অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি কম্পিউটার অপরাধ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত এর পরিচিতিও ব্যপক হচ্ছে। যারা এ বিষয়টি জানিনা তাদের জন্য আমার পোস্টটি।
আগে জানা দরকার কম্পিউটার ক্রাইম কী? কম্পিউটার অপরাধ ক্রাইম হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্ক রিসোর্স, ডেটা বা তথ্য বিনা অনুমতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করে ক্ষতিকারক কোন কাজ করা। যে সকল কম্পিউটার অপরাধ ব্যাপকভাবে বিশ্বে আলোচিত হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- সাইবার ক্রাইম, হ্যাকিং, কপিরাইট পাইরেসি, হার্ডওয়্যার চুরি, ডেটা চুরি, কম্পিউটার ভাইরাস।
বর্তমানে ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম সংঘটিত হচ্ছে। কোন সিস্টেমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে ফাইল, প্রোগ্রাম, হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার বিনষ্ট করার জন্য কিছু কম্পিউটার ব্যবহারকারী বা কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইলেকট্রনিক উপায়ে বা টেলনেট ব্যবহার যে আক্রমন চালায় তাই সাইবার ক্রাইম।
আবার, অবৈধভাবে বিনা অনুমতিতে কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা,তথ্য নষ্ট করা,তথ্য চুরি করা,তথ্যের বিকৃতি ঘটানো বা অন্যের কম্পিউটার বিশেষ পন্থায় সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়াকে কম্পিউটার হ্যাকিং বলে। অনেকক্ষেত্রে স্পাইওয়্যার এর সাহায্যে অন্যের তথ্য হস্তগত করে নেয়।
আবার, কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রোগ্রাম যখন তার মেধার যোগ্যতার বলে সফটওয়্যার অনুলিপি বা নিজের নামে বাজারজাত করে থখন সেটাকে বলা হয় সফটওয়্যার পাইরেসি।
বর্তমানে হার্ডওয়্যার বা ডেটা চুরি দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে।
খারো অগোচরে কম্পিউটার মূল্যবান যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ বা তথ্য চুরি হচ্ছে। এছাড়াও একধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা সয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ সংক্রমন ও নিজস্ব সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ইহা কম্পিউটারকে অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য এবং অস্বস্থিদায়ক কাজ করতে বাধ্য করে।
এগুলো প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। কিন্তু এগুলোকে আমরা চাইলে প্রতিরোধ করতে পারি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে-
* সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধের একমাত্র হাতিয়ার হলো সচেতনতা। কেউ আপনাকে মেইল পাঠালো বা আপনার ছবি চাইছে বা আপনাকে অশালীন মেসেজ দিচ্ছে তাহলে আগে থেকে যাচাই না করে তাকে কোনো তথ্য দিবেন না। যদি এরূপ অবস্থায় পরেন তাহলে দ্রুত আইনের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখুন।
* কম্পিউটার হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে ডেটার নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ডেটাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভৃগ করা। গুরুত্বপূর্ণ ডেটা এনক্রিপ্ট করে ব্যবহার করা। ইন্টারনেটে প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট,নিউজগ্রুপ এবং মেইলিং লিস্টের সাহায্যে হ্যাকারদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা।
* নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। কম্পিউটারের সাথে সেন্সরিং অ্যালার্ম সংযোজন করা। হার্ডডিস্কের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা সফটওয়্যার বেক আপ সংরক্ষণ করা। এতে সফটওয়্যার বা ডেটা চুরির সমস্যা হতে রক্ষা পাওয়া য়ায়।
* কম্পিউটার ভাইরাস হতে বাঁচার জন্য এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা। যেমন-Anti-Virus Toolkit, PC-Cilin, Macfee Anticirus প্রভৃতি।