আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের সাথে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যার মাধ্যমে আপনারা নিজেরা কোন ভিডিও তৈরি না করে শুধু কপি পেস্ট করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি এইভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আগ্রহী হন তাহলে আপনার পোষ্ট আপনার জন্য সম্পূর্ণ পোস্ট করবেন।
কথাটা শুনে অনেকেই ভাবছেন যে ইউটিউব থেকে কপি পেস্ট করলে অবশ্যই তাতে কপিরাইট ক্লাইম হবে। কিন্তু ইউটিউব থেকে ভিডিও তৈরি না করে ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে তার মধ্যে একটা পদ্ধতি শেয়ার করব।
ইউটিউবে যারা ভিডিও তৈরি করে প্রায় সবার কপিরাইট ফ্রি মিউজিক এর প্রয়োজন পড়ে। এই মিউজিকগুলো তারা ইউটিউবে লিখে সার্চ করে তারপর ডাউনলোড করে। আপনি চাইলে আপনি নিজে একটা ইউটিউব এর কপিরাইট ফ্রি মিউজিক এর চ্যানেল করতে পারেন। এতে আপনার কোন পরিশ্রম করতে হবে না মাত্র কয়েক মিনিট কাজ করি একটা ভিডিও তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
তু কাজটি করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে একটা ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করতে হবে। চ্যানেল তৈরি করার সময় অবশ্যই ভালো করে সবকিছু দিয়ে একদম এসইও ফ্রেন্ডলি চ্যানেল তৈরি করবেন। তাহলে আপনার চ্যানেল খুব দ্রুত মনিটাইজেশন পাবে এবং খুব দ্রুত আপনি সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করতে পারবেন।
আমি আগেই বলেছি যে এই মিউজিকগুলো আপনারা ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। ইউটিউবে যদি আপনি খুবই টাইট ফ্রি মিউজিক লিখে সার্চ করেন তাহলে এখানে অসংখ্য মিউজিক পেয়ে যাবেন। আপনার যেই মিউজিকগুলো ভালো লাগে তার মধ্যে কিছু মিউজিক আপনি ডাউনলোড করে নেবেন।
তবে এখানে একটা বিষয় হচ্ছে যে আপনি সম্পূর্ণ কপি করে পেস্ট করলে আপনি কপিরাইট এর আওতায় পড়তে পারেন। এর জন্য আপনাকে মিউজিক কোন চেঞ্জ করা লাগবে না কিন্তু আপনি কে নিজেই ভিডিও এনিমেশন টা আছে সেই এনিমেশন টা চেঞ্জ করে দিবেন। মিউজিকের যেহেতু কোন কপিরাইট নাই তারপর আপনি যদি ভিডিওর এনিমেশন চেঞ্জ করে দিয়ে নিজের মত একটা এনিমেশন দিয়ে দেন তাহলে অবশ্যই আপনার এখান থেকে কোন কপিরাইট সমস্যা হবে না।
তবে ইউটিউব থেকে কপিরাইট বা কপি পেস্ট করে ইনকাম করার জন্য একটা কিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি সরাসরি অন্যজনের ভিডিও ডাউনলোড করে। সেটা সরাসরি আপলোড করে দেন কোন একটু ও এডিট না করে। তাহলে আপনার চ্যানেল কখন মনিটাইজেশন পাবে না। ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার জন্য আপনার ভিডিও একটু হলেও এডিট করতে হবে।
আপনি যদি ইউটিউব এর মিউজিক চ্যানেল গুলো দেখেন। যে চ্যানেলগুলো পপুলার সেগুলো মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে। তবে চ্যানেল খোলার আগেই ইনকামের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজে থেকে কাজ করে যান। আপনি যদি এই লাইনের সফলতা পেতে থাকেন তাহলে আপনার আর কোনকাজ করার প্রয়োজন পড়বে না।
আপনি যদি প্রতিদিন একটা করে ভিডিও এখানে আপলোড করতে থাকেন ।তাহলে আপনার দুই মাসের মধ্যে ভাল একটা ফলাফল পাবেন। অনেক চ্যানেল আছে যেগুলো এখানে মাত্র দুই ম্যাচেই মনিটাইজেশন নিয়েছে। আপনি নতুন যেই মিউজিক চ্যানেল গুলো আছে সেগুলোর প্রথম ভিডিওটা দেখবেন যে কতদিন আগে ছাড়া হয়েছে এবং তাদের সাবস্ক্রাইবার কত?
তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই ক্যাটাগরিতে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য কতটা কার্যকর।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পারছেন এই টপিকের সম্পর্কে কারো কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে আমাদের আজকের পোস্ট এত প্রজন্ত পড়ার জন্য ভাল থাকবেন সবাই আল্লাহ হাফেজ।