কেও যখন আপনাকে “হিরো আলমের মত ” তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে- বা রাগানোর চেষ্টা করবে । তখন আপনি কি করবেন ?

যখন কেও আপনাকে অপমান করে তখন তার সেই অপমান করার পিছনে একটাই উদ্যেশ্য থাকে আর সেটা হল আপনাকে রাগিয়ে তোলা । এখন সেটা মজার জন্যই হোক আর সিরিয়াসলিই হোক । মনে রাখবেন যে আপনাকে অপমান করার চেষ্টা করছে তার আসল উদ্যেশ্যটাই হোল আপনি যেন তার ব্যবহারে রেগে গিয়ে কিছু একটা রিয়েক্ট করেন  কারন আপনার গিয়েকশনটাই তার কাছে এন্টারটেইনমেন্ট । ভাবুন তো একবার কোন দিন কি এরকম টা দেখেছেন যে কেউ কোন গাছকে দিনের পর দিন ইন্সাল্ট করে চলেছে  না তা আপনি কখোনই দেখেননি বা খবেনও না  কিন্তু কেন তা কি জানেন ।কারন একটাই আর তা হল গাছ কোন রিয়েকশনই দেয় না । আর যাকে ইন্সাল্ট করা হচ্ছে সে যদি কোন রিয়েকশন না দেয় তাহলে ব্যাপেরটা একদমি জমে না ।  গাছেন কাছে রেয়েক্ট করার কোন অপশন নেই কিন্তু আপনার কাছে রিয়েক্ট করার তিন রকমের অপশন আছে ।

প্রথম অংশ ১/

আপনি রেগে গিয়ে তাকেও এরকম উল্টোপাল্টা কোন এক টা জবাব দিবেন  ।এতে কিছু হল না কিন্তু যে আপনাকে ইন্সাল্ট করল সে যেটা চাচ্ছিলো আপনি ঠিক সে কাজটাই করলেন । আর আপনার এই রিয়েকশন এর মাধ্যমে যে আপনাকে ইন্সাল্ট করল তাকে তো আপনি মটিভেটেট করলেনি তার সাথে সাথে আপনি নিজেকে তার সমান লেভেলে নামিয়ে নিয়ে আসলেন । আর এ থেকে আপনার সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হল । সেটা হল আপনি তাকে পারমিশন দিয়ে দিলেন আপনাকে হার্ড করার এবং আপনাকে বাজে ফিল করানোর । যেটাই সে বেসিক্যালি করতে চায় । এ অপশনটাই সবথেকে ইজি এবং টেম্পিং তাই সেলফ কোন্ট্রল ক্ষমতা থাকার অভাবের কারনে আমাদের বেশির ভাগি কারও দ্বারা অপমানিত হলে এই পশন টাই বেছে নেই ।

দ্বিতীয় অংশ ২/

এটা হল আপনি ঠিক সেই গাছের মত হয়ে গেলেন । অর্থাৎ তার কথায় লেস মাত্র কোন রিয়েকশন দিলেন না । কেও আপনাকে ইন্সাল্ট করার আগেও যেমন ছিলেন ইন্সাল্ট করার পরেও ঠিক তেমন থাক্লেন । এমন কি কোন রকম ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন ও দিলেন না মানে আপনি কথাটা শুনেনইনি এরকম ভাবে রইলেন । এতে কি হবে আপনার দিক থেকে কোন রকম উৎসাহ না পাওয়াই যে আপনাকে রাগিয়ে তুলার বা অপমান করার চেষ্টা করছিল সে একটা সময় নিজে থেকেই চুপ হয়ে যেতে বাধ্য হবে । কারন আপনিই ভাবুন না একটা গাছকে ইন্সল্ট করে কে কি মজা পাবে । কেন সে শুধু শুধু নিজের এন্যার্জি নষ্ট করবে । এবার এই পশন থেকে রিস্পন্স করার জন্য আপনাকে আগে নিজের ইন্সিকিউর গুল থেকে উপরে উঠতে হবে । কেন? কারন টা একটা উদাহরন দিয়ে বলি ধরুন আপনি আসলে অনেক চিকন কিন্তু আপনাকে কেও বল্লো এই মটা শোন । তাহলে কি আপনি সেই ব্যাক্তির এই কথাটা শুনে রেগে যাবেন না মনে মনে হেসে উঠবেন । এবার ভাবুন আপনি আসলে মোটা আর সেটা নিয়ে আপনি ভিষন কনসেন্স ও এবার কেও আপনাকে বললো এই মোটা এদিকে শোন ! এবার চান্স আছে আপনার রেগে যাওয়ার । কারন মনে মনে আপনিও নিজেকে মোটা বলে আপসোস করেন । আপনি যে মোটা সেটা আপনি নিজেও মন থেকে মেনে নিতে পারেননি । তাই এটা আপনার একটা ইনসিকিউরিটি হয়ে দাড়িয়েছে । এবার যখনি কেও আপনাকে আপনার ইনসিকিউরিটিতে আঘাত করে তখনি আপনি রেগে যান । তো যতক্ষন না আপনি নিজেকে নিজে মোটা হিসেবে একসেপ্ট করতে না পারবেন তখন কেও আপনাকে মোটা বললে সেটা আপনার পক্ষে মেনে নিয়ে চুপ করে থাকাটা সত্যি খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে । তবে যদি আপনি মন থেকে এটা মেনে নিতে পারেন যে হে কি হয়েছে মোটা তো, মোটা মানে খারপ আর চিকন মানে যে ভাল এমন তো কোন কথা নেই । এটা যার যার মানুষিক ব্যাপের । আর এরকমটা যদি কেও মনে করে তাহলে সেটা মানুষিক সমস্যা আমার না । এরকমটা ভাবতে পারলেই আপনার পক্ষে সম্ভব হবে ইনসাল্টের পরও স্বাভাবিক ভাবে কোন প্রতিকৃয়া না দেখেয়া চুপ থাকা ।

 

<

তৃতীয় অংশ ৩/

এক্ষেত্রে আপনি রাগ হওয়ার পরিবর্তে হেসে উঠবেন । এতে যে আপনাকে অপমান করছিল সে আপনার কাছ থেকে যেটা চায় অর্থাৎ রাগিয়ে তুলা তার ঠিক উল্টো কাজটা আপনি করছেন অর্থাৎ খুশী হয়ে যাচ্ছেন, যেটা আপনার ইনসাল্টারের কাছে সবচেয়ে বেশি ডিমোটিভেটেড  । আর এটা আপনার ইনসাল্টারের মুখ সবচেয়ে দ্রুত বন্ধ করানোর জন্য বেষ্ট অপশন ।

যেমন ধরুন আগের এক্সাম্পল টাই ধরাযাক আপনাকে কেও বললো এই মোটা এদিকে শোন, আপনি তার কাছে গিয়ে রিপ্লায় করলেন” আরে ভাই মোটার কথা আর বলিশ না’ কালকে দুকানে  ছবি তুলতে গেছি আমাকে দেখে দুকানদার বলে কিনা তুমাকে তো পাসপোর্ট সাইজ ছবিতে ধরানো যাবে বলে মনে হয় না তাও দেখি আমি চেষ্টা করে দেখছি । এটা যেহেতু বেষ্ট অপশন তাই এর জন্য রেসপন্স করতে পারার রিকুয়েনমেন্ট টাও একটু বেশি । এই অপশনে রিসপন্স করতে পারার জন্য । আপনাকে আপনার নিজের মধ্যে ৩টি কোয়ালিটি ডেভোলপ করতে হবে ।

নাম্বার ১/ নিজের ইনসিকিউরিটি গুলো থেকে উপরে উঠা

নাম্বার ২/ নিজের উপর নিজে হাসতে শিখা এবং

নাম্বার ৩/ নিজের সেন্স অফ হিউমার টাকে বাড়িয়ে তুলা ।

এর মধ্যে ১ নাম্বারটা ডেভেলপ করার জন্য যা করতে হবে সেটা উপরে দ্বিতীয় অংশে  আমরা আগেই পরে ফেলেছি । এরপর নাম্বার ২ অর্থাৎ নিজের উপর নিজে হাসতে শিখার জন্য আপনাকে যেটা করতে হবে । সেটা হল নিজের সমস্ত ফলস আইডেন্টিফিকিশন গুল থেকে ফেরিয়ে আস্তে হবে । ফলস আইডেন্টিফিকেশ গুলো কি ? ফলস আইডেন্টিফিকেশন গুলো হল আপনার আইডেন্টিফিকেশন গুলো আসলে সত্যি না কিন্তু শুধু  নিজের ইগো কে সেটিস্ফাই করার জন্য আপনি যেগুলোকে সত্যি বলে মেনে নিয়েছে । সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসা । আর নাম্বার ৩ / অর্থাৎ নিজের সেন্স অফ হিউমার ডেভলপ করার জন্য সবার প্রথমত  শুধু মাত্র নিজের লাইফটাকে ডেড সিরিয়াসলি নেয়া বন্ধ করে, লাইকলি  এজ ইট ইফ নেয়া শিখতে অবে । এবং আসে পাশে যা জিনিস গুলো ঘটছে সেগুলোকে ফানি পাসপেক্টটিফ থেকে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে । এটা আপনাকে আপনার সেন্স অফ হিউমার ডেভলপ করতে সব থেকে বেশি সাহায্য করতে পারে ।

সবসময় মনে রাখবেন উদ্দিপনা আর সাঁরা দেয়ার মাঝে সবসময় যে জিনিষটা আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকে সেটা হল আপনার সাঁরা দেয়ার ধরনটাকে বেছে নেয়ার খমতা । যদি আপনি এই বেপারে আরও বিস্তারিত বুঝতে চান তাহলে ( ডন মেকুয়েল রুইজ এর লিখা “দ্যা ফোর এগ্রিমেন্টস” বইটি বিশেষ করে ২য় এগ্রিমেন্টস যেটা হল, নেভার টেক এনিথিং পার্সোনালী / এই এগ্রিমেন্ট টা একবার পরে দেখার অনুরধ করবো ।

নিচে দেয়া লিংক থেকে আপনি এই বইটি কিনে নিতে পারেন । ধন্যবাদ ।

Buy the recommended book from here : https://goo.gl/Dgp519

 

Related Posts