরেস্ট’ এর মধ্যখানে দাঁড়িয়ে এই মহড়ায় অধিনায়ক জেনারেল পিস্টন ফার্নান্দেজ কমান্ডোদলের সদস্যদের পুরো মহড়ায় পরিকল্পনা ও নিয়মকানুন বুঝিয়ে দিচ্ছেন। অধিনায়ক দিকনির্দেশনা শেষে চলে যাবেন। খানিক বাদে একটি এফভি ( ফ্লাইং ভেহিকল ) এসে তাকে নিয়ে েযাবে।

মহড়া চলতে থাকবে আগামী দশদিন। কমান্ডোদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছে। তাদেরকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বনের দুটি অঞ্চল। যে দল অন্য দলের এলাকা দখল করে ফেলতে পারবে তারাই বিজয়ী। দখল করার লড়াইয়ের সময় বিপক্ষ দলের যত কম সৈন্যকে হ্ত্যা করা হবে, বিজয়ীদের পয়েন্ট তত বেশি পাবে। বিজয়ী কমান্ডোদের জন্য অপেক্ষা করছে অপার আনন্দের জীবন। যত বেশি পয়েন্ট, তত বেশি আনন্দের জীবন। অবশ্য দশদিনের মধ্যে কেউ কারও এলাকা দখল করতে না পারলে দুই দলই পারিজত।

আজ এখানেই শেষ করলাম….আগামী পর্বে আবার বাকি অংশ নিয়ে আসবো……আল্লাহ হাফেজ

Related Posts