নকশা থেকে জমি মাপার নিয়ম, পরিমাপ করার সূত্র

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব নকশা থেকে জমি মাপার নিয়ম, পরিমাপ করার সূত্র সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য। আপনারা জানতে পারবেন এই মেশিন কত দামে পাওয়া যায়। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

নকশা থেকে জমি মাপার নিয়ম, পরিমাপ করার সূত্র

আমাদের দেশে বসবাসরত বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে জমি বা ভূমি নেই এমন লোকের সংখ্যা খুজে পাওয়া একটি খুবই দুষ্কর ব্যাপার। প্রত্যেক ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তি বর্গ যাদের জমি রয়েছে তারা তাদের জমি নিয়ে সমস্যায় পড়ে নায় এটা মানা যায় না। সমস্যায় পড়ার মূল কারণ হলো আমাদের শহরে একই জায়গার উপর একাধিক ব্যক্তির মালিকানা থাকে। যার ফলে কার জমি কতটুকু সেটা জানা খুবই কঠিন ব্যাপার হয়ে থাকে।

যার ফলে আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি না যে একই জায়গার উপর কার জমি কতটুকু আছে এবং কে কতটুকু ভাগের মালিক সেটা আমরা জানি না। তাই এসব সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত দন্ডয় পড়তে হয় আমাদের কে। তাই আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যে কিভাবে জমি পরিমাফ করা হয় এবং জমি পরিমাফের সূত্র কি ও কোন নিয়মে জমি পরিমাফ করলে সহজে আমরা আমাদের জমি সহজে পরিমাফ করতে পারবো। চলুন আর দেরি না করে সেসব নিয়ম সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক।

বাংলাদেশের প্রচলিত জমি পরিমাফের পদ্ধতি সমূহ

আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় এক এক ধরনের পদ্ধতি চোখে পড়ে জমি পরিমাপের সময়। কেননা জমি একাধিক ভাবে পরিমাফ করা যায়। যার ফলে যার কাছে যেই নিয়ম টি সহজ লাগে সেটি তারা অবলম্বন করে থাকে। তাই আমাদের দেশের জমি পরিমাপের জন্য ২টি পদ্ধতি রয়েছে। পদ্ধতি গুলো হলো ১. ফিতা দিয়ে জমির পরিমাফ পদ্ধতি ও ২. শিকল পদ্ধতি। এই দুই নিয়ম অনুসরণ করে বেশির ভাগ সময়ই আমাদের দেশে জমি পরিমাপ করতে দেখা যায়।

এই দুইটি নিয়মের মধ্যে থেকে শিকল দিয়ে জমি পদ্ধতি টি হলো কোনো জমির চারিদিকে শিকল দিয়ে মেফে মেফে জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ বার করা হয় এবং কোন দিকে কতটুকু ভূমি রয়েছে এটি নির্ণয় করা হয় এবং জমির সঠিক পরিমাণ বের করা হয়। অন্যদিকে ফিতা দিয়ে জমি পরিমাপের পদ্ধতি টি হলো জমির চারিপাশে কতটুকু বর্গাকার রয়েছে ও কতটুকু জমি বিভিন্ন দিকে রয়েছে সেটি ফিতার মাধ্যমে পরিমাফ করা যায়। এই দুটি নিয়ম অবলম্বন করে আমাদের দেশে জমি বা ভূমি পরিমাফ কার্য সম্পন্ন করা হয়। এই দুটি নিয়মে পরিমাফ করলে অনেকাংশে নির্ভূল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাঠের নকশা মেশিন দাম

জমি পরিমাপ করার জন্য ব্যবহারকৃত সূত্রঃ

আমরা যেসব নিয়ম অনুসরণ করে জমি কে ভাগা ভাগি কিংবা পরিমাফ করি এর জন্য আমাদের বিশেষ প্রয়োজন হয় সূত্র। কারণ সূএ ছাড়া জমি পরিমাপ কখনোই সহজতর হয় না। তাই অবশ্যই জমি পরিমাপের জন্য আমাদের সূত্রের প্রয়োজন হয়। সেই সূত্র গুলে সম্পর্কে আমরা এখন জানবো।

আমরা যে নিয়মেই জমিকে পরিমাফ করি না কেনো এর জন্য আমাদের সর্বপ্রথম প্রয়োজন জমির ক্ষেএফল বের করা। আর জমির বিভিন্নতা অনুযায়ী জমির ক্ষেএফল বিভিন্নতর হয়ে থাকে। যেমনঃ

বর্গক্ষেত্রফল= বাহু × বাহু।
পরিসীমা= এক বাহু × ৪
কর্ণ = এক বাহু × ১.৪১৪

অন্যভাবে জমিকে পরিমাফ করা যায়। যেমন জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ কে বের করতে হবে। এরপর জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফলকে ৪৩৫.৬ দ্বারা ভাগ দিলে জমির পরিমাফ বের করা যায়। অতএব উপরের দেখানে নিয়ম বা সূত্র অবলম্বন করে আমরা আমাদের জমি কে খুব সহজেই পরিমাফ করতে পারবো এবং জমি নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

আজ এই পর্যন্তই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ

Related Posts