প্রতি বছর জুন মাসের প্রথম দিন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হচ্ছে। ২০০১ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন Food and Agriculture Organisation (FAO) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। দিবসটির উদ্দেশ্য হচ্ছে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশে দিবসটি যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বিভিন্ন কর্মসূচী উদযাপন করেছে।
বর্তমানে দেশে জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান ৩.২১ শতাংশ। মোট কর্মসংস্থানের প্রত্যক্ষভাবে ২১ শতাংশ এবং মোট আমিষের শতকরা ৮ ভাগ আসে দুধ থেকে।
দুধ একটি আদর্শ তরল খাবার। এতে প্রচুর আমিষ, ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি১২ ও ডি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে। দুধ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার।
তবে দুধ গ্রহণের পূর্বে কিছু বিষয়ে জানা অত্যন্ত জরুরী:
- দুধ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ফুটিয়ে নিতে হবে।
- দুধ গরম করলে তার মলিকুলার গঠন পরিবর্তিত হয় ও সহজে হজমযোগ্য হয়।
- মিউকাসজনিত সমস্যা থাকলে দুধে কিছুটা আদা, কালো মরিচ, কাঠবাদাম ইত্যাদি যোগ করতে পারেন।
- দই অথবা মাংসের সাথে দুধ গ্রহণ না করাই ভালো। তবে কাজুবাদাম, ভাত অথবা খেজুরের সাথে গ্রহণ করা উত্তম।
- দুধের মান অনেকটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট খামারী ও খামার ব্যবস্থাপনার উপর। সুতরাং যে সকল খামারী ভালভাবে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খামার করেন ও ভালমানের খাবার খাওয়ান তাদের থেকে দুধ সংগ্রহ করবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিদিন অন্তত ২৮০ মিলিলিটার দুধ গ্রহণ করা উচিত। অথচ আমরা মাথাপিছু প্রতিদিন দুধ গ্রহণ করছি মাত্র ১২৫ দশমিক ৫৯ মিলিলিটার। সুতরাং দুধ নিয়ে গুজব না ছড়িয়ে যথাযথভাবে এর উৎপাদন বৃদ্ধি করা উচিৎ।
Gd info
Good
Good
amazing
nice
nice
Nice
nice post
Ok
Nice
ok