বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের জনাব এমন একজন ক্রিকেট খেলোয়ারের কথা।যিনি ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম খ্যাতি অর্জন করেছে। যদি আপনি কাপ বা ট্রপির কথা বলের তাহলে তেমন কোন কিছু তার নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত অনেক অর্জন তার রয়েছে। নাম অনেকেরেই অজানা। তিনি হলেন স্টিফেন ফ্লেমিং। তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে জন্ম গ্রহন করিছিলেন ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল। ১৯৯৪ সালে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমে ক্রিকেট বিশ্বে তার অভিষেক ঘটে। উক্ত টেস্টে ৯২ রান করে তিনি ম্যান অব দা ম্যাচের খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজের ২য় ম্যাচে তার অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং উক্ত টেস্টের প্রথম ম্যাচে তিনি সর্ব প্রথম সেঞ্চুরী অর্জন করেন। এর পর থেকে তাকে আর পিচু ফিরে দেখতে হয়নি। একের পর এক সফলতার সাথে অধিনায়নের পালন করেছেন অনেক গুলো ম্যাচ। তাকে নিউজিল্যান্ডের ২য় সর্বকনিষ্ট অধিনায়কের মর্যাদা দেওয়া হয়।
স্টিফেন ফ্লেমিং মূলতঃ অধিনায়কের জন্য সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত। শেন ওয়ার্নের মত খেলোয়ার তাকে বিশ্বে সেরা অধিনায়ক বলে আখ্যায়িত করেছেন। গ্রেম পিটার সোয়ান এর মতে সত্যিকারের দুইজন অধিনায়ক হলেন ১) স্টিফেন ফ্লেমিং ২) অ্যান্ডু স্ট্রস।
তীক্ষ্ণবুদ্ধির এই অধিনায়ক ধ্রুপদী ঘরানার বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অধ্যয়িত ছিলেন। তার নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড দল তিনবার বিশ্বকাপে খেলায় অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু তারা একবারেও সফলতা অর্জন করতে পারিনি। তবে, তার নেতৃত্ব ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অর্জন করে।
তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে সর্বমোট
১১১ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৭,১৭২ রান তোলেন। যার ব্যটিং গড় ৪০.০৬।
২৭০ টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ৮০৩৭ রান তোলেন। যার ব্যটিং গড় ৩২.৪০।
২০০৬ সালের তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শততম টেস্টে খেলেন। উক্ত খেলায় বিপক্ষ দলে থানা জ্যাক ক্যালিস এবং শন পোলকও তাদের শততম ম্যাচ খেলেন।
সেরা অধিনায়ক খ্যাত এই ক্রিকেটার ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২০০৯ সাল থেকে তিনি নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে চেন্নাই সুপার কিংস দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং ২০১৫ সালে বিগ ব্যাশ লীগে মেলবোর্ন স্টাসের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৭ সালে তিনি তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী কেলি পেইনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ২ সন্তান মেয়ে টেলা এবং ছেলে কুপার। তার বাবা সাউথ ক্রাইস্টচার্চ ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি ছিলন। ২০০৯ সালে রানীর জন্মদিন অনুষ্ঠানে তাকে অর্ডার অব মেরিট উপাধি প্রদান করা হয়।