তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

তথ্য প্রযুক্তি হচ্ছে তথ্য ব্যবস্হা বিষয়ক প্রযুক্তি। আবার অন্য দিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি হচ্ছে ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্হা বিষয়ক প্রযুক্তি। আর যে প্রযুক্তি মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষন, প্রক্রিয়াকরন,আধুনিকীকরন,পরিবহন,বিতরন,ব্যবস্হাপনা এবং তথ্যের সত্যতা ও বৈধতা যাচাই করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে।আবার এ প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ ব্যবস্হার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। একটি ছাড়া অন্যটি চিন্তা করা যায় না। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নীতিমালা ২০০৯ অনুসারে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে যে কোনো প্রকারের তথ্যের উৎপওি, সংরক্ষন,প্রক্রিয়াকরন,সন্ঞালন এবং বিচ্ছুরনে ব্যবহৃত সকল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি কে বুঝায়। আবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আজ সারা পৃথিবীকে বিশ্বগ্রামে পরিনত করতে যাচ্ছে।

মানুষের জীবনের সকল ক্ষেএে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রভাব ফেলছে।মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এমন কোনো ক্ষেএ নেই যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ নেই। বর্তমানে মানুষ যেখানে থাকুক না কেন খুব সহজে তার প্রয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপাদান : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মৌলিক উপাদানসমূহ হচ্ছে –

(ক) কম্পিউটার (খ) টেলিফোন (গ) মডেম (ঘ) মাইক্রোওয়েব ইত্যাদি।

আবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রকারভেদ :প্রয়োগ ক্ষেএের উপর ভিওি করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নানা প্রকার হতে পারে। যেমন :

১. কম্পিউটিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস : সবল ধরনের ইলেকট্রনিক ডেটা প্রসেসিং যেখানে কম্পিউটার, কৃএিম বুদ্ধিমওা ও এক্সপোর্ট সিস্টম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় যা ICT এর আওতাধীন।

<

২. ব্রডকাস্টিং : রেডিও, টেলিভিশন যা সিমপ্লেক্স তথ্য সম্প্রচার করে থাকে তা ICT এর আওতাধীন।

৩. টেলিকমিউনিকেশন : ফিক্সড টেলিফোন মোবাইল বা সেলফোন যা ফুলডুপ্লেক্স ডেটা কমিউনিকেশন করে থাকে তা ICTএর আওতাধীন।

৪. ইন্টারনেট : WAN (Wide Area Network) প্রযুক্তিতে গড়ে উঠা আন্তার্জাতিক কম্পিউটার নেটওর্য়াক হলো ইন্টরনেট। যার মাধ্যমে যেকোনো স্হান থেকে বিশ্বের যেকোনো স্হানের সাথে যোগাযোগ করা যায়,যা ICT এর আওতাধীন।

আবার যোগাযোগ প্রযুক্তির মৌলিক উপাদানসমূহ হচ্ছে :- (১) কম্পিউটার (২)টেলিফোন (৩) মোবাইল (৪) ইন্টারনেট  (৫) ই – মেইল (৬) স্যাটেলাইট (৭) রেডিও ওয়েভ ইত্যাদি।

ডেটা কমিউনিকেশন হওয়ার জন্য কমিউনিকেং ডিভাইস কে অবশ্যই কমিউনিকেশন সিস্টেমের অংশ হতে হবে, যা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে তৈরি।

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের কার্যকারিতা নির্ভর করে চারটি মৌলিক বৈশিষ্ট্যের উপর।যথা-

১. Delivery (বিতরন)

২. Accuracy (যথাযথ)

৩. Timeliness (যথাকালীনতা)

৪. Jitter ( ব্যবধান)।

Delivery ( বিতরন) : একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য পৌছার জন্য সিস্টেম অবশ্যই ডেটাকে ডেলিভারি করে। Receiving ডিভাইস কিংবা ইউজার কর্তৃক ডেটাকে অব্যশই রিসিভ করবে।

Accuracy ( যথাযথ/নির্ভলতা): সিস্টম অবশ্যই ডেটাকে যথাযথভাবে Delivery করে। সে ডেটা ট্রান্সমিশনে পরিবর্তত হয় (যেমন- সিগন্যাল) কিন্তু অশুদ্ধ ডেটা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

Timeliness( যথাকালীনতা): কমিউনিকেশন সিস্টম অব্যশই ডেটাকে যথাসময়ে Delivery করে।কোনো কারনে ডেটাকে যদি দেরিতে ডেলিভারি করা হয়,তাহলে সে ডেটাকে ব্যবহারের উপযোগী করা যায় না।

Jitter (ব্যবধান): ডেটা প্যাকেটকে গন্তব্য স্হানে পৌছানোর সময়ের Variation- কে Jitter বলে।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন