হ্যালো গাইস। সবাই কেমন আছেন। ভালো আছেন সবাই ভালো থাকুন এবং নিয়ম মেনে জীবন যাপন করুন। আমি আজ ষষ্ঠ শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের কৃষিশিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন এবং উত্তর আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আপনাদের যাদের প্রয়োজন তারা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
প্রশ্ন 1
উদ্দীপকের প্রদত্ত ফসলগুলো চাষের উপযোগী মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী তালিকা তৈরি করো?
উত্তর
ক) উদ্দীপকের প্রদত্ত ফসলগুলো চাষের উপযোগী মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী তা নিচে দেওয়া হল।
আলু চাষ : আলু চাষের জন্য হালকা প্রকৃতির মাটি উপযোগী। বেলে দো-আঁশ বেশ উপযোগী
গম চাষ: গম চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি জমি বেশ উপযোগী। তবে মাঝারি চাষ করা যায়। দোআশ ও বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য সর্বোত্তম।
পাট চাষ: পাট চাষের জন্য উঁচু ও মধ্যম উচু জমি বেশ উপযোগী। দোআঁশ মাটি পাট চাষের জন্য উপযোগী।
তরমুজ চাষ: তরমুজ চাষের জন্য দোআশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উত্তম।
বাদাম চাষ: বাদাম চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ দোআশ, এবং বেলে মাটি উপযোগী।
বাঁধাকপি চাষ: বাঁধাকপি চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ থেকে পলি দোআঁশ মাটি উপযোগী।
খ) শিক্ষকের শেষ মন্তব্যটি কোন মাটিকে নির্দেশ করে। ব্যাখ্যামূলক ধান চাষের জন্য মাটি উপযোগী কিনা তা যুক্তি দাও?
উত্তর
শিক্ষকের শেষ মন্তব্য পলি দোআঁশ মাটি কি নির্দেশ করে। কারণ আদর্শ পল্লী দোআঁশ মাটিতে অর্ধেক বালিকণা এবং অর্ধেক পলি কণাও কাদাযুক্ত থাকে। ধান চাষের জন্য মাটি উপযোগী নয়। কারণ কংকর যুক্ত পলি দোআঁশ বেলে মাটি ছাড়া সব মাটি ধান চাষের উপযোগী। এটেল এটেল দোআঁশ মাটি ধান চাষের জন্য খুব ভালো। নদ নদীর অববাহিকা ও হাওর বাওর এলাকা যেখানে পলি জমে সেখানে ধান ভালো হয়।
উচ্চ মাঝারি নিচু সব ধরনের জমিতে ধানের চাষ করা যায়। যেমন নিজের জমিতে বোরো ও জলি আমন চাষ করা যায়। মাটির অম্লত্ব থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান চাষের অনুকূল। মাটির জৈব পদার্থ কম হলে কম্পোস্ট ব্যবহার করে এর মাত্রা বাড়ানো যায় । মাটির নাইট্রোজেন ফসফরাস পটাশিয়াম সালফেট জিংক সালফেট এর মাত্রা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়।
পরিশেষে বলা যায় যে উপরোক্ত গুনাগুন যেমন দোআঁশ মাটিতে বিদ্যমান থাকে না তাই এই মাটি ধান চাষের উপযুক্ত নয়।
প্রশ্ন 2
তোমার এলাকায় জন্মে এমন ফুল ফল শাকসবজি মসলা জাতীয় ফসলের পাঁচটি করে তালিকা তৈরি করো এবং এগুলোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বর্ণনা করো?
উত্তর
আমার এলাকায় জন্মে এমন ফুল ফল শাকসবজি মসলা জাতীয় ফসলের তালিকা তৈরি করা হলো –
ফুল জাতীয় ফসল: গোলাপ গাঁদা বেলি রজনীগন্ধা হাসনাহেনা ইত্যাদি
ফল জাতীয় ফসল: পেপে কলা, লেবু, আনারস , কাঁঠাল
শাক সবজি জাতীয় ফসল: আলু , বেগুন, লাউ, গাজর, শসা ,পালং শাক ইত্যাদি।
মসলা জাতীয় ফসল: জিরা, পিয়াজ , রসুন, আদা , ধনিয়া ইত্যাদি।
উপরোক্ত ফসলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব হলো
ফুলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
১) ফুল সহজে চাষ প্রক্রিয়া অভিযোজন যোগ্যতার এটি বহুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফুলমালা তৈরি ঝুলন্ত ঝুড়ি বিয়ে বাড়ির স্টেজ সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
ফল এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
১) ফলের উৎপাদন বিপণন ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াজাতকরণ অত্যন্ত শ্রমঘন কাজ বিধায় এগুলো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
২) যেহেতু দেশি ফল হতে আমরা নানা ধরনের পুষ্টি পেয়ে থাকি তাই আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
শাকসবজির অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
১) বিদ্যামান বাজারে শাক সবজি বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় খুব সহজে।
২) শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করে কৃষি খাতের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখা যায়।
মসলার অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
১) মসলার দাম ন্যায্য থাকে সবার নাগালের মধ্যেই থাকে
২) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের রান্নার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মসলা।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন।
So good !
good
Valo
Valo
❤️
❤️
nice post