প্রানীদের প্রতি সদয় হোন
আমরা জীব, জড় নিয়েই পরিবেশ। পরিবেশ বলতে শুধু মানুষই বোঝায় না, সব কিছুরই একটা ভারসাম্য অবস্থার বিন্যাসই হলো পরিবেশ। এখানে মানুষ ছাড়াও থাকবে অন্যান্য পশু পাখি। তারা আসলে আমাদেরই অংশ, এক কথায় অস্তিত্ব ও বলা যায়। আমরা কোন না কোনো দিক দিয়ে একে অপরের উপর নির্ভর শীল, কিন্তু আমরা অনেক সময় তা যেন ভুলে যাই! মনে করি আমাদেরই প্রান আছে,অন্য প্রানীদের বুঝি প্রান নেই! ইচ্ছে মত তাদের মারা কিংবা অন্যান্য ভাবে কষ্ট দেই।
আমাদের ভাবতে হবে আপনি যেমন প্রান নিয়ে আছেন, তেমনি অন্য প্রানী রাও প্রান নিয়েই বাস করে পৃথিবীতে, তাদের ও জীবন আছে, আছে বাঁচার অধিকার, আছে ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার। তাদের কে একটু ভালোবাসতে শিখুন, দেখবেন পরিবেশ আপনার কাছে ও অনেক ভালো লাগবে, শান্তি পাবেন একধরনের, যে শান্তিটা লক্ষ টাকার বিনিময়ে ও হয়তো পাবেন না।
কাক দেখবেন আপনার চারপাশে ডাকছে, আপনার কাছে হয়তো কর্কশ লাগতে পারে, কিন্তু তার কাছে কিন্তু সেটা তার আর্তনাদ। সে ভাষাটা আমাদের বুঝতে হবে। আমরা ইচ্ছা করলে কিছু ভাত ছিটিয়ে দিতে পারি, কাক গুলোকে, এতে করে আপনার পরিবেশ হয়ে উঠবে সুন্দর, আপনিও পাবেন ভালো লাগার ছোঁয়া। ভালবাসতে শিখুন, ভালো রাখতে শিখুন, তাহলে আপনিও ভালো থাকবেন।
আপনার ঘরে থাকা বিড়ালটিকে দিতে পারেন দুমুঠো খাবার। তাকে তাড়ায়ে না দিয়ে, সংযত ভাবে খাবার দিন, দেখবেন আপনার কোনো ক্ষতির কারণ সে হবে, আপনি যতই তাকে দূরে ঠেলে দিন, দেখবেন সে ততই আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে, তার চেয়ে বরং কাছে টেনে নিন, অনেক ভালো লাগবে আপনার কাছে ও।
এভাবে আপনার আশে পাশে থাকা সব কিছুকে আপন করে নিতে শিখুন, সব প্রানীদের যে প্রান আছে এটা মাথায় রাখুন, কষ্ট পেলে আপনার কাছে যেমন লাগে, ঠিক তাদের কাছেও তেমনই লাগে, আপনার গায়ে আঘাত লাগলে, আপনি যেমন কষ্ট পান, তেমনি এই প্রানীরাও কষ্ট পায়। নিজে ভালো থাকুন, অন্যকেও ভালো থাকতে দিন, সবাই নিয়েই আপনার পরিবেশ হবে সুখময়,জীবন হবে সমৃদ্ধ। আপনি চাইলেই পারেন, সুন্দর চারপাশ গড়ে তুলতে। প্রানীদের প্রতি অন্যায় আচরন না করে, তাদের তে কাছে টানুন, সৃষ্টির সৌন্দর্য কে ঠিক রাখুন, ভালো থাকবেন?