নগর জীবন যাচ্ছে কেটে তোমার আমার মত

নগর জীবন যেমন তেমন যাচ্ছে কেটে বেশ,

ঊর্ধগতির বাজার হাটে আমিই নিরুদ্দেশ।

কেমন যেন শঙ্কা লাগে পাইনা ভেবে কুল,

টাকার খেলায় শিল্পপতি ভীষন মশগুল।

যায় না দেখা আকাশটা আর অট্রালিকার ভিঁড়ে

বিত্তবানের মধ্যমনি নামছে ধীরে ধীরে।

চাকরী বাজার বেপরোয়া বেকার বাড়ে রোজ

পয়সা কড়ির অভাব হলে কেউ রাখেনা খোঁজ।

নিত্যদিনের একই পেশা ঘামায় দেহের কোষ,

পশুপাঁখি বাদ দিয়ে আজ মানুষ মানায় পোষ।

শিক্ষা খাতের বেতন ভাতা বাজেট এল জুনে,

দামি কাঠের আলমারিটা খাচ্ছে কেন ঘুনে।

ক্লান্ত দেহ ক্লান্ত মনে ভার্চুয়ালে ঘুড়ি,

ভার্চুয়ালের ভিঁড়ে দেখি চাকরি ভুরি ভুরি।

কৌশলে তার প্রতারনার ফাঁদটা ফেলে কারা,

করিসনে আর ছল চাতুরি বাড়ল বাড়ি ভাড়া।

কজনে আর রাখল খবর মিথ্যে ঘোরের মায়া,

তোমার আমার ছদ্দবেশে খেলছে আলো ছায়া।

এই যামানা চলছে কেমন আজব দেশের মত,

কাটলে ধারে বাস্তবতা শুকায় না তার ক্ষত।

এবাবে আর চলবে কত দিন মাস আর রাত,

বাবু আমি ভুলেই গেছি সাধের ধারাপাত।

কষব কিসে অঙ্ক আমার শূন্য লাগে গোল,

মগজ গেল কোথায় আমার মাথায় দেখি খোল।

বাংলা মায়ের দামাল ছেলে ব্যস্ত ভীষণ কাজে,

বুদ্ধি নিয়েই হয়না মানুষ স্বভাবটা তার বাজে।

তপ্ত রোদের তান্ডবে আজ পুড়ছে কত কাল,

বৃথাই আমি বুনছি বসে সাধের মায়াজাল।

কাকডাকা ঐ ভোরের আলো যাচ্ছে কোথায় ভেঁসে,

তীব্র গরম যায়না বসা গায়ের সাথে ঘেঁসে।

আপন মানুষ বদলে কেন যায় গহিনের কোলে,

এমন করেই কালের ক্রমে মানুষ আমায় ভোলে।

উঁচু নিচু বেশ ভেদাভেদ টাকার নেশায় কেনা,

কোনটা মামা কোনটা খালু যায়না তো আর চেনা।

গত বছর অনেক ছিল আজকে গেল কোথা,

টাকার কাছে বিক্রি হয়েই করছি সমঝোতা।

পথটাও বেশ সাপের মত কিলবিলিয়ে বাঁকা,

বুঝতে পারি বাস্তবতা পকেট যখন ফাঁকা।

এ যে ভীষন বদ অভ্যাস দূরে সরে,

ছেঁচলে পানি খালটা কেটে যায় যে আবার ভরে।

পুরুষ তুমি গানের কলি মদের মাতাল নেশা,

তুমিই আবার গলিপথের অবৈধ এক পেশা।

শাষণ বারন অনেক ছিল  এই ভূবনের তরে,

অচীন মানুষ কেন হলাম আজ এ আপন ঘরে।

টাকা নাচায় টাকা ভোলায় টাকায় করে খেলা,

স্বার্থটা কেন করল এমন অগাধ অবহেলা।

জীবনের এই স্বাদটা কেমন পানির মত নাকি!

কল্পনার ঐ চিত্রপটে আবার জীবন আঁকি।

ভাঙা তরী চলছে আমার অথৈ সমুদ্দুরে,

ঝড়োহাওয়ার দোলা খেয়ে আসছি আবার ঘুরে।

যা হবার তা হবেই বাপু ভাবনা কেন কর,

ভন্ডামিটা ছেড়ে দিয়ে মানব জীবন ধর।

হাল ছেড়োনা আসুক বাধা যতই শক্তিশালী,

কাব্যঘরের এই আসরে আমিও চোরাবালি।

গাইতে পারি নাচতে পারি হাঁসতে পারি দুঃখে,

বৈঠা হাতে বাইতে পারি পরম প্রেমের সুখে।

যায় কি পাওয়া সাধের সাধক কষ্ট ছাড়া ভবে,

কলরবে ভরবে ধরা আবার সকাল হবে।

বদলে যদি নাও নিজেকে বদলাবে এই ধরা,

দেখবে তুমি চোখের তারায় আলোয় ভূবন ভরা।

অলসতা ঝেড়ে ফেলো আবার গোছাও নিজ,

মানবতার সাধক হয়ে বপন করো বীজ।

দামটা তোমার মূল্যমানে যতই থাকুক দূরে,

সফলতার এই আসরে আসবে তুমি ঘুরে।

অন্ধকারেও শক্তি ভীষন থাকতে শিখ আগে,

কেটে গেলে রাতটা আবার নতুন প্রভাত জাগে।

সফলতায় কাটবে জীবন মানুষ চেনো তুমি,

চিনলে মানুষ সতেজ হবে তোমার জন্মভূমি।

মানব প্রেমে করলে হেলা মিলবেনা ঐ মায়া,

দেখবে সেথায় খেলবে শুধুই আলোক বিহীন ছায়া।

এই পৃথিবীর আলো বাতাস মনটা ভুলায় বেশ,

এই যে আমার মৃত্তিকা ভাই আমার বাংলাদেশ।

দেশটা কারও নয়কো ভোগের দেশটা স্বাধীন করা,

দেশটা আমার চাঁদনি রাতে আলোয় আলোয় ভরা।

ঠুনকো হাওয়ায় ভয় করিনা আমিও স্রোতের ধারা,

হারিয়ে গেলে তুমি তখন আমিও সর্বহারা।

কোন প্রবালের মুক্তা তুমি আমিও অস্রুজল,

তোমার ঘরে সন্ধ্যা এলে আমিই শ্রাবণ ঢল।

কাঁদছ কেন কোন সে দুঃখে দুঃখ বলে কারে,

সেই দুঃখেরই দুঃখি হয়ে বসব তোমার দ্বারে।

তোমার যেমন হৃদয় পোড়া শুকায় না সে ক্ষত,

একলা তুমি নয়কো আজি আমিও তোমার মত।

Related Posts

25 Comments

মন্তব্য করুন