নামাযে ভুল গেলে কি করবেন ? জানেন কি ?
নামাজ, প্রতিটা মুসলমানের জন্য ফরয । “আল্লাহ তায়ালা মানুষের উপর দিনে ( ২৪ ঘন্টায়) ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ফরয করে দিয়েছেন । ”
নামাজ, মুসলমান আর অমুসলমানের মাঝে পার্থক্য করে দেয় । যারা নামাজ আদায় করেন তারা প্রকৃত মুসলমান ।
নামাজ, যদি ইবাদত না হতো ,তাহলে একটা উত্তম ব্যায়াম হিসেবে পরিগণিত হতো । কারন , নামাজে অনেক নিয়ম কানুন আর শারীরিক অংগ ভঙ্গিতে আদায় করতে হয় । এখানে মানসিক ভাবে মনোযোগ আর শারীরিক ভাবে অঙ্গ ভঙ্গিতে আদায় হয় ।
নামাজের রয়েছে অনেক গুণ । আজকে আমরা এই গুন সম্পর্কে আলোচনা করতে আসিনি , আলোচনা করতেছি নামাজের ভেতরে যদি কোনো ভুল হয়, তাহলে কি করতে হয় ?
আমার বিশ্বাস ,অনেকেই এই বিষয়টা জানেন না । যারা জানেন না , তাদের জন্য এটা জানার উত্তম মাধ্যম হতে পারে ।
আমরা নামজের সময় যদি কোনো ওয়াজিব বিষয়গুলো বাদ পড়ে যায় , তাহলে কিন্তু নামাজের ভুল হলো । যেমন – দুই টি সিজদার জায়গায় একটা সিজদা দিলে , অথবা দুইটা সিজদার জায়গায় একটা সিজদা দিলে , রুকুর আগে সিজদা দিলে , দুই রাকাতে বৈঠক না বসলে ভুল হিসেবে ধরা হবে।
এই ভুল গুলো যদি আপনারা করেন ,তাহলে কি আবার নামাজ পড়েন ? যদি না জানার কারনে আবার নতুনকরে নামাজ পড়েন ,তাহলে এই নিয়ম টি জানলে আর পড়তে হবে না ।
নামাজ শেষে আপনি “দুইটা সিজদা” দিবেন । এটাকে বলে সাহু সিজদা । সাহু সিজদা অনেক জায়গায় অনেক মতামত রয়েছে, তারপরও আমি যা অনুসরণ করি তা হলো ,নামাজ শেষে বৈঠকে বসে যখন তাশাহুদ, দরুদ শরীফ ,দোয়া মাসুরা পড়ে শেষ করি তখন দুই টি সিজদা দেয় তারপর সালাম ফিরায়ে মুনাজাত করি ।
এখানে মূল কথা হলো ,নামজে ভুল গেলে সাহু সিজদা দিতে হবে । এ বিষয় টা নিয়ে অনেক মতামত থাকার কারনে আপনাদের কাছে আমার নিজের বিষয়টা শেয়ার করছি । আপনারা চাইলে অনুসরণ করতে পারেন ,আর না হলে অন্য কোনো নিয়ম ,বা কারো কাছ থেকে শুনে নিয়ে করতে পারেন ।
শুধুই রমজান মাস নয় , সবসময়ই মুসলমানের উপর নামাজ ফরয । তাই সবার উচিত সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করা ।
ধন্যবাদ সবাইকে । ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ।
Alhamdulillah
Ok
Nice
gd