Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

প্রযুক্তির কালো থাবা থেকে শিশুদের রক্ষা করুন

প্রযুক্তির কালো থাবা থেকে শিশুদের রক্ষা করুন

 

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। ব্যাপক বিস্তারে আমরা সবাই অনেকটা বেশি নির্ভর যোগ্য হয়ে পড়েছি প্রযুক্তির যুগে। প্রযুক্তি একদিকে যেমন আমাদের কাজকে সহজ করে দিয়েছে তেমনি এর রয়েছে আগ্রাসী কালো থাবা,  যার বেশির ভাগ স্বীকার শিশুরা। শিশুরা তাদের মনোভাবকে ভিন্ন ভাবে গড়ে তুলছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায়।

তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবার কাছে এখন মোবাইল,ট্যাব,ল্যাপটপ সহ অনেক কিছুই খু্ব কাছের জিনিস হয়ে উঠেছে। একদিকে এর সুবিধা যেমন আমরা ভোগ করছি তেমনি, অসুবিধার কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ শিশুদের কাছে খুবই প্রিয় কিছু হয়ে উঠেছে,এই প্রিয়ই অনেক অপ্রিয়র কারণ। মোবাইল স্ক্রিনের ক্ষতিকর রশ্মি প্রভাব ফেলছে শিশুদের শরীরের উপর। দীর্ঘক্ষন মোবাইলে গেমস খেলার ফলে চোখের উপর পড়ছে বেশ চাপ, যার দরুন খুব ছোট কালেই তাদের ব্যাবহার করতে হচ্ছে চশমা কিংবা করছে মাথা ব্যাথা। এ ছাড়াও গবেষণায় উঠে এসেছে শিশুদের উপর ল্যাপটপ কিংবা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের প্রভাব।

শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে মানসিকতার। মনন বিকাশে শিশুদের থেকে যাচ্ছে সীমাবদ্ধতা। চিন্তা ভাবনার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ছে বেশ। শিশুদের ভাবনা হচ্ছে ভিন্ন ভাবে। সহজ ভাবে কোন কিছুকে তারা নিতে পারছেনা। তাদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তারা জীবনকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মতই ভাবতে শুরু করেছে। ভাবনার এই বিশাল পরিবর্তন প্রভাব ফেলছে সমাজ কিংবা দেশে। আপাত দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে যাওয়া কিংবা আপডেট হলেও, সামগ্রিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছি আমরা, পিছিয়ে পড়ছে আমাদের মানসিকতা।

শিশুদের কে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে তারা কোনো আগ্রাসী কালো থাবার খপ্পরে না পড়ে। তাদের কে নির্দিষ্ট সময়ে এসব ব্যাবহার করতে দিতে হবে, অন্যথায় অতিরিক্ত ব্যবহার আগ্রাসী করে তুলছে তাদের।

শিশুরা আগামীর নেতৃত্ব দিবে, স্বপ্ন কে আরো সম্ভাবনাময় করে গড়ে তুলবে এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু তারাই যদি বিপথ গামী কিংবা আগ্রাসী থাবার মুখে পড়ে তাহলে এগিয়ে নিয়ে যাকে কে আমাদের আগামীকে।

তার মানে কি এই দাড়াচ্ছে শিশুরা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করবেনা? মোটেও না।  তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যতটুক দরকার ঠিক ততটুকুই তারা করবে,  প্রযুক্তির সাথে অবশ্যই তারা এগিয়ে যাবে,  কিন্তু সেটা কোনো বিপথে নয়।

অভিবাবকদের আরো সচেতন হতে হবে এ ব্যাপারে, না হয় দায়ভার শেষ পর্যন্ত আমাদের উপরই পড়বে। দিনের কতটুকু সময় তারা আগ্রাসী প্রযুক্তির আওতায় থাকছে সে বিষয়ে নজর দেয়ার সময় এখনই। সুষ্ঠু মস্তিষ্ক গড়নে, সুষ্ঠু মানসিকতা গঠনে যতটুকু সম্ভব শিশুদের আগ্রাসী প্রযুক্তির কালো থাবা থেকে রক্ষা করাই এখন যুগোপযোগী। না হয় আমরা কিংবা আগামী প্রজন্ম হয়ে উঠবে আগ্রাসী

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply