ডাচ বাংলা ব্যাংকে বৃত্তির আবেদনের সারকুলার -২০১৯

ডাচ বাংলা ব্যাংকে বৃত্তির আবেদনের সারকুলার -২০১৯

ডাচ বাংলা ব্যাংকে বৃত্তির আবেদনের সারকুলার -২০১৯

বৃত্তির আবেদন ২০১৯ মানে যারা কিছুদিন আগে  HSC পাশ করলে তাদের জন্য । এটা তাদের জন্য নয় যারা এর আগের বছর  HSC দিয়েছিলে। এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি পাওয়া গেলে তাকে আর পড়াশোনার খরচ নিয়ে কোনো টেনশন করতে হয় না ।

তাছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি খুবি পপুলার একটা বৃত্তি । এখানে ১০২ কোটি টাকা সমপরিমাণ বৃত্তি দেওয়া হয় । তবে এতে তারা কিছু যোগ্যতা ফিক্সড করে দেয় , সেগুলো পুরন হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন । আমি মনে করি যাদের এই শর্তগুলো পুরন হয় তারা সকলেই এই বৃত্তির জন্যে আবেদন করবেন , বলা তো যায় না , কার হয়ে যেতে পারে । তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই কোন কোন শর্ত গুলো তারা দিয়েছে আর কিভাবে ফরম ফিলআপ করতে হবে ।

বৃত্তির পরিমাণ ও সময়কাল ঃ

শিক্ষার স্তরঃ স্নাতক মানে অনার্স

সময়কালঃ ৩-৫ বছর (নবায়নযোগ্য) প্রতিবছরই নতুনভাবে চালু করতে হয় ।

মাসিক বৃত্তিঃ ২,৫০০ টাকা প্রতি মাসে পাওয়া যায়।

বার্ষিক অনুদানঃ পাঠ্য উপকরণের জন্য এককালীন ৫০০০ টাকা ও পোশাক পরিচ্ছদের জন্য ১,০০০ টাকা প্রতি বছরে এটা তারা এক্সট্রা হিসেবে দেয় । প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা এই টাকা আলাদা ভাবে পেয়ে থাকেন ।

বৃত্তির জন্য আবেদনের যোগ্যতা ঃ

* সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্তর্গত কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যঃ ন্যূনতম জিপিএ ৪.৮ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য) আপনি আর্টস ,সাইন্স, কমার্স, যেকোনো বিষয় থেকে আপনি আবেদন করতে পারবেন ।

* সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরের / গ্রামাঞ্চলের কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যঃ ন্যূনতম জিপিএ ৪.৩ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য) গ্রামের ছাত্র ছাত্রী দের জন্য একটু ছাড় তো থাকবেই , তারাও একটু ছাড় দিয়ে দিছে ।

বৃত্তির অন্যান্য নীতিমালা ও ব্যাতিক্রম নিয়মঃ

* যে সকল ছাত্র-ছাত্রী সরকারী বৃত্তি ব্যতিত অন্য কোন উৎস থেকে বৃত্তি পাচ্ছেন, তাঁরা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। তার মানেটা হলো – আপনারা যদি সরকারি বৃত্তি পান তারপরও ডাচ বাংলা বৃত্তি পেতে পারেন ,কিন্তু অন্যান্য ব্যাংক থেকেও বৃত্তি দেয় ,যদি সেই বৃত্তি কেউ পায় তাহলে সে আর ডাচ বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি পাবে না ।

* গ্রামীণ অনগ্রসর অঞ্চলে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে বৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ নির্ধারিত থাকবে এবং মোট বৃত্তির শতকরা ৫০ ভাগ ছাত্রীদের প্রদান করা হবে। যদি আপনি গ্রামের হন , তাহলে আপনারা বৃত্তি পাওয়ার চান্স বেশি । সো মিস করবেন না ।

আবেদনের নিয়ম ও শর্তাবলীঃ

* http://app.dutchbanglabank.com/DBBLScholarship এই ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে
হবে।
আবেদন ফরম এর সাথে যা যা সংযুক্ত করতে হবে সেগুলো হলো ঃ
* আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।

* আবেদনকারীর পিতা মাতার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।

* এসএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বরপত্রের স্ক্যান কপি।

* এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্রের স্ক্যান কপি।

এই কাগজগুলোতে সবগুলোই স্কান করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন , এখন আর কাগজ তাদের অফিসে পাঠাতে হয় না ।

বৃত্তির আবেদন শুরুর তারিখঃ ২১ জুলাই ২০১৯ থেকে আর শেষ হবে  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এই তারিখে । তো আপনারা তাড়াতাড়ি এই আবেদন করে ফেলুন ।

আপনাদেরকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের তালিকা প্রকাশ করে দিবে  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ।

প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের সকল কাগজপত্রের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এর যে কোন শাখা অথবা মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে উপস্থিত হওয়ার তারিখঃ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ – ১০অক্টোবর ২০১৯ । যে কাগজপত্র গুলো দিবেন তার ফটোকপি বা মূল কপি নিয়ে কাছের কোনো ডাচ বাংলা ব্যাংকের  শাখাতে যেতে হবে এবং সেগুলো যাচাই করে নিতে হবে ।

বিদ্রুপ ঃ আপনারা এই বিষয়টি অবশ্যই পুরন করতে হবে ।
যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ডাচ্ বাংলা শিক্ষা বৃত্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবেন, বৃত্তির অর্থ গ্রহণের পূর্বে তাদেরকে অবশ্যই বর্তমান শিক্ষাবর্ষে যে কোন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে হবে । তবে অনেকে ২য় বার ভর্তির জন্য ট্টাই করে থাকেন তো তারা কিন্তু বৃত্তির জন্যে অযোগ্য বলে প্রমানিত হবেন , মানে বৃত্তি পাবেন না ।

যারা শুধুমাত্র এই বার  HSC / সমপরিমাণ মানে মাদ্রাসা, কারিগরী যেকোথাও থেকে পাশ করবেন তারা আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন ।

Related Posts