Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

কবিতা- ০০৩: আলেয়া কিংবা মরীচিকার পিছে ছুটে

আলেয়া কিংবা মরীচিকার পিছে ছুটে

-মাসুম বাদল

 

আলেয়ার পিছনে ছুটে তুমি নিজেই হতে চাও যে আলো

আলেয়া কে নিশানা করে দিতে চাও পারি তুমি পথ

আলো তুমি পারবে নাকো হতে – কোনোদিন –

পারবে না পারি দিতে পথ

আলেয়া নিজেই তো দিকভ্রান্ত আলো

সে নিজেই জানে না তার পথ

গন্তব্য নেই – যাত্রা নিরুদ্দেশ ।।

 

মরীচিকাও মায়া কায়ার খেলা

মরীচিকার পিছনে ছুটে ভেবেছো পার হয়ে যাবে তুমি মরু

মরু সাগরে মরীচিকা পারবে না হতে বাতিঘর তোমার

তোমাকে চেনাবে পথ বল সে কেমনে – তার নিজেরই রবে না হদিস

দৌড়ে কাছে গেলেই তো মিলিয়ে যাবে সে হাওয়ায় – বেহদিস।।

 

এসো খুঁজে নাও আলো – নিশানা করো বাতিঘর

আছে আছে জানি আলো – আর আছে সেই বাতিঘর

যুগে যুগে শান্তির দূত হয়ে এসেছে তারা এক কিবা দুই লক্ষেরও অধিক

এক বানী তারা করে গেছে প্রচার – একটাই আলোর পথ – একটাই কাবা।।

 

 

[অন্তর্নিহিত ভাবঃ  সেই কবে মানুষ প্রথম এসেছিলো পৃথিবীতে সেই হিসেব শুধুই অনুমান।

হোক না সে বছর – বছর লক্ষ কিংবা কোটি। শান্তর খোঁজে মানুষ নেমেছিলো সেই প্রথম দিন থেকেই।

সুখে তো তারা ছিল বেশ – শুধু একটা ভুলের শাস্তির প্রায়শ্চিত্ত করতে তাদেরকে নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো

এই দুর্গম দুনিয়ার পথে। আদম -কে নামানো হয় বলে ধরা হয় শ্রীলংকায় আর ইভ / হাওয়া-কে নামিয়ে দেয়া হয়

লোহিত সাগরের পারে এডেন / ইয়েমেন-এ। দুইজন মানুষ বহুদূরের পথে একা। অজানা দুর্গম দুনিয়ায় তিন শত বছরের

খোঁজাখুঁজি শেষে তাদের শান্তির মিলন পুনর্বার। সেই পুনর্মিলনও ছিল উপর হতে আশা আলোর বানী শুনে – সেই এক মহানুভবের শেখানো প্রার্থনার ফলেই।

 

আলোর উৎস একটাই – যুগে যুগে আলো এসেছে ওই একটি উৎস হতেই। যাদের জন্য এসেছে আলো তারাও এসেছে ওই এক মহা পরাক্রমশালী অস্তিত্ত্বের

কুদরতি পরশ হতেই। যার কুদরতি হাতে আমাদের উদ্ভব সেই তো জানে কিসে আমাদের শান্তি – কি সে আমরা রবো পথে – সঠিক পথে। কোন বাতিঘরকে

নিশানা করে জীবনের পথে চলে আমরা পৌঁছে যাবো ঠিক আলোটির নীচে – সেই ভালো জানে। শত সহস্র লক্ষ বছর কিবা যুগ ব্যাপী তার দয়া পরাবশতায়

পাঠিয়েছে সে লক্ষ কিবা দুই লক্ষেরও অধিক ঝাণ্ডা বাহী। সেই ঝান্ডার আলো গেছে কি ফুরিয়ে? না ! ফুরোয় নি সে আলো। তাদের আদর্শ প্রদর্শিত চুড়ান্ত দলিল

রয়ে গেছে নির্ভুল। আমরা বুকে চেপে নিলেই আবারো পেয়ে যাবো আলো।

 

ঐ একটাই আদর্শ আছে – ওই একটাই আলো – ওই একটাই আলোকবর্তিকা – ওই একটাই বাতিঘর আছে –

যা কিনা আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারে বাঞ্ছিত – চূড়ান্ত গন্তব্যে। ওই আলো কে বানালে নিশানা –

আমরা পাবো চুড়ান্ত সফলতা।

 

আলেয়া বা মরীচিকার পিছনে না ছুটে আমাদের নিশানা হোক ‘আলো’ এবং ‘বাতিঘর’; তাতেই শান্তি – তাতেই সাফল্যের পথ। ]

Related Posts

6 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No