বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ভীষণ উদার। তার পকেটে 10 টাকা থাকলে 9 টাকায় দরিদ্রদের জন্য দান করে দিতেন। তামিম ইকবাল মূলত ক্রিকেট কে চিনতে শিখেছে তার পারিবারিক সূত্র ধরে। যে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা ঈদকে সামনে রেখে পারিবারিকভাবে বিভিন্ন ক্রিকেট লিগের আয়োজন করা হতো। তামিম ইকবাল এবং তার ভাই নাফিস ইকবালের ক্রিকেটার হওয়ার পিছনে মূলত সেই সব ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তামিম ইকবালের জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে 20 শে মার্চ 1989। তামিম ইকবাল ও সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। আমরা হয়তো অনেকেই জানি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম ক্রিকেটার আকরাম খানের ভাতিজা। তার প্রথম টেস্টে অভিষেক ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবিয়ানদের টিম ম্যানেজমেন্টের ঝামেলার জন্য সেই ম্যাচে অনেকভাবে দুর্বলতা অবলম্বন করেছিল ক্যারিবিয়ান সেই দলটি। সেই ম্যাচে কারবিয়ান 7 জন ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটে। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের সংগ্রহ ছিল প্রথম ইনিংসে 130 রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে 128 রান। তামিম ইকবালের এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে সেই ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন তিনি। এটি ছিল বাংলাদেশের বিদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় এবং অবশ্যই বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়। তামিম ইকবালের ওডিআই সর্বপ্রথম শতক আসে আয়ার ল্যান্ডের বিপক্ষে। যে মিডডে মনে করতেন যে, তামিম ইকবালের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে। এরপর ভারতের বিপক্ষে তার ওপেনিং শুরু হয়। এর পরে অবশ্য অনেকভাবে তামিম ইকবালের বোর্ডের কাছে হেনস্থা হতে হয়েছে। তবে কোনমতেই পিছপা হননি তিনি। অবশ্য বিভিন্ন জটিলতার কারণে তাকে সাময়িক অবসরে থাকতে হয়েছে। তবে 2012 সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে তামিম ইকবাল ফিরে এসে চারটি পরপর অর্ধশতক হাঁকান। 2015 সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে তিনি ওপেনার ইমরুল কায়েসের সাথে প্রথম ইনিংসের রেকর্ড 300 রানের পার্টনারশিপ এর মাইলফলক স্পর্শ করেন। সেই ম্যাচে তামিম ইকবাল দ্বিতীয় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেন। সেই ম্যাচে তার রান সংখ্যা ছিল 206 এবং তার ওপেনার ইমরুল কায়েসের রান সংখ্যা ছিল 150। এর মাধ্যমে তিনি মুশফিকের গড়া 200 রানের রেকর্ড ভেঙ্গে দেন। অবশ্য সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে 219 রানের আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। 2007 সালে বিশ্বকাপে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করেন এবং ভারতের বিপক্ষে 53 বলে 51 রানের একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। 2011 সালে তিনি বিশ্বের পাঁচ ক্রিকেটারের একজন শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ভূষিত হন।
সম্প্রতি তিনি ঢাকা প্লাটুনের হয়ে বিপিএলে তার টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন।
তামিম ইকবালের দীর্ঘায়ু কামনি করি।
বন্ধুরা আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকবেন এবং আমাদের অন্য আর্টিকেল গুলি পড়ার জন্য আপনার আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ…