ফাইভ-জি’র জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ

নতুন এই নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থানকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলতে চায় সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইডটকো। এজন্য নতুন ধরনের উদ্ভাবন দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সমাধান করার মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে আরো সর্বোত্তম সেবা প্রদান করতে পুরোপুরি প্রস্তুত কোম্পানিটি। ফাইভজি’র জন্য বাংলাদেশকে পুরোপুরি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের যে প্রতিশ্রুতি কোম্পানিটি দিয়েছিলো, ইডটকো বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক রিকি স্টেইনকে নিয়োগের মাধ্যমে সেটাই পুনরায় ব্যক্ত করা হলো। সম্প্রতি এই ঘোষণাটি দিয়েছে ইডটকো।

রিকি স্টেইন বলেন যে, বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রা খুবই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা নিশ্চিত যে, যথার্থ শেয়ারেবল অবকাঠামো নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমরা মুখ্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হতে পারি, যেখানে অসংখ্য ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দেশটির অগ্রগতির এই ধারাকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করা সম্ভব। বাংলাদেশের মতো ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশে নির্ভরযোগ্য ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবার নিশ্চয়তা প্রদানের প্রধান শর্ত হলো যথাযথ একটি অবকাঠামো।

আর আমাদের মতো স্বাধীন অবকাঠামো সম্পন্ন কোম্পানিই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে, যারা যথার্থ অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি সঠিক ব্যবস্থাপনাতেও দক্ষ। ফাইভ-জি কিংবা স্মার্ট সিটি সল্যুশনের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি গ্রহণ করাতে আমরা অবিরাম কাজ করে যাবো। কেননা, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের অংশীদার হতে আমরাও এখন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রায় ২৪ বছর ধরে টেলিযোগাযোগ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন এই রিকি স্টেইন। সুদীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি মহাদেশে কাজও করেছেন তিনি। বাংলাদেশে যোগদানের আগে প্রায় চার বছর তিনি ‘ইডটকো মিয়ানমারে’র প্রকৌশল শাখার পরিচালক (ডিরেক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ‘ইডটকো মিয়ানমারে’র প্রকৌশল দল অত্যন্ত সাফল্যের সাথে দেশটির বেশ বড় বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্পের কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। এছাড়া নবায়নযোগ্য এনার্জি সমাধানের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন অনেক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি চালুতেও তার ভূমিকা অসাধারণ।

ইডটকো গ্রুপের বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের প্রধান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ভিজেন্দ্র ওয়াটসন বলেন যে, ‘এই মুহূর্তে ইডটকো বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। রিকির মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এদেশে আমাদের ব্যবসাকে আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে আশা করি। সঠিক পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ইতোমধ্যেই বিশ্লেষণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে রিকি যে মূল্যবান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে, আমাদের এই অগ্রসরমান পরিবেশে সেটা দারুণ কাজে দিবে। তাকে পেয়ে আমরা ভীষণ আনন্দ বোধ করছি’।

রিকি স্টেইনের এই নিয়োগ বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থানকে আরো শক্ত পোক্ত করার পাশাপাশি এই অঞ্চলজুড়ে কোম্পানিটির পদচিহ্ন আঁকার আকাঙ্ক্ষারই বহিঃপ্রকাশ। মালিকানাসহ আটটি দেশে বর্তমানে ৩১,৮০০টিরও বেশি টাওয়ার পরিচালনা করছে এই ইডটকো গ্রুপ।

Related Posts

26 Comments

মন্তব্য করুন