হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়। প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে।
তো বন্ধুরা, আজকে আমি শেয়ার করব কিভাবে আপনি আপনার ছাত্রজীবনেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কেননা আমরা অনেকেই পড়াশোনা করি। তাহলে কেমন হয়, যদি আমরা ছাত্রজীবনেই অর্থ উপার্জন করা শুরু করে দেই। এতে একদিকে যেমন আমাদের পকেট খরচের টাকা হবে তেমনি পড়ালেখায় কিছুটা আর্থিক সুবিধা হবে। পড়ালেখায় আর্থিক সুবিধা বলতে আমরা নিজেরাই পড়াশুনার খরচ চালিয়ে নিতে পারব। তবে বর্তমানে অর্থ উপার্জনের অনেক গুলো উপায় থাকলেও আমাদের এমন উপায় গুলো বেছে নেওয়া দরকার যেগুলো করার পাশাপাশি আমরা লেখাপড়াটা ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারি।
ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের ৫টি কার্যকরী উপায়
১. ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই
ফ্রিল্যান্সিং! এটি আমরা সবাই জানি। বর্তমানে এ সময়ে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সব থেকে পরিচিত একটি শব্দ হলো ফ্রিল্যান্সিং। যদিও আমরা ফ্রিল্যান্সিং কি এটা সবাই জানি কিন্তু তাও বলছি ফ্রিল্যান্সিং বলতে মুক্তভাবে কোনো কাজ করাকে বুঝায় যেখানে আমরা কারো অধীনে না থেকে কোনো একটা কাজে বিশেষ পারদর্শী হয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিদির্ষ্ট কাজের বিনিময়ে নিদির্ষ্ট পরিমান অর্থ নিব। যেমন- আপনি যদি ডিজাইনিং কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি আপওয়ার্কে মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম কিছু কাজ করেই অর্থ উপার্জন শুরু করে দিতে পারেন।
২. বেছে নিন টিউশনি
অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা আজকাল কেবলমাত্র টিউশনি করেই নিজেদের খরচপাতি চালিতে নিচ্ছে। আপনি যদি টিউশনি করার বিষয়টি এখনো ভেবে না থাকেন, তাহলে আজ থেকে ভাবা শুরু করে দিতে পারেন। আপনার চেয়ে যারা সিনিয়র ব্যাচের ছাত্র ছাত্রী তারা কিন্তু আপনার মতো বড় ভিয়ের কাছে টিউশনি করার জন্য অনেকেই বসে আছে।
৩. ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করেই অর্থ উপার্জন করুন
@আমরা অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পছন্দ করি। আর কোথাও গেলে ছবি তুলি শখ করে। কিন্তু ছাত্রজীবনে আপনি যদি ফটোগ্রাফি কিংবা ভিডিওগ্রাফিতে বিশেষ পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে কিন্তু আপনি এই ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করেই আয় করতে পারেন। যেমন ইউবটিউবে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াসহ কতো সাইটে আমরা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পিকচার দেখি। এরকমভাবে আমরা যদি নিজেরাই ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করতে পারি, তাহলে আমাদের ঠেকায় কে!
৪. আয় করুন ভিডিও এডিটর হয়ে
আমাদের মধ্যে যাদের বড় ফোন বয় স্মার্টফোন রয়েছে, তার অনেকেই বিভিন্ন মুভি বা থ্রিলার মতো জনপ্রিয় ভিডিও শখ করে নিজের ফোনে এডিট করি। আর এই ভিডিও এডিট করা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ স্কিল আমাদের জন্য। আর যদি আমরা ইউটিউবে আপলোড করার মতো সাদামাটা ভিডিও এডিট করে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারি, তাহলে কিন্তু লাইফে অর্থের উপার্জনের পথটা অনেকেটাই সুগম হয়ে যাবে।
৫. বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে
আপনি যদি এই সাইটে নতুন হয়ে থাকেন আর আমার এই পোষ্টটি পড়ে থাকেন, তাহলে বুঝতেই পারবেন, আমি এই সাইটে লেখালেখি করি। ঠিক এভাবেই যদি আপনি বিভিন্ন বিষয়ো লিখতে পারেন, তাহলে আজ থেকেই ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। যেমন – আপনি নিজের একটি ব্লগ ওয়েবসাইট খুলে বিভিন্ন বিষয়ো সেখানে লিখতে পারেন। তাছাড়া আজকাল ব্লগিং সাইটের পাশাপাশি নিউজ পেপাীের মতো বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে যেগুলো থেকে আয়ের সুযোগ রয়েছে।