আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।
নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট পার্ট (২)
(ক) ব্যবসায় পরিকল্পনা কি?
উত্তরঃব্যবসায় পরিকল্পনা হলো একটি লিখিত দলিল।যার মধ্যে ব্যবসায় ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়।ব্যবসায় লক্ষ্য,ব্যবস্থাপনার ধারা,অর্থায়নের ধারা বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরা হয় ব্যবসায় পরিকল্পনায়।ব্যবসায় পরিকল্পনা কোন ব্যবসায়ীকে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করে।
(খ)সেবামূলক ক্ষুদ্র শিল্প বলতে কি বুঝায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃযে শিল্পে যন্ত্রপাতি কিংবা স্থায়ী সম্পদ বা মেধা সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে সেবামূলক কার্যক্রম সম্পাদিত হয় তাকে সেবামূলক ক্ষুদ্র শিল্প বলে।মৎস আরহণ, নির্মান শিল্প,হাইজিং, অটো মোবাইল সার্ভিসিং, বিনোদন শিল্প,হার্টিকালচার,ফুল চাষ,দুধ ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও বিপনন,হাসপাতাল ও ক্লিনিক, পর্যটন ও সেবা ইত্যাদি সম্পূর্ণ ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। এর ধরনের শিল্পগুলো মূলত বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন এর মাধ্যমে গড়ে উঠে।
(গ)উদ্দীপকে বর্নিত পণ্যগুলো কোন শিল্পের অধিনে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃউদ্দীপকে বর্নিত শিল্পগুলো কুটির শিল্পের অন্তর্ভুক্ত।
যে শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে সামান্য মূলধন,সামান্য প্রশিক্ষণ, পরিবারের সদস্যদের সাহায্য ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয় তাকে কুটির শিল্প বলে।সাধারণ পরিবারের সদস্যদের যেমন বাবা মা,ভাই বোন, আত্নীয়দেএ সমগ্রহে কুটির শিল্প গড়ে উঠে।সাধারণ পরিবারের সদস্যসহ সহ ১০ জনের মাধ্যমে সম্পুর্ন পারিবারিক পরিবেশে এই শিল্প গড়ে উঠে। কুটির শিল্প মূলত শ্রম প্রধান শিল্প।এ শিল্প দ্বারা মহিলাদের কর্মসংস্থান সহজতর হয়। সাধারণত যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে সামান্য প্রশিক্ষণ নিয়ে বেতার চেয়ার, দুলনা,ঝুড়ি,ফুলদানি ইত্যাদি তৈরি করে সাবলম্বি হওয়া যায়।তাই কাজটিকে সহজেই কুটির শিল্প বলে আখ্যায়িত করা যায়।
(ঘ)উদ্দিপকের প্রদত্ত তথ্য মতে এই খাতে বিকাশ সম্ভব কি?মতামত দাও
উত্তরঃউদ্দীপকের প্রদত্ত তথ্য মতে কুটির শিল্পের বিকাশ সম্ভব।
ছোট জায়গা,সল্প মূলধন,ব্যক্তিগন নৈপুন্যতা,কারিগরি জ্ঞান এবং পারিবারিক সহযোগীতার উপর ভিত্তি করে গড়ে ঊঠে কুটির শিল্প।নানান ধরণের কুটির শিল্প আমাদের দেশকে করেছে সমৃদ্ধ।বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে অগ্রগতির ক্ষেত্রে কুটির শিল্পের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।দারিদ্র্য বিমোচন এবং আত্ন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কুটির শিল্পের যঠেষ্ট অবদান রয়েছে।কুটির শিল্প দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে লালন পালন করে তা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করে।গ্রামের প্রতিটি পরিবারে স্থাপিত কুটির শিল্পগুলো আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।বর্তমানে কর্মসংস্থানের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে কুটির শিল্প।ব্যক্তিগত নৈপুন্য এবং অল্প কিছু পরিমাণ মূলধন দিয়ে যে কেউ এই শিল্প গড়ে তুলতে পারে।একদিকে যেমন পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান হবে সেই সাথে অর্থনৈতিক মুনাফাও অর্জন করা যাবে।আগে নারীরা এই শিল্পে এগিয়ে নিলেও এখন পুরুষরা নারীদের পাশাপাশি এই শিল্পে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এইভাবে নারী পুরুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে দেশ হয়ে ঊঠতে পারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালি।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন
Topic keyword: পার্ট-২ দ্বিতীয় সপ্তাহ নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট উত্তর, পার্ট-২ দ্বিতীয় সপ্তাহ নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, পার্ট-২ দ্বিতীয় সপ্তাহ ৯ম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট উত্তর, পার্ট-২ দ্বিতীয় সপ্তাহ ৯ম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর